মৃত্যুর পরে চলে গেছে চার দিন। এখনো ‘কাঁটা লাগা গার্ল’ খ্যাত মডেল ও অভিনেত্রী শেফালি জারিওয়ালার মৃত্যুর ময়নাতদন্ত ঘিরে রহস্যের জোট খুলছে না। যদিও সামনে এসেছে প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। এর মধ্যেই সামনে এল শেফালির বান্ধবীর বক্তব্য। শুক্রবারে রাতে হাসপাতালে নেওয়াকে কেন্দ্র করে কী কী ঘটেছিল, সেটাই গণমাধ্যমে জানিয়েছেন তিনি।

প্রয়াত অভিনেত্রীর বান্ধবীর নাম পূজা ঘাই। তাঁর সঙ্গে সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক ছিল। বিবেক ললওয়ানির সঙ্গে শুক্রবারের ঘটনা নিয়ে কথা বলেন পূজা। ইন্ডিয়া টুডের বরাত দিয়ে জানা যায়, সেই শুক্রবার রাতের ঘটনা নিয়ে কথা বললেও মৃত্যুর কারণ কী হতে পারে সেই বিষয়ে কোনো কথা বলেননি।

মডেল ও অভিনেত্রী শেফালি জারিওয়ালা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কঠোর অভিযানের মধ্যে কৌশলে পাথর ‘লুট’

নদীতে বড় বড় নৌযান সারিবদ্ধভাবে নোঙর করা, যা ‘বাল্কহেড’ নামে পরিচিত। শত শত শ্রমিক নদীর পাড়ে জমা করে রাখা পাথর টুকরিতে ভরে সেই সব নৌযানে ওঠাচ্ছেন। কাছেই নদীতে চলছে খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর), যা দিয়ে পানির নিচ থেকে পাথর ওঠানো হচ্ছে।

সিলেটের বিভিন্ন জায়গায় পাথর লুটকারীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের মধ্যেও এই দৃশ্য দেখা গেল কানাইঘাট উপজেলার লোভা নদীতে। লোভা নদী সীমান্তের ওপার থেকে এসে সুরমায় মিশেছে। এই নদীতেও পানির স্রোতের সঙ্গে ওপার থেকে পাথর আসে।

লোভা নদীর বাংলাদেশ অংশের শুরুতে একটি পাথর কোয়ারি (যেখানে পাথর উত্তোলন করা হয়) রয়েছে। সেই কোয়ারিতে ২০২০ সাল পর্যন্ত পাথর উত্তোলন করা যেত। তারপর সরকার আর কোয়ারি ইজারা দেয়নি, মানে হলো পাথর তোলা নিষিদ্ধ। তবে নিলামে বিক্রি করা পাথর স্থানান্তরের নামে এখন সেখানে লুট চলছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁরা বলছেন, পাথর লুটের সঙ্গে জড়িত বেশির ভাগ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা, যাঁরা বিএনপির কোনো কোনো নেতার সঙ্গে মিলে কাজটি করছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁদের সঙ্গে নিলামে পাথর কেনা ঠিকাদারের যোগসাজশ রয়েছে।

লোভা নদী সিলেট শহর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে। কানাইঘাট উপজেলা শহর থেকে এর দূরত্ব আট কিলোমিটারের মতো। গতকাল রোববার বেলা একটা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত নৌপথে সুরমা নদী হয়ে ভারতের সীমান্তবর্তী লোভা নদীর জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়, সুরমা নদীর কানাইঘাট বাজারের বিপরীত অংশ স্টেশন এলাকায় একটি বাল্কহেডে অন্তত ১৫ জন শ্রমিক পাথর তুলছিলেন। আশপাশের অন্তত আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পাথরের এমন স্তূপ দেখা গেছে। পাশে ক্রাশার মেশিনে (পাথর ভাঙার কল) পাথর ভাঙার কাজও করছিলেন শ্রমিকেরা।

ভাঙার পর শ্রমিকেরা নৌকায় পাথর তুলছেন। গতকাল দুপুরে কানাইঘাটের লোভাছড়ায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ