প্রকৃত গণতন্ত্র নিশ্চিত হলেই বৈষম্য নিরসন হয়: ডা. বিধান রঞ্জন
Published: 1st, July 2025 GMT
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, “যদি প্রকৃত গণতন্ত্র নিশ্চিত হয়, তাহলেই বৈষম্য নিরসন হয়।”
মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভা ও প্রার্থনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, “রাষ্ট্র কখনো তার নাগরিককে বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে ভাগ করে তাদের অধিকারকে আলাদা করে না। একটি আধুনিক রাষ্ট্রের চোখে প্রতিটি নাগরিক সমান, গণতন্ত্রেরও মূল কথা সেটাই।”
আরো পড়ুন:
জাবির গণিত বিভাগের ভবন নির্মাণ কাজ দ্রুত শুরুর দাবি শিক্ষার্থীদের
খুবিতে নবীনদের বরণে ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন
উপদেষ্টা আরো বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদরা যে কারণে আত্মত্যাগ করেছিলেন, আমাদের সেই স্পিরিট ধারণ করতে হবে। আমরা যদি বৈষম্যহীন একটি রাষ্ট্র গঠনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাই, তাহলেই তাদের প্রতি প্রকৃত সম্মান জানানো হবে।”
মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের বাসুদেব ধর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা/এএএম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার ডাক দিয়েছি, সেই দেশ গড়ে ঘরে ফিরব: নাহিদ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ““ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য এক দলকে সরিয়ে আর এক দলকে বসানোর জন্য কেউ রক্ত দেয়নি, গণঅভ্যুত্থান করেনি। এই নতুন বাংলাদেশে চাঁদাবাজি, লুটপাট, দখলদারিত্বের আর কোনো সুযোগ দেব না। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার যে ডাক দিয়েছি, সেই দেশ গড়ে ঘরে ফিরব।”
মাসব্যাপী ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি উপলক্ষে মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেল ৩টায় গাইবান্ধা পৌর শহীদ মিনার চত্বরে পথসভা কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “আপনারা যে কথা বলবেন নির্ভয়ে বলবেন। আমাদের যে ভয় ছিল ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে সেই ভয় কেটে গেছে। নতুন করে আর কোনো ভয়ের সংস্কৃতি এই দেশে গড়ে উঠতে দেব না। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদরা রক্ত দিয়েছেন। আমরা রাজপথে নেমেছি, প্রয়োজনে আমরা আবারো রক্ত দেব। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পথেই এই বাংলাদেশকে চলতে হবে।”
আরো পড়ুন:
আরেকটা এক-এগারোর বন্দোবস্ত করার পাঁয়তারা চলছে: নাহিদ
অধ্যাপক ইউনূস পদত্যাগের বিষয়ে ভাবছেন: বিবিসি বাংলাকে নাহিদ
তিনি বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা গুলি ও হামলা করেছিল সেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ এখানো বিভিন্ন জায়গায় ষড়যন্ত্র করছে। ভারতে বসে তারা ষড়যন্ত্র করছে।”
এনসিপির এই নেতা বলেন, “গণঅভ্যুত্থানে হাজারো মানুষ শহীদ হয়েছেন, হাজারো মানুষ আহত হয়েছেন কিসের জন্য? একটি নতুন বাংলাদেশের জন্য। যে বাংলাদেশে বৈষম্য থাকবে না, গণতন্ত্র থাকবে। যে বাংলাদেশে কথা বলতে গেলে পুলিশ আপনাকে বাধা দেবে না, আপনি মত প্রকাশ করতে গেলে পুলিশ আপনার ওপর লাঠিচার্জ করবে না, গুলি করবে না। আপনি কথা বলতে চাইলে কথা বলবেন। প্রতিবাদ করবেন।”
তিনি বলেন, “আমরা জানি রংপুর বিভাগের দরিদ্র অঞ্চলগুলোর মধ্যে গাইবান্ধা অন্যতম। দীর্ঘদিন ধরে গাইবান্ধাবাসী বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন। আমরা আপনাদের জন্য কাজ করতে চাই। সেজন্য আমরা নতুন দেশ গড়ার ডাক দিয়েছি, রাজপথে নেমেছি। ২০২৪ সালে আমরা শেখ হাসিনাকে উৎখাত করার ডাক দিয়েছিলাম, উৎখাত হয়েছে, পতন হয়েছে, কিন্তু নতুন দেশ এখনো গঠন হয়নি।”
এসময় অন্যদের মধ্যে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আতিক মুজাহিদ, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সাইফুল্লাহ হায়দার, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) আসাদুল্লাহ আল গালিব, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) আবু সাঈদ লিয়ন, সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) নাজমুল হাসান সোহাগ, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) ডা. মাহমুদা আলম মিতু, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) মোহাম্মদ আতাউল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সদস্য ফিহাদুর রহমান দিবসসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ শুরুর আগে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা গাইবান্ধা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। পরে তারা পৌর শহীদ মিনার চত্বরে সমবেত হন। পরে গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ সড়ক হয়ে রংপুরে ফিরে যান এনসিপি নেতারা।
এর আগে, আজ সকাল সাড়ে ১০টায় রংপুরের পীরগঞ্জে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করার পর এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে এলে তাদের ফুল দিয়ে স্থানীয় নেতারা শুভেচ্ছা জানান।
ঢাকা/মাসুম/মাসুদ