জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ ও ছড়িয়ে দিতে একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের সদস্যসচিব জাহিদ আহসান কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ঘোষণা অনুযায়ী ৪ জুলাই থেকে শুরু হয়ে এসব কর্মসূচি চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ৪ জুলাই ‘সাহসী সাংবাদিক সমিতি: অভ্যুত্থানের দিনলিপি’ শিরোনামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সঙ্গে আলোচনা সভা ; ৭ জুলাই সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী ও পেশাজীবীদের সম্মাননা প্রদান ও মতবিনিময়।

এরপর ৭-১৪ জুলাই ‘স্বজনের সঙ্গে মোলাকাত’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহীদদের কবর জিয়ারত এবং শহীদ ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ; ১৪ জুলাই ‘নারীর নেতৃত্বে দূরীভূত অন্ধকার’ শীর্ষক দিবস পালন এবং ১৫ জুলাই ‘উইমেন্স কার্নিভ্যাল’ আয়োজন।

১৬-১৭ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালন করা হবে; ১৮ জুলাই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় আর ১৮-২৫ জুলাই ‘জুলাই ৩৬ ইন্টার ইউনিভার্সিটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট’ আয়োজন করা হবে।

২১ জুলাই মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়; ২৩ জুলাই জুলাই–বিষয়ক সংগঠনসমূহকে সম্মাননা প্রদান; ২৫ জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া পথশিশু, শ্রমজীবী ও রিকশাচালকদের সঙ্গে আনন্দ উৎসব আর ২৬ জুলাই দেশজুড়ে গ্রাফিতি অঙ্কন কর্মসূচির আয়োজন করা হবে।

এ ছাড়া ৩১-৩৬ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল, টিএসসি ও মল চত্বরে ‘জুলাই এক্সিবিশন’ আয়োজন করা হবে; ৩৩ জুলাই (২ আগস্ট) ‘ফ্ল্যাগ মুভ’ আর ৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট) ‘ভিক্টোরি মার্চ’–এর মাধ্যমে কর্মসূচির সমাপ্তি টানা হবে।

গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের সদস্যসচিব জাহিদ আহসান বলেন, ‘গত বছরের জুলাইয়ে আমরা এক ঐতিহাসিক গণজাগরণের সাক্ষী হয়েছিলাম। জনগণ যেভাবে বুক চিতিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়েছিল, তা আজও আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। শহীদদের আত্মত্যাগ আমাদের ওপর দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়েছে—এই চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে।’

সংগঠনটির মুখপাত্র আশরেফা খাতুন বলেন, ‘জুলাই আমাদের জীবনের শিক্ষা। এই অভ্যুত্থানের চেতনা থেকেই গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের জন্ম। আমরা চাই, জুলাই শুধুই স্মৃতি না হয়ে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক জীবনের অংশ হয়ে উঠুক।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়

ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।

পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।

ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব  প্রায় ১০০ কিলোমিটার।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি  এখন সারানো  হয়েছে।

ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।  

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।

ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।  পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’

ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’

ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।

আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ