খুনি হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার ষড়যন্ত্র থেমে যায়নি : টিপু
Published: 2nd, July 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেছেন, আমাদের সংগ্রাম কিন্তু এখনো শেষ হয়নি। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে।
আমাদের ভারপ্রাপ্ত তারেক রহমানসহ জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে । সর্বোপরি আমাদের এই অন্তবতী কালীন সরকারের বিরুদ্ধে কিন্তু নতুন করে ষড়যন্ত্র চলছে। খুনি হাসিনা পালিয়ে গেল কিন্তু তার ষড়যন্ত্র কিন্তু এখনো থেমে যায়নি।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির অন্তর্গত সদর থানা বিএনপির আওতাধীন ১৬নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম কার্যক্রম বিতরণ পূর্বে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
বুধবার ( ২ জুলাই ) বিকেল শহরের মন্ডলপাড়ায় ১৬নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা ভারতবর্ষে তার খুনি জাহাঙ্গীর কোন কোভিদ নানককে দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে অনেকগুলো অস্ত্র ক্রয় করেছে সে অস্ত্র দিয়ে দেশের বিরুদ্ধে নতুন করে তারা ষড়যন্ত্র করছে।
তারা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বিএনপি ও বিশ দলীয় নেতাকর্মী ও প্রশাসনের উদ্যোগ কর্মকর্তাদেরকে হত্যা করে অরাজকতা সৃষ্টি করে বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করাবেন এবং খুনি হাসিনা আবারও ক্ষমতায় বসবেন।
আমরা প্রশাসন নারায়ণগঞ্জসহ সারা বাংলাদেশের প্রশাসনকে বলবো আপনারা কঠোরহন এবং নিরাপত্তার বেষ্টনী বাড়িয়ে দিন। শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ জাতীয় পার্টির যারা রয়েছে তাদের প্রতি আপনারা সজাগ দৃষ্টি রাখুন তারা যেনো কোনো অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে।
মহানগর ১৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আল আমিন প্রধানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাকিত মোস্তাকিন শিপলু, ১৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হাসেম, সদস্য আনোয়ার হোসেন, জনি, আউয়াল হোসেন, রিপন, এমদাদ, মাসুদ রানা, অপু, জুম্মান, আকরাম, কাদির হোসেন প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ ব এনপ র স ষড়যন ত র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
সদরঘাটে চাঁদাবাজির অভিযোগে তেল ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন
ঢাকার সদরঘাটে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলনে করেছেন আরিফুর রহমান সাদ্দাম নামে এক তেল ব্যবসায়ী। তার দাবি, একটি চক্র নিয়মিতভাবে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করছে। চাঁদা না দিলে হামলার শিকার হতে হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতে জাতীয় প্রেসক্লাবে তিনি সংবাদ সম্মেলন এ অভিযোগ করেন।
সাদ্দাম জানান, তার পরিবার প্রায় ৪০ বছর ধরে সদরঘাটে তেলের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তার বাবা ঘাট ফেডারেশনের সভাপতি এবং একসময় তেল ব্যবসায়ী সমিতিরও সভাপতি ছিলেন।
আরো পড়ুন:
বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের রচনা বিএনপি করেছে: তারেক রহমান
কিছু দল হাসিনার ষড়যন্ত্রে পা দিয়েছে: শামসুজ্জামান দুদু
তিনি বলেন, “৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর যখন দেশজুড়ে সুশাসনের প্রত্যাশা তৈরি হয়। তখনই সদরঘাটে চাঁদাবাজির মাধ্যমে আতঙ্ক ছড়াতে থাকে একটি চক্র।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “সুমন ভূইয়া, জাকির ও গিয়াস নামে তিন ব্যক্তি নিয়মিত চাঁদা দাবি করেন এবং চাঁদা না দিলে হামলা চালান। আমার তেল ট্যাংকারে হামলা, কর্মচারীদের মারধর এবং বড় ভাইকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। থানায় একাধিকবার অভিযোগ করলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “আমি অনুরোধ করবো, আপনারা সত্য তুলে ধরুন। যেন আমরা স্বাধীনভাবে ব্যবসা করতে পারি।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সুমন ভূঁইয়া অভিযোগগুলো নাকচ করে বলেন, “আমি এসব অভিযোগকে পাত্তাই দিচ্ছি না। যারা এসব বলছে, তারা চায় বিএনপির বদনাম হোক।”
তিনি আরো বলেন, “সদরঘাটে সেনাবাহিনী টহল দেয়। এখানে কারো চাঁদাবাজি করার ক্ষমতা নেই। আমি রাজনৈতিকভাবে সচেতন একজন মানুষ এবং এলাকার মানুষ জানে আমি কেমন। বিএনপির নামে অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা হচ্ছে।”
নিজের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা প্রসঙ্গে আরিফুর রহমান সাদ্দাম বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যদি যুবলীগের নাম ব্যবহার করে কিছু করার অভিযোগ থাকে, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নিন। আমি একজন ব্যবসায়ী। আমরা কোকো কোম্পানি পরিচালনা করি, যেটি তারেক জিয়ার প্রতিষ্ঠানের আওতায় ছিল। এজন্য এক সময় আমাদের জঙ্গি হিসেবেও দেখা হত।”
তিনি দাবি করেন, “কিছু আওয়ামী লীগপন্থি ব্যক্তি ও স্থানীয় কাউন্সিলরদের সঙ্গে তার ব্যবসায়িক বিরোধ রয়েছে, যারা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। আমার ছোট ভাইকে র্যাব-ডিবি দিয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে। অথচ সে সাদ্দাম নয়, সাব্বির। আমি নিজে এলাকায় আসতে পারিনি, ভয় পালিয়ে থাকতে হয়েছে।”
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, “আমি ২৮ তারিখে এই থানায় যোগদান করেছি। তাই অভিযোগটি সম্পর্কে আমি অবগত নই।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী