ফুটবলার তুলে আনার সূতিকাগার পাইওনিয়ার লিগ। যেখান থেকে উঠে এসেছিলেন মোনেম মুন্না, আরমান মিয়া, জুয়েল রানার মতো তারকারা। কিন্তু গত দুই বছর হয়নি এই লিগ। এবার বছরের অর্ধেকটা সময় পেরোনোর পরও সূচি চূড়ান্ত করতে পারেনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

আরও পড়ুন৮ গোলের থ্রিলার শেষে ব্রাজিলের টানা ৫ম কোপা আমেরিকা জয়০৩ আগস্ট ২০২৫

বাফুফে নির্বাচনের ১৪ দিন পর গত ৯ নভেম্বর সদস্যের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করা হয়। এক বছরের জন্য পাইওনিয়ার লিগের চেয়ারম্যান হন টিপু সুলতান। দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার প্রায় ৯ মাস পেরিয়েও পাইওনিয়ার লিগ শুরু করা নিয়ে আজ পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারেননি তিনি, ‘আমরা অক্টোবরের শেষ দিকে একটা সময় দিয়েছি, যদিও সেটা চূড়ান্ত নয়। এখনো তো দুই মাসের বেশি সময় আছে, সূচি ঠিক হয়ে যাবে।’

যদিও তিন মাস পরই টিপু সুলতানের পাইওনিয়ার লিগের চেয়ারম্যানের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। এরপর কী হবে, সেটা জানেন না তিনিও।

বাফুফে ভবন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প ইওন য় র ল গ

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে এক কর্মচারী চাকরিচ্যুত

নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় দুই বছর আগে যোগদান করা চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারীকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সত্যতা পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৪৮তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। চাকরিচ্যুত কর্মচারী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের বুক সর্টার অর্পনা কুমারী। তাঁর চাকরিচ্যুতির বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আলিমুল ইসলাম প্রথম আলোকে নিশ্চিত করে বলেন, মার্কশিট ও সার্টিফিকেট টেম্পারিং করে অর্পনা চাকরি নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত শেষে সত্যতা পেয়ে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা ২০২৩ (সংশোধিত)’-এর ৪ (২) ধারা অনুযায়ী অর্পনাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সিন্ডিকেটের ৪৮তম সভায় উপস্থাপন করা হলে, তা বিবেচনায় নিয়ে গত ৩১ মে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অর্পনা কুমারীর বিরুদ্ধে চাকরিতে যোগদানের সময় নির্ধারিত বিধি ও যোগ্যতা উপেক্ষা করে অনিয়মতান্ত্রিক উপায়ে নিয়োগ গ্রহণের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরে এলে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তাঁকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত অফিস আদেশের বিষয়টি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এই আদেশ ৪ আগস্ট (আজ সোমবার) থেকে কার্যকর হবে। পাশাপাশি অর্পনা কুমারীকে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে সরকারি নিরীক্ষা দল কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আর্থিক নিরীক্ষায় তাঁর দায়িত্বে থাকা সময়ে কোনো আর্থিক দায়দেনা নিরূপিত হলে, এর দায়ভার তাঁকেই বহন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ