প্রেমে সাড়া না পেয়ে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ করেন এক তরুণ। এ ঘটনার প্রায় আড়াই মাস পর আজ বুধবার ভোরে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করেছে র‍্যাব। পাশাপাশি অভিযুক্ত মুস্তাকিন মিয়াকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার মুস্তাকিন মিয়ার বাড়ি বানিয়াচং উপজেলার চাঁনপুর গ্রামে। আজ তাঁকে আদালতের মাধ্যমে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি ওই কিশোরীকে তাঁর পরিবারের জিম্মায় দেন আদালত।

অভিযোগ ও মামলার বিবরণে জানা যায়, স্কুলে যাওয়া-আসার পথে মুস্তাকিন মিয়া ওই কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করতেন। একপর্যায়ে প্রেমের প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় ওই তরুণ ক্ষিপ্ত ছিলেন। গত ১৩ মে বেলা একটার দিকে ওই কিশোরী এসএসসি পরীক্ষা শেষে কেন্দ্রের সামনে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল। তখন মুস্তাকিন তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা ১৮ মে নবীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০২০)–এর ৭/৩০ ধারায় মামলা করেন।

এদিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-৯-এর হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের একটি দল আজ ভোরে জেলার বাহুবল উপজেলা সদরে একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মুস্তাকিনকে (২৫) গ্রেপ্তার করে। পাশাপাশি ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় মুস্তাকিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে দাবি করেন যে তিনি ওই কিশোরীকে বিয়ে করেছেন। যদিও আইনগত কোনো প্রমাণ তিনি দেখাতে পারেননি।

র‍্যাব-৯-এর গণমাধ্যম কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম শহীদুল ইসলাম মুস্তাকিন মিয়াকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ওই ক শ র ক

এছাড়াও পড়ুন:

চুয়াডাঙ্গায় চোরাচালানের সোনা আত্মসাৎ নিয়ে বিরোধ–অপহরণ, যশোরে উদ্ধার ৫

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা সীমান্তে সোনার চালান আত্মসাৎ নিয়ে বিরোধের জেরে অপহৃত বাবা-ছেলেসহ পাঁচজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার ভোরে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের কুল্লা গ্রামের রেজাউল ইসলামের খামারের একটি গুদামের ভেতর থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার ব্যক্তিরা হলেন জীবননগরের গোয়ালপাড়া গ্রামের আনারুল ইসলাম (৫২), তাঁর ছেলে শফিউল ইসলাম (২৭), স্বপন হোসেন (৪০), আবুল হোসেন (৩০) ও হাসান মণ্ডল (২৭)।

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ, সাইবার ক্রাইম অপরাধ প্রতিরোধ দল, পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও জীবননগর থানা-পুলিশ যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে। আজ সকালে ঘটনাস্থল থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) জামাল আল নাসের প্রথম আলোকে বলেন, চুয়াডাঙ্গায় ফিরে অভিযানের বিষয়ে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিস্তারিত জানানো হবে।

জীবননগর থানা-পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সোনার একটি চালান আত্মসাতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোয়ালপাড়া গ্রামের দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। যা পরে জানাজানি হয়েছে। গত ১৩ অক্টোবর আনারুল ও তাঁর ছেলে শফিউল এবং পরদিন স্বপন, আবুল ও হাসানকে কৌশলে অপহরণ করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁদের সন্ধান না পাওয়ায় ২১ অক্টোবর জীবননগর থানায় একটি অপহরণের মামলা করা হয়।

হাসান মণ্ডলের বাবা শওকত আলী বাদী হয়ে ওই মামলায় গোয়ালপাড়া গ্রামের ছয়জনকে আসামি করেন। তাঁরা হলেন তিন ভাই আবদুল মজিদ (৪০), আবদুস সামাদ (৪৫) ও বিপ্লব হোসেন (৫০); লালন মণ্ডল (৪২), শাহিন উদ্দিন (৩২) ও মিজানুর রহমান (৩০)।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার ভোরে জীবননগর থানা-পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে হরিহরনগর গ্রাম থেকে আজিজুল হক (৪৫) ও আমিরুল ইসলামকে (৩৭) সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের দেওয়া তথ্য পর্যালোচনাসহ বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ ভোরে যশোরে অভিযান চালানো হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চুয়াডাঙ্গায় চোরাচালানের সোনা আত্মসাৎ নিয়ে বিরোধ–অপহরণ, যশোরে উদ্ধার ৫
  • এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩১ ডিসেম্বর
  • ছয় বছর ধরে নিখোঁজের পর ফেনীতে মৃত অবস্থায় উদ্ধার, সেই আহাদ আসলে কে