প্রেমে সাড়া না পেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ, আড়াই মাস পর উদ্ধার
Published: 6th, August 2025 GMT
প্রেমে সাড়া না পেয়ে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ করেন এক তরুণ। এ ঘটনার প্রায় আড়াই মাস পর আজ বুধবার ভোরে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করেছে র্যাব। পাশাপাশি অভিযুক্ত মুস্তাকিন মিয়াকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার মুস্তাকিন মিয়ার বাড়ি বানিয়াচং উপজেলার চাঁনপুর গ্রামে। আজ তাঁকে আদালতের মাধ্যমে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি ওই কিশোরীকে তাঁর পরিবারের জিম্মায় দেন আদালত।
অভিযোগ ও মামলার বিবরণে জানা যায়, স্কুলে যাওয়া-আসার পথে মুস্তাকিন মিয়া ওই কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করতেন। একপর্যায়ে প্রেমের প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় ওই তরুণ ক্ষিপ্ত ছিলেন। গত ১৩ মে বেলা একটার দিকে ওই কিশোরী এসএসসি পরীক্ষা শেষে কেন্দ্রের সামনে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল। তখন মুস্তাকিন তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা ১৮ মে নবীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০২০)–এর ৭/৩০ ধারায় মামলা করেন।
এদিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯-এর হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের একটি দল আজ ভোরে জেলার বাহুবল উপজেলা সদরে একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মুস্তাকিনকে (২৫) গ্রেপ্তার করে। পাশাপাশি ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় মুস্তাকিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে দাবি করেন যে তিনি ওই কিশোরীকে বিয়ে করেছেন। যদিও আইনগত কোনো প্রমাণ তিনি দেখাতে পারেননি।
র্যাব-৯-এর গণমাধ্যম কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম শহীদুল ইসলাম মুস্তাকিন মিয়াকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ওই ক শ র ক
এছাড়াও পড়ুন:
মালয়েশিয়ায় পাচারের সময় নারী-শিশুসহ ৬৬ জন উদ্ধার
কক্সবাজারের টেকনাফে মালয়েশিয়ায় পাচারের উদ্দেশ্যে জড়ো করা ৬৬ জনকে উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী। তাঁদের মধ্যে ৪৪ জনই নারী-শিশু। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চালানো অভিযানে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া এলাকার গহিন পাহাড় থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়।
কোস্টগার্ড জানায়, উদ্ধার হওয়া ৬৬ জনের বেশির ভাগই রোহিঙ্গা নাগরিক। সংঘবদ্ধ একটি দালাল চক্রের সহায়তায় পাচারকারীরা তাঁদের গহিন পাহাড়ের ভেতরে একটি আস্তানায় জড়ো করে। তাঁদের মধ্যে কাউকে মালয়েশিয়ায় উন্নত জীবনযাপনের প্রলোভন, আবার কাউকে অপহরণ করে নিয়ে আসা হয়। অপহরণ করে নিয়ে আসা ব্যক্তিদের সেখানে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা চলছিল। গোপনে খবর পেয়ে ওই আস্তানায় কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৬৬ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও পাচারকারী দলের ১৫ থেকে ২০ জন পালিয়ে যায়।
কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, পাচারকারী দলের সদস্যদের চিহ্নিত করে আটকের চেষ্টা চলছে। উদ্ধার হওয়া ৬৬ জনের পরিচয় যাচাই-বাছাই করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে এ পর্যন্ত টেকনাফে ৬২ মানব পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং উদ্ধার করা হয়েছে ৭৭ জনকে। শীত মৌসুমে মানব পাচারের ঘটনা বেশি ঘটে।