ভেজাল তেলে গাড়ির ক্ষতি, খরচ বাড়ছে মালিকদের
Published: 22nd, October 2025 GMT
নিশান এক্সট্রেইল গাড়ির হাইব্রিড মডেল ব্যবহার করেন সরকারি কর্মকর্তা হাসান মূর্তাজা। সাভার ও আমিনবাজারের দুটি পাম্প থেকে নিয়মিত অকটেন কেনেন তিনি। আগে প্রতি লিটারে ৮-৯ কিলোমিটার মাইলেজ পেতেন। দুই মাস ধরে ৫-৬ কিলোমিটারে নেমে এসেছে। নিয়মিত গাড়ি পরীক্ষা করান, গাড়িতে কোনো ত্রুটি নেই। তবু মাইলেজ কমে গেছে।
এক লিটার জ্বালানি তেল ব্যবহার করে একটি গাড়ি বা মোটরসাইকেল যত রাস্তা যায়, সেটিই মাইলেজ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গাড়ি বা মোটরসাইকেলের ধরন বুঝে মাইলেজ আলাদা হতে পারে। কিন্তু একই গাড়ি বা মোটরসাইকেলের হঠাৎ মাইলেজ কমতে পারে যান্ত্রিক ত্রুটি বা তেলের কারণে। বাজারে নিম্নমানের ভেজাল তেল বেড়েছে। তাই একই পরিমাণ তেলে গাড়ি আগের মতো চলছে না।
নোয়াখালী জেলার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী ফখরে আলমের মোটরবাইক চলেছে প্রায় ২৫ হাজার কিলোমিটার। এরই মধ্যে বাইকের তেলের ট্যাংকে জং ধরে ছিদ্র হয়ে গেছে। নষ্ট হয়ে গেছে বাইকের কার্বোরেটর। তিনি বলেন, ভেজাল তেলের কারণে এমনটা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাইকের মেকানিকরা।
নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর বাইক মেকানিক মো.
দেশে জ্বালানি সরবরাহের একমাত্র রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। আমদানির পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি তেল পরিশোধনাগার, গ্যাস ফিল্ডের পরিশোধনাগার থেকে তেল সংগ্রহ করে সংস্থাটি। এসব তেল ডিলারদের মাধ্যমে বাজারে বিক্রি করে বিপিসির অধীন থাকা তিন সরকারি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা। সারা দেশে তেল সরবরাহ করতে তিন কোম্পানির মিলে ৪৭টি ডিপো আছে। এর মধ্যে কিছু ডিপোয় ভেজাল মিশিয়ে তেল চুরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। বেসরকারি পরিশোধনাগার থেকে নিম্নমানের তেল সংগ্রহ করারও অভিযোগ আছে তেল চুরির চক্রের বিরুদ্ধে।
যশোরের সাজেদ রহমান বলেন, ৫০০ টাকায় ৪ দশমিক ২ লিটার অকটেন কিনে বাইকে করে শহরের মধ্যে ১৫০ কিলোমিটার চলাচল করা যেত। এখন একই তেলে ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটারের বেশি চলে না।
সমিতির সদস্য পেট্রলপাম্প মালিকেরা মাঝেমধ্যেই ভেজাল তেল নিয়ে অভিযোগ করছেন উল্লেখ করে বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প মালিক সমিতির একাংশের সভাপতি মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, এসব অভিযোগ বিপিসিকে জানানো হচ্ছে। ডিপো থেকে তেল পরীক্ষা করে নেওয়ার ব্যবস্থা করার কথা ছিল ১০ বছর আগে, যা করা হয়নি।
সারা দেশে তেল সরবরাহ করতে তিন কোম্পানির মিলে ৪৭টি ডিপো আছে। এর মধ্যে কিছু ডিপোয় ভেজাল মিশিয়ে তেল চুরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। বেসরকারি পরিশোধনাগার থেকে নিম্নমানের তেল সংগ্রহ করারও অভিযোগ আছে তেল চুরির চক্রের বিরুদ্ধে।আরও পড়ুন‘তেল চুরি’, ব্রাজিল বাড়ি ও তাঁদের আয়েশি জীবন১৮ অক্টোবর ২০২৫অভিযোগ আছে গ্রাহকদেরজ্বালানি তেল কোম্পানির সূত্র বলছে, এ খাতে তেল চুরি সব সময়ই ছিল। তাপমাত্রার কারণে বৃদ্ধি পাওয়া তেল ও পরিচালন ক্ষতির নামে তেল চুরি হতো। এখন শুরু হয়েছে তেলে ভেজাল মিশিয়ে চুরি করা। এক বছর ধরে এ প্রবণতা বেড়ে গেছে। বাইরে থেকে কম দামের ভেজাল তেল ডিপোতে নিয়ে এসে পেট্রল ও অকটেনের সঙ্গে মেশানো হয়। ভেজাল তেল নিয়ে অভিযোগ আছে গ্রাহকদের। মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে পেট্রলপাম্পকে জরিমানা করা হয়। তবে ডিপো থেকে ভেজাল তেলের এ ব্যবসা থামেনি। ডিপোতে অভিযানও হয় না। ডিপো থেকে ভেজাল তেল সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে কিছু ট্যাংকার ও পেট্রলপাম্প মালিক জড়িত।
মাঝেমধ্যে পেট্রলপাম্পে অভিযান চালায় বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। এসব অভিযানে মাপে তেল কম দেওয়ার কারণে জরিমানাও করা হয়। তবে তেলের মান পরীক্ষা করা হয় না। পেট্রলপাম্প মালিকেরা বলছেন, তেলের মান পরীক্ষার মতো আধুনিক যন্ত্রপাতি বিএসটিআইয়ের কাছেও থাকে না।
বিএসটিআইয়ের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, পেট্রলপাম্প থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করে নিম্নমানের তেল পাওয়া গেলে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। জবাবে তারা বলে, ডিপো থেকে এ তেল সংগ্রহ করেছে। যদিও ডিপোতে তেল পরীক্ষা করা হয় না। কেননা দফায় দফায় চিঠি দিলেও তিন তেল কোম্পানির কেউ বিএসটিআই থেকে লাইসেন্স নেয়নি। যদিও লাইসেন্স বাধ্যতামূলক।
জ্বালানি তেল কোম্পানির সূত্র বলছে, এ খাতে তেল চুরি সব সময়ই ছিল। তাপমাত্রার কারণে বৃদ্ধি পাওয়া তেল ও পরিচালন ক্ষতির নামে তেল চুরি হতো। এখন শুরু হয়েছে তেলে ভেজাল মিশিয়ে চুরি করা। এক বছর ধরে এ প্রবণতা বেড়ে গেছে।আরও পড়ুনডিপো থেকে তেল চুরির ঘটনা তদন্ত করছে জ্বালানি বিভাগ০৭ অক্টোবর ২০২৫গাড়ির ট্যাংকে জং ধরছেডিপো থেকে সংগ্রহ করা জ্বালানি তেলের মান নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে ১২ অক্টোবর বিপিসিকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস, ডিস্ট্রিবিউটরস, এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। এতে বলা হয়, তিনটি তেল কোম্পানির মানে ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে। পেট্রল ও অকটেনের মান খারাপ হওয়ায় মোটরসাইকেল ও গাড়ির ট্যাংকে মরিচা ও জং ধরছে। পাম্পে তেল মজুতের ট্যাংকেও জং ধরছে। সঠিক মাপে তেল দিতে সমস্যা হচ্ছে। তেলের মান ও রঙে পরিবর্তন হচ্ছে।
পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম বলেন, বিএসটিআই এসে পেট্রলপাম্পে জরিমানা করে, তারা ডিপোতে যায় না। অথচ ডিপো থেকে পাতলা তেল সরবরাহ করা হচ্ছে। এক বছর ধরে তেলের মানে সমস্যা হচ্ছে।
এর আগে নিম্নমানের তেল পাওয়ার অভিযোগ জানিয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর পদ্মা তেল কোম্পানিকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি। এতে বলা হয়, খুলনার দৌলতপুরে পদ্মার ডিপো থেকে আসা পেট্রল ও অকটেনের গন্ধ তীব্র। মোটরসাইকেল ঠিকমতো মাইলেজ পাচ্ছে না।
মাঝেমধ্যে পেট্রলপাম্পে অভিযান চালায় বিএসটিআই। এসব অভিযানে মাপে তেল কম দেওয়ার কারণে জরিমানাও করা হয়। তবে তেলের মান পরীক্ষা করা হয় না। পেট্রলপাম্প মালিকেরা বলছেন, তেলের মান পরীক্ষার মতো আধুনিক যন্ত্রপাতি বিএসটিআইয়ের কাছেও থাকে না।আরও পড়ুনসরকারি তেলের ডিপো থেকে পৌনে ৪ লাখ লিটার ডিজেল গায়েব০১ অক্টোবর ২০২৫বিপিসির চেয়ারম্যান আমিন উল আহসান বলেন, বিএসটিআইয়ের নির্ধারিত মান বজায় রেখেই তেল সরবরাহ করা হয়। বিপণনপ্রক্রিয়ার মাঝপথে কোথাও ভেজাল মেশানো হতে পারে বা অবৈধ তেল ঢুকতে পারে। ভেজাল রোধে পেট্রলপাম্পে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। ডিপোতেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
নিম্নমানের ভেজাল তেল সরবরাহ করে জনগণের সঙ্গে, ভোক্তার সঙ্গে সরকার তামাশা করছে বলে মনে করেন ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম।
আরও পড়ুনডিপো থেকে ফিলিং স্টেশন—তেল চুরির ঘটনার নেপথ্যে কারা?২০ অক্টোবর ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প ট রলপ ম প ম ল ক ত ল র ম ন পর ক ষ ব এসট আইয় র ব সরক র ত ল পর অকট ন সমস য
এছাড়াও পড়ুন:
হঠাৎ বেড়েছে পেঁয়াজের দাম, কারণ কী
চট্টগ্রামের বাজারে হঠাৎ বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। গত অক্টোবর মাসজুড়ে খুচরা পর্যায়ে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল পেঁয়াজ। তবে চলতি নভেম্বর মাসের শুরুতেই প্রায় ২৫ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে দাম। আমদানি না থাকা ও দেশি পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হওয়ায় দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ বছর পেঁয়াজের আমদানি খুব বেশি হয়নি। দেশি পেঁয়াজের ওপর বাজার নির্ভর ছিল। অক্টোবর পর্যন্ত বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ থাকলেও এখন তা কমে গেছে। ফলে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আগামী ডিসেম্বর মাসে বাজারে আগাম পেঁয়াজ আসা শুরু হতে পারে। তখন দাম কমবে। নভেম্বরে দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকতে পারে।
চট্টগ্রামের বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহ হয় দেশে ভোগ্যপণ্যের বৃহৎ আড়ত খাতুনগঞ্জ থেকে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খাতুনগঞ্জের আড়তগুলোতে আকার ও মানভেদে দেশি পেঁয়াজ ৯২ থেকে ১০০ টাকার দরে বিক্রি হয়েছে। এক মাস আগেও দাম ছিল ৭০ থেকে ৭৫ টাকার মধ্যে। বাজারে এই মুহূর্তে আমদানি পেঁয়াজ নেই বললেই চলে।
খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিঞা মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, বাজারে কোনো আমদানি পেঁয়াজ নেই। দেশি পেঁয়াজ দিয়েই বাজার চলছে। দাম এ মাসে কিছুটা বেশি থাকতে পারে। আমদানির অনুমতি দিলে হয়তো কিছুটা কমবে। নাহয় কয়েক মাসে আগাম পেঁয়াজ এসে যাবে বাজারে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত অর্থবছরে জেলায় পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে ৯১ হেক্টর জমিতে। আর উৎপাদন ছিল ৬৭১ টন। চলতি অর্থবছরে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১০২ হেক্টর এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৭৯২ টন। অর্থাৎ আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর চট্টগ্রামের পেঁয়াজও এখানকার বাজারে চাহিদা পূরণ করবে।আমদানি কমেছে ৯৫ ভাগ
চট্টগ্রামের বাজার মূলত আমদানি পেঁয়াজনির্ভর। দেশে প্রতিবছর যে পেঁয়াজ আমদানি হয় তাঁর অধিকাংশ ভারত থেকে আসে। দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে আসা ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা চট্টগ্রামে তুলনামূলক বেশি। পাশাপাশি পাকিস্তানি, চীনা ও মিসরের পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে।
দাম এ মাসে কিছুটা বেশি থাকতে পারে। আমদানির অনুমতি দিলে হয়তো কিছুটা কমবে। নাহয় কয়েক মাসে আগাম পেঁয়াজ এসে যাবে বাজারে।মোহাম্মদ ইদ্রিস, সাধারণ সম্পাদক, খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিঞা মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতিতবে এ বছর চট্টগ্রামের বাজারে ‘রাজত্ব’ ছিল দেশি পেঁয়াজের। আমদানির অনুমতি বন্ধ ও পেঁয়াজের উৎপাদন ভালো হওয়ায় বাজারে আমদানি পেঁয়াজের চাহিদা ছিল না। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে (২০২৫-২৬) জুলাই থেকে অক্টোবর মাসে দেশে পেঁয়াজ এসেছে ১৩ হাজার টন। গত অর্থবছরে (২০২৪-২৫) একই সময় আমদানি ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার টন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) হিসাবে, গত অর্থবছরের প্রথম চার মাসের তুলনায় এবার আমদানি কমেছে প্রায় ৯৫ শতাংশ। দেশের কৃষকদের জন্য এটি ভালো দিক বলে মনে করছেন পাইকারি আড়তদারেরা। তাঁরা বলছেন, কৃষকেরা দাম পাচ্ছেন, পাশাপাশি অন্য দেশের বাজারের ওপর আর দাম নির্ভর করছে না। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে পেঁয়াজের আবাদ ভালো হবে এবারও।
দেশের আমদানি পেঁয়াজের অধিকাংশই ভারতীয়। এ অর্থবছরেও আমদানির ৯৯ শতাংশ এসেছে ভারত থেকে। গত বছর ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়লে দেশে পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়। এরপর দেশে উৎপাদন বাড়লে আমদানি অনুমতি (আইপি) বন্ধ রাখা হয়। তবে গত এপ্রিল ও আগস্ট মাসে দাম বাড়লে আইপি দেওয়া হয়।
চট্টগ্রামে বাড়ছে উৎপাদন
বাজারে সাধারণ ডিসেম্বর মাসে আগাম পেঁয়াজ বা মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসে। এরপর জানুয়ারিতে রাজবাড়ী ও ফরিদপুরের পেঁয়াজ বাজারে এসে যায়। সেটি সরবরাহের মধ্যেই মেহেরপুর, জামালপুরসহ অন্যান্য জেলার পেঁয়াজও বাজারে আসে। গত বছর থেকে এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে চট্টগ্রাম জেলার পেঁয়াজও। গত বছর জেলায় পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে বেশি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত অর্থবছরে জেলায় পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে ৯১ হেক্টর জমিতে। আর উৎপাদন ছিল ৬৭১ টন। চলতি অর্থবছরে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১০২ হেক্টর এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৭৯২ টন। অর্থাৎ আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর চট্টগ্রামের পেঁয়াজও এখানকার বাজারে চাহিদা পূরণ করবে।
এদিকে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় ক্রেতারা ক্ষোভ জানিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, দাম বাড়লেও ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত ক্রেতারা মানিয়ে নেন। এক লাফে ২০ টাকার বেশি বেড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক।
চাক্তাই শিল্প ও ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আহসান খালেদ বলেন, এক মাস হয়তো দাম একটু বাড়তি। কিছু সার্বিকভাবে কৃষকেরা এবার লাভবান হয়েছেন। আমদানির খবরে বাজারে দাম কিছুটা নেমে আসে। আবহাওয়া ঠিক থাকলে সামনেই মুড়িকাটা এসে যাবে। ফেব্রুয়ারির মধ্যেই বাজারে সরবরাহ বেড়ে যাবে আবার।