এর আগে জাতীয় দল বা বয়সভিত্তিক কোনো পর্যায়ে কখনোই লাওসের মুখোমুখি হয়নি বাংলাদেশ। আজ অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ নারী বাছাইয়ের ম্যাচে প্রথম দেখায় লাওসকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ দল।

ভিয়েনতিয়েনের নিউ লাওস ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুবার গোল উদ্‌যাপন করে মেয়েরা। বিপরীতে এক গোল হজমও করেছে। বাংলাদেশের হয়ে দুই গোল করেন মোসাম্মত সাগরিকা। অন্য গোলটি আসে মুনকির পা থেকে। আগামী শুক্রবার দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পূর্ব তিমুর।

জাতীয় দলের র‍্যাঙ্কিংয়ে লাওস বাংলাদেশ (১২৮) থেকে ২১ ধাপ এগিয়ে ১০৭তম অবস্থানে। কিন্তু বয়সভিত্তিক দলের ম্যাচটিতে মাঠের লড়াইয়ে পার্থক্য চোখে পড়েছে উল্টো। ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই লাওসকে চাপে রেখেছে বাংলাদেশ। সে জন্য গোল পেতেও বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। ৩৬ মিনিটে বাংলাদেশকে লিড এনে দেন সাগরিকা। শান্তি মার্ডির কর্নারে মাথা ঠুকেই সতীর্থদের নিয়ে উদ্‌যাপন শুরু করেন এই ফরোয়ার্ড।

৪১ মিনিটে সিনহা জাহান শিখার শট সরাসরি পোস্টে না লাগলে গোলের ব্যবধান বাড়তে পারত। এর আগে ম্যাচের প্রথম ২০ মিনিটে দুটি দারুণ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা।

বিরতির পর ৫৮ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বল টেনে ডি-বক্সের সামনে থাকা মুনকি আক্তারকে বাড়িয়ে দেন তৃষ্ণা রানী। এমন সুযোগ মিস করেননি মুনকি। ঠান্ডা মাথায় নিখুঁত শটে ব্যবধান ২-০ করেন এই মিডফিল্ডার।

৬৯ মিনিটে গোলকিপার স্বর্ণা রানীর প্রচেষ্টায় বড় বিপদ থেকে রক্ষা পায় বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের শট খানিকটা এগিয়েই গ্লাভসবন্দি করেন তিনি। ৭২ মিনিটে বাঁ প্রান্ত ধরে আক্রমণে ওঠা বাংলাদেশের স্বপ্না রানীর ক্রসে আবার হেড নেন সাগরিকা। কিন্তু এবার তাঁর হেড রুখে দেয় বেরসিক গোলপোস্ট।

৮৬ মিনিটে বাংলাদেশের ডিফেন্ডারদের ভুলে এক গোল শোধ করে লাওস। অগোছালো রক্ষণে সুযোগটা কাজে লাগিয়ে গোল আদায় করে নেন স্বাগতিক ফরোয়ার্ড আন্না অনসি।

যোগ করা সময়ে তৃষ্ণার পাসে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোলটি করেন সাগরিকা। গত মাসে ঘরের মাঠে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে তিন ম্যাচে ৮ গোল করে টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছিলেন ১৭ বছর বয়সী এই ফুটবলার।

মাসখানেক আগে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। ভিয়েতনামে ছোটরাও খেলছে একই লক্ষ্যে। প্রথম ম্যাচ জয় দিয়ে শুরু করায় সেই পথে খানিকটা এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। দিনের অন্য ম্যাচে পূর্ব তিমুরকে ৯-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। বাংলাদেশ এবং কোরিয়ার পয়েন্ট সমান তিন হলেও গোলব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় আপাতত টেবিলের দুইয়ে বাংলাদেশ।  

‘এইচ’ গ্রুপে থাকা বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল দল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকতে পারলে জায়গা করতে পারবে আগামী বছরের চূড়ান্ত পর্বে। দ্বিতীয় হলেও বেঁচে থাকবে আশা। সে ক্ষেত্রে আটটি গ্রুপের আট রানার্সআপের মধ্যে সেরা তিনে থাকতে হবে।

অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে এর আগে বাংলাদেশ দল ১২ ম্যাচ খেলে মাত্র দুটিতে জিতেছিল। আজ জিতল তৃতীয় ম্যাচ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

সাগরিকার জোড়া গোলে জয়ে শুরু বাংলাদেশের

এর আগে জাতীয় দল বা বয়সভিত্তিক কোনো পর্যায়ে কখনোই লাওসের মুখোমুখি হয়নি বাংলাদেশ। আজ অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ নারী বাছাইয়ের ম্যাচে প্রথম দেখায় লাওসকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ দল।

ভিয়েনতিয়েনের নিউ লাওস ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুবার গোল উদ্‌যাপন করে মেয়েরা। বিপরীতে এক গোল হজমও করেছে। বাংলাদেশের হয়ে দুই গোল করেন মোসাম্মত সাগরিকা। অন্য গোলটি আসে মুনকির পা থেকে। আগামী শুক্রবার দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পূর্ব তিমুর।

জাতীয় দলের র‍্যাঙ্কিংয়ে লাওস বাংলাদেশ (১২৮) থেকে ২১ ধাপ এগিয়ে ১০৭তম অবস্থানে। কিন্তু বয়সভিত্তিক দলের ম্যাচটিতে মাঠের লড়াইয়ে পার্থক্য চোখে পড়েছে উল্টো। ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই লাওসকে চাপে রেখেছে বাংলাদেশ। সে জন্য গোল পেতেও বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। ৩৬ মিনিটে বাংলাদেশকে লিড এনে দেন সাগরিকা। শান্তি মার্ডির কর্নারে মাথা ঠুকেই সতীর্থদের নিয়ে উদ্‌যাপন শুরু করেন এই ফরোয়ার্ড।

৪১ মিনিটে সিনহা জাহান শিখার শট সরাসরি পোস্টে না লাগলে গোলের ব্যবধান বাড়তে পারত। এর আগে ম্যাচের প্রথম ২০ মিনিটে দুটি দারুণ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা।

বিরতির পর ৫৮ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বল টেনে ডি-বক্সের সামনে থাকা মুনকি আক্তারকে বাড়িয়ে দেন তৃষ্ণা রানী। এমন সুযোগ মিস করেননি মুনকি। ঠান্ডা মাথায় নিখুঁত শটে ব্যবধান ২-০ করেন এই মিডফিল্ডার।

৬৯ মিনিটে গোলকিপার স্বর্ণা রানীর প্রচেষ্টায় বড় বিপদ থেকে রক্ষা পায় বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের শট খানিকটা এগিয়েই গ্লাভসবন্দি করেন তিনি। ৭২ মিনিটে বাঁ প্রান্ত ধরে আক্রমণে ওঠা বাংলাদেশের স্বপ্না রানীর ক্রসে আবার হেড নেন সাগরিকা। কিন্তু এবার তাঁর হেড রুখে দেয় বেরসিক গোলপোস্ট।

৮৬ মিনিটে বাংলাদেশের ডিফেন্ডারদের ভুলে এক গোল শোধ করে লাওস। অগোছালো রক্ষণে সুযোগটা কাজে লাগিয়ে গোল আদায় করে নেন স্বাগতিক ফরোয়ার্ড আন্না অনসি।

যোগ করা সময়ে তৃষ্ণার পাসে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোলটি করেন সাগরিকা। গত মাসে ঘরের মাঠে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে তিন ম্যাচে ৮ গোল করে টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছিলেন ১৭ বছর বয়সী এই ফুটবলার।

মাসখানেক আগে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। ভিয়েতনামে ছোটরাও খেলছে একই লক্ষ্যে। প্রথম ম্যাচ জয় দিয়ে শুরু করায় সেই পথে খানিকটা এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। দিনের অন্য ম্যাচে পূর্ব তিমুরকে ৯-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। বাংলাদেশ এবং কোরিয়ার পয়েন্ট সমান তিন হলেও গোলব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় আপাতত টেবিলের দুইয়ে বাংলাদেশ।  

‘এইচ’ গ্রুপে থাকা বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল দল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকতে পারলে জায়গা করতে পারবে আগামী বছরের চূড়ান্ত পর্বে। দ্বিতীয় হলেও বেঁচে থাকবে আশা। সে ক্ষেত্রে আটটি গ্রুপের আট রানার্সআপের মধ্যে সেরা তিনে থাকতে হবে।

অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে এর আগে বাংলাদেশ দল ১২ ম্যাচ খেলে মাত্র দুটিতে জিতেছিল। আজ জিতল তৃতীয় ম্যাচ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ