সিলেটে জুলাই স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১৪
Published: 6th, August 2025 GMT
সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীদের পরিচালনায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে আয়োজিত জুলাই স্মৃতি ফুটসাল টুর্নামেন্টে হামলার ঘটনা ঘটেছে। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অস্ত্রসহ এ হামলা চালায় বলে দাবি শিক্ষার্থীদের।
বুধবার (৬ আগস্ট) বিকেল ৬টার দিকে সিলেটের বালুচর নয়াবাজার এলাকার কিংস ফুটসাল মাঠে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছে।
আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
হামলার পর সাঁওতালপাড়া ফাঁকা
যশোরে সাংবাদিকের ছেলে ছুরিকাহত
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে তাদের কলেজের শিক্ষার্থীরা জুলাই স্মৃতি ফুটসাল টুর্নামেন্টের আয়োজন করে। বুধবার টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচের এক পর্যায়ে সশস্ত্র ছাত্রলীগের একঝাঁক টোকাই ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এতে অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা হামলাকারীদের মধ্যে একজনকে আটক করতে পেরেছি । মূলত জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করায় সহ্য করতে না পেরে তারা পূর্বপরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে। স্থানীয় ছাত্রলীগের মামুন, আবির, রায়হান, বিপ্লব সহ বেশ কয়েকজন এই হামলার সাথে জড়িত বলে জানতে পেরেছি। অতিদ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ মো.
তিনি বলেন, “এ ঘটনায় অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছে বলে জেনেছি। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে শাহপরান থানার ওসি এবং ডিসি মহোদয়কে জানানো হয়েছে।”
ঢাকা/আইনুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচনের চেষ্টা হলে আরেকটি গণঅভ্যুত্থান হবে’
‘‘প্রয়োজন হলে বাংলাদেশে আরেকটি গণঅভ্যুত্থান হবে, কিন্তু পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন বাংলাদেশে হতে দেওয়া যাবে না।’’
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজশাহীতে পথসভায় এমন কথা বলেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের স্থানীয় নেতারা। দুপুরে বিক্ষোভ মিছিলের আগে শহরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে সংক্ষিপ্ত পথসভা হয়।
আরো পড়ুন:
গকসু নির্বাচন: যত্রতত্র প্রচারে বিরক্ত শিক্ষার্থীরা
চাকসু নিয়ে স্বরাষ্ট্র ও শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে চবি প্রশাসনের মতবিনিময়
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজশাহী মহানগর ও জেলার উদ্যোগে আয়োজিত পথসভায় বক্তব্য দেন, দলটির রাজশাহী জেলার সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী, মহানগরের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা হোসাইন আহমদ, জেলার সাধারণ সম্পাদক তারিক উদ্দিন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘‘গত ৫৪ বছরে যারা শাসক হিসেবে ছিলেন, তারা কখনোই শাসন করেননি, শোষণ করেছেন। স্বাধীনতার পর দেশের মানুষ মুক্তির যে আশা করেছিল, এখন পর্যন্ত তা দেখতে পায়নি। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর দেশবাসী মুক্তির যে পথ দেখে ছিল, বর্তমানে বাস্তবায়িত হচ্ছে না। ছাত্র-জনতার রক্তের উপর দাঁড়িয়ে একটি বিশেষ দলের চাপে সরকার রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া তাড়াতাড়ি নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। তা হতে দেওয়া হবে না।’’
তারা বলেন, ‘‘বর্তমানে একটি দল আবারো ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ শাসনের জন্য আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতি ছাড়া তাড়াতাড়ি নির্বাচন চাচ্ছে। দেশের সম্পদ লুটপাট করার জন্য তারা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় না। তারা পিআর বোঝেন না কিন্তু চাঁদাবাজি বোঝেন। আগে গণঅভ্যুত্থানের বিচার হবে, তারপর সংস্কার, তারপরে নির্বাচন। প্রয়োজন হলে বাংলাদেশে আরেকটি গণঅভ্যুত্থান হবে, কিন্তু পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন হবে না।’’
এর আগে জুমার নামাজের পর জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান করা, বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের বিচার এবং বিচার চলাকালীন তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবিতে সাহেববাজার বড়মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। শহরের সাহেববাজার ও মনিচত্বর প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়।
এতে ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আতিকুর রহমান মোজাহিদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি ফয়সাল হোসেন মনি, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের জেলার সভাপতি আবুল বাশার, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের জেলার সভাপতি হাফেজ আবুল হাসান, ইসলামী যুব আন্দোলনের মহানগরের সভাপতি হাসিবুর রহমানসহ দলটির প্রায় ২০০ জন নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
ঢাকা/কেয়া/বকুল