সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীদের পরিচালনায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে আয়োজিত জুলাই স্মৃতি ফুটসাল টুর্নামেন্টে হামলার ঘটনা ঘটেছে। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অস্ত্রসহ এ হামলা চালায় বলে দাবি শিক্ষার্থীদের।  

বুধবার (৬ আগস্ট) বিকেল ৬টার দিকে সিলেটের বালুচর নয়াবাজার এলাকার কিংস ফুটসাল মাঠে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছে।

আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আরো পড়ুন:

হামলার পর সাঁওতালপাড়া ফাঁকা

যশোরে সাংবাদিকের ছেলে ছুরিকাহত

প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে তাদের কলেজের শিক্ষার্থীরা জুলাই স্মৃতি ফুটসাল টুর্নামেন্টের আয়োজন করে। বুধবার টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচের এক পর্যায়ে সশস্ত্র ছাত্রলীগের একঝাঁক টোকাই ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এতে অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। 

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা হামলাকারীদের মধ্যে একজনকে আটক করতে পেরেছি । মূলত জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করায় সহ্য করতে না পেরে তারা পূর্বপরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে। স্থানীয় ছাত্রলীগের মামুন, আবির, রায়হান, বিপ্লব সহ বেশ কয়েকজন এই হামলার সাথে জড়িত বলে জানতে পেরেছি। অতিদ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ মো.

আসাদুজ্জামান বলেন, “গতকাল মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আয়োজনে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট’ শুরু হয়। আজ টুর্নামেন্ট চলাকালে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীরা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ছাত্রদের ওপর হামলা করে।”

তিনি বলেন, “এ ঘটনায় অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছে বলে জেনেছি। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে শাহপরান থানার ওসি এবং ডিসি মহোদয়কে জানানো হয়েছে।”

ঢাকা/আইনুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কল জ র

এছাড়াও পড়ুন:

বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে 

বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন দেখা গেছে।

বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সম্প্রতি যেসব দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, সেসব দেশে পরবর্তী এক বছরে এফডিআই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালের পর এফডিআই কমেছে ১৯.৪৯ শতাংশ, চিলিতে ২০১৯ সালের পর কমেছে ১৫.৬৮ শতাংশ, সুদানে ২০২১ সালের পর ২৭.৬০ শতাংশ, ইউক্রেনে ২০১৪ সালের পর ৮১.২১ শতাংশ, মিশরে ২০১১ সালের পর ১০৭.৫৫ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৯৮ সালের পর ১৫১.৪৯ শতাংশ কমেছে। এই ধারাবাহিক হ্রাসের মধ্যে বাংলাদেশে এফডিআইর ১৯.১৩ শতাংশ বৃদ্ধির চিত্র বিশেষভাবে নজরকাড়া।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গুণ হলো—শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করার অদ্ভুত ক্ষমতা। এই পরিসংখ্যান তার দারুন একটা প্রতিফলন। সাধারণত, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, কিন্তু আমরা উল্টা দেখছি। সঠিক নীতি নির্ধারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার আন্তরিকতা এবং প্রাইভেট সেক্টরের অদম্য স্পৃহা কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। সব সমস্যার সমাধান হয়নি, তবে সদিচ্ছার কোনো ত্রুটি ছিল না। শিগগিই সারা বছরের একটি আমলনামা (রিপোর্ট কার্ড) প্রকাশ করা হবে।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৮৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ হয় ৯২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, তবে ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৬৭৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই ধারা বজায় থাকা অত্যন্ত ইতিবাচক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।

ঢাকা/নাজমুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে