জিএম কাদেরের নেতৃত্বেই জাতীয় পার্টি: শামীম হায়দার পাটোয়ারী
Published: 9th, August 2025 GMT
অতীতে যারা দল ভেঙেছেন, মূল স্রোতের বাইরে গিয়ে দলের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছেন তারাই নিশ্চিহ্ন হয়েছেন মন্তব্য করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, নেতাকর্মীরা জিএম কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন। তার নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে এগিয়ে যাবে।
শনিবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় তরুণ পার্টির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘‘আমরা এখন আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি ঐক্যবদ্ধ রয়েছি। জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেবে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও জিএম কাদেরের অনুসারীরা।’’
দেশে তীব্র রাজনৈতিক শূন্যতা চলছে জানিয়ে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘‘দেশ পরিচালনায় অভিজ্ঞ রাজনীতিবীদদের দূরে রাখা হচ্ছে। ফলে দেশ, রাষ্ট্র, সরকার, প্রশাসন দুর্বল থেকে দুর্বলতর হচ্ছে। দেশের ঐক্য, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অখন্ডতা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। জাতীয় পার্টি খোলনলচে বদলে দেশের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।’’
এ সময় তরুণ, যুবক ও ছাত্রদের দেশ চালাতে জাতীয় পার্টির পতাকাতলে আসার আহ্বান জানান তিনি।
‘‘দেশের মানুষের নিরাপত্তা দিতে সরকার ব্যর্থ হচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সুদূর পরাহত মনে হচ্ছে। সব দলের সাথে আলোচনা করে দেশ বাঁচাতে হবে। ঐক্যমত সৃষ্টি করতে হবে। নির্বাচনকালীন সরকারকে সুষ্ঠু নির্বাচনের সক্ষমতা ও সদিচ্ছা দেখাতে হবে,’’ বলেন শামীম পাটোয়ারী।
সভায় জাতীয় পার্টি প্রেসিডিয়াম সদস্য এ্যাড.
উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. গোলাম মোস্তফা, এ্যাড. লিয়াকত আলী খান, ভাইস চেয়ারম্যান আমির উদ্দিন ডালু, চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী, সাংগঠনিক সম্পাদক এমএ হান্নান, যুগ্ম সাংগঠনিক বাহাদুর ইসলাম ইমতিয়াজ, শেখ মোঃ সরোয়ার হোসেন, যুগ্ম দফতর সম্পাদক সমরেশ মন্ডল মানিক, যুগ্ম শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিঃ মোঃ জুবায়ের আহমেদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ টুলু, মোঃ সামছুল হক, মোঃ ফারুক সুজন, জাতীয় মটর শ্রমিক পার্টির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম।
জতীয় তরুণ পার্টির সভাপতি জাকির হোসেন মৃধার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মোড়ল জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় তরুণ পার্টির নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীর আলম, এনামুল হক তালুকদার, মইনুদ্দিন মন্ডল খোকা, মোঃ শেখ কামাল উদ্দিন, মোঃ বোরহান, সুলতান আহমেদ, শ্রী শ্রী উৎপল সাহা, নূর মোহাম্মদ, মোঃ কাউসার আহমেদ, মাহবুবুল আলম তালুকদার, জহিরুল ইসলাম, মোঃ বদিউর রহমান, মনিরুজ্জামান হিরা, জাকির হোসেন রাজু, শাহীন হোসেন বুলেট, শেখ মোস্তফা, মোঃ সানোয়ার, মোঃ সোহেব মুন্সি, মোঃ বুলবুল খান, মোঃ আলমগীর হোসেন, মোঃ বিপ্লব আলম, মোঃ বেলাল হোসেন, শেখ মোস্তফা, আ.স.ম হাসান খান, মোঃ রাজ্জাক চৌধুরী, মোঃ মিরাজ হোসেন, আব্দুল হালিম হাওলাদার, মোঃ আমির হোসেন, আজিজুর রহমান শোভন প্রমুখ।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন//
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র রহম ন য় তর ণ
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপি নেতা এ্যানির বক্তব্যে ক্ষুব্ধ ইসলামী আন্দোলন, প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি
লক্ষ্মীপুরে চরমোনাই পীরের সমালোচনা করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির দেওয়া বক্তব্যে ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। এ্যানির বক্তব্যের জন্য তাঁকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে গতকাল সোমবার রাতে বিবৃতি দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন লক্ষ্মীপুর জেলা শাখা।
ইসলামী আন্দোলন লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দেলোয়ার হোসাইন ও সেক্রেটারি জহির উদ্দিনের যৌথ বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন প্রচার ও দাওয়াহবিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান। বিবৃতিতে বলা হয়, একটি জনসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম সম্পর্কে বিএনপির নেতা এ্যানি যে অশ্লীল, অশালীন ও মিথ্যা-বানোয়াট বক্তব্য দিয়েছেন, তা রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত।
ইসলামী আন্দোলনের নেতারা বলেন, মূলত ৫ আগস্টের পর ইসলামপন্থীদের ঐক্য ও এক বাক্সে ভোটের প্রক্রিয়াকে বিএনপি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না। নির্বাচনে বিএনপির জন্য একমাত্র বাধা ‘ইসলামী জোট’। এতে তাদের ভরাডুবি জেনে বিএনপি ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল ও জাতীয় ব্যক্তিদের নিয়ে মিথ্যাচার ও কুৎসা রটনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। বেইমান তো তারা, যারা শহীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে।
বিবৃতিতে বিএনপিকে স্বৈরাচারের সঙ্গী বলে দাবি করে বলা হয়, তারা ২০১৮ সালের অবৈধ নির্বাচনকে স্বীকৃতি দিয়ে সংসদে তাদের ছয়জন এমপি পাঠিয়েছে। ২০১৮-এর ডামি নির্বাচনের স্বীকৃতিদানকারী দল হলো বিএনপি। এখন তারা পাগলের মতো আবোলতাবোল বলে উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাতে চাচ্ছে। নিজেদের দোষ আড়াল করার হীন চেষ্টা করছে। পাবলিক সেন্টিমেন্টকে ভিন্ন দিকে ডাইভার্ট করার পাঁয়তারা করছে বিএনপি।
আরও পড়ুনইসলামী আন্দোলন ও জামায়াতের কড়া সমালোচনায় বিএনপির এ্যানি১৪ ঘণ্টা আগেবিবৃতিতে এ ছাড়া বিএনপির উদ্দেশে বলা হয়, ‘জাতীয় চাঁদাবাজেরা মিথ্যা ছাড়া কিছু বলতে পারে না। মিথ্যা কথা বলাই এ্যানি চৌধুরীরদের পুঁজি, যা বাংলাদেশের মানুষ এখন বুঝে গেছে। আমরা তার মিথ্যা কথা প্রত্যাহারের আহ্বান জানাই।’
বিবৃতি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে ইসলামী আন্দোলন লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দেলোয়ার হোসাইন বলেন, ‘এ্যানির মতো একজন নেতার এ রকম দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য রাজনৈতিক ও সচেতন মহলকে ব্যথিত করেছে। আমরা তাঁকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
এর আগে গত সোমবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা আউটডোর স্টেডিয়াম মাঠে সদর পূর্ব বিএনপির প্রতিনিধি সম্মেলনে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন ও জামায়াতে ইসলামীর কড়া সমালোচনা করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। এ সময় তিনি বলেন, চরমোনাই পীর জাতীয় বেইমান ও ভণ্ড। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পতনে কোনো ভূমিকা ছিল না ইসলামী আন্দোলনের।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এ্যানি বলেন, বিগত ১৭ বছরের ফ্যাসিস্টবিরোধী কোনো আন্দোলনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হাতপাখা বা চরমোনাই পীরের কোনো ভূমিকা ছিল না; বরং স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সঙ্গে তাদের সখ্য ছিল। বর্তমানে নির্বাচন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে দলটি। নির্বাচন বিঘ্নিত করতে নানা চক্রান্ত করা হচ্ছে। ইসলামের নামে তারা চক্রান্ত করছে। ষড়যন্ত্র করছে। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে এসব জাতীয় বেইমানদের চিহ্নিত করে রাখতে হবে। কোনো ষড়যন্ত্রই কাজে আসবে না। ঐক্যবদ্ধভাবে তা মোকাবিলা করা হবে।
ওই সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীরও সমালোচনা করে এ্যানি বলেন, ‘তারা ’৮৬ ও ’৯৬ সালে বিভিন্নভাবে শুধু আমাদের অসহযোগিতা করে নাই, পুরো জাতিকে অসহযোগিতা করেছে। হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে তাদের সঙ্গে থেকে জাতীয় বেইমান হিসেবে, আত্মস্বীকৃত বেইমান হিসেবে তারা বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।’