ভাইকে এক বছর ঘরবন্দী করে রেখেছিলেন আমির খান
Published: 9th, August 2025 GMT
বলিউড অভিনেতা ও আমির খানের ভাই ফয়সাল খান দাবি করেছেন যে কয়েক বছর আগে আমির খান মুম্বাইয়ে তাঁর বাড়িতে এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্দী করে রেখেছিলেন। পিঙ্কভিল্লাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফয়সাল জানান, তাঁর পরিবার বলেছিল তিনি সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত। এ জন্য কিছুদিন প্রকাশ্যে না যাওয়াই ভালো!
সেই এক বছর তাঁর সঙ্গে কী কী ঘটেছিল, তা ভাগ করে নেন ফয়সাল খান। তিনি দাবি করেন, ভাই আমির খান তাঁকে এক বছর ধরে বন্দী করে রেখেছিলেন। সেই সময় তাঁর মনে হয়েছিল, একটা ফাঁদে আটকে আছেন।
‘পরিবার বলছিল, আমার সিজোফ্রেনিয়া হয়েছে। আমি একজন পাগল। আমি সমাজের জন্য ক্ষতিকারক। এসব কথা বলা হচ্ছিল। আমি ভাবছিলাম, এই চক্রব্যূহ থেকে কীভাবে বের হব। কারণ, পরিবার আমার বিরুদ্ধে ছিল। আমাকে পাগল ভেবেছিল,’ বলেন ফয়সাল।
ফয়সাল আরও জানান, তাঁর ফোন নিয়ে নেওয়া হয়েছিল, বাইরে যাওয়ার অনুমতি ছিল না। তিনি আশা করতেন, কেউ না কেউ তাঁকে বাঁচাতে আসবেন। ‘আমির আমাকে এক বছর ধরে ঘরে বন্দী করে রেখেছিল। মুঠোফোন নিয়ে নেওয়া হয়েছিল, আমি বাইরে যেতে পারতাম না। আমার রুমের বাইরে বডিগার্ড ছিল। ওষুধ দেওয়া হচ্ছিল,’ বলেন তিনি। পরে যখন তিনি জোরাজুরি করেন, তখন আমির তাঁকে অন্য একটি বাড়িতে যেতে দেন।
ফয়সাল ও আমির খান। কোলাজ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম র খ ন এক বছর ফয়স ল ক বছর
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা-২০ আসনে এনসিপির মনোনয়ন ফরম নিলেন মুকুল
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা-২০ (ধামরাই) আসনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আসাদুল ইসলাম মুকুল।
শনিবার (৮ নভেম্বর) ঢাকায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে তিনি মনোনয়ন ফরম নেন।
আরো পড়ুন:
নিবন্ধন ও প্রতীক পাওয়ায় মিরপুরে এনসিপির আনন্দ মিছিল
১০-২০ কোটি টাকা না থাকলে নির্বাচন করা কঠিন: আসিফ
দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ নেতা হান্নান মাসুদ ও তাসনীম জারা। তারা আসাদুল ইসলাম মুকুলের হাতে মনোনয়ন ফরম তুলে দেন। এ সময় ধামরাই উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ধামরাই উপজেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী ইসরাফিল খোকন, জাতীয় যুব শক্তির আশিকুর রহমান, ছাত্র শক্তির সামিউল ইসলাম লিমান এবং কাউছার আহমেদসহ স্থানীয় পর্যায়ের শতাধিক নেতাকর্মী মুকুলের সঙ্গে ছিলেন।
মনোনয়ন নেওয়ার পর আসাদুল ইসলাম মুকুল বলেন, “ধামরাইয়ের উন্নয়ন ও তরুণ সমাজকে রাজনীতির ইতিবাচক ধারায় যুক্ত করার লক্ষ্যে আমি নির্বাচনে অংশ নিতে চাই। জনগণের আস্থা ও ভালোবাসাই আমার শক্তি।”
এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, আগামী নির্বাচনে ঢাকা-২০ আসনে দলীয় প্রার্থী নিয়ে তারা সক্রিয়ভাবে মাঠে নামবেন এবং সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করতে তৃণমূলে প্রচার শুরু করেছেন।
এনসিপির হয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে সারা দেশের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে পারছে। আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন ফরম সংগ্রহ প্রক্রিয়া চলবে। ১৫ নভেম্বরের পর প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।
ঢাকা/সাব্বির/বকুল