সকলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচ‌নে জাতীয় পা‌র্টি অংশ নেবে ব‌লে জানি‌য়ে‌ছেন দ‌লের নবনির্বাচিত মহাসচিব এবিএম  রুহুল আমিন হাওলাদার।

তি‌নি বলেন, ‘‘দেশের স্থায়ী শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য অবশ্যই গণতান্ত্রিক সরকারের বিকল্প নেই। তাই জাতীয় পার্টির সবসময় গণতান্ত্রিক সরকারের পক্ষে। গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত  করতে দরকার সকলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু  নির্বাচন।’’

রবিবার (১০ আগস্ট) গুলশানের বাসভবনে জাতীয় পার্টি চট্টগ্রাম মহানগর ও দক্ষিণ জেলার নেতাকর্মীরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে এ‌বিএম রুহুল আ‌মিন হাওলাদার এ কথা ব‌লেন।

জাপার মহাসচিব বলেন, ‘‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই মুহূর্তে  দেশে নির্বাচনের পরিবেশ কতটুকু অনুকূলে রয়েছে তা গভীরভাবে ভাববার বিষয়। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে হলে আগে দেশে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।’’

তি‌নি সরকার‌কে প‌রি‌বেশ সৃ‌ষ্টির আহ্বান জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি ও সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব হোসেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুব সংহতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, যুব সংহতির নেতা মেরাজ উদ্দিন, ও মো: জসিম উদ্দিন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন

ঢাকা/নঈমুদ্দীন// 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের ৯৯% জনগণ শেখ হাসিনার বিচার ও সাজার পক্ষে : সাখাওয়াত

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, শেখ হাসিনার হাত রক্তে রঞ্জিত। সে গত ১৫ বছরে বিডিআরসহ বাংলাদেশের অসহ্য মানুষকে খুন গুম ও হত্যা করেছে।

সর্বশেষ গত পাঁচই আগস্ট জুলাই বিপ্লবে ১৪ হাজার বিএনপি নেতাকর্মীসহ ছাত্র জনতাকে হত্যা করেছে। 

আর এই ছাত্র জনতার বিপ্লবের নারায়ণগঞ্জে ৫৫ জনকে হত্যা হয়েছে। এ সকল হত্যাকান্ড গুলো শেখ হাসিনার নির্দেশে হয়েছিল।

তিনি এই সকল হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন। শেখ হাসিনা তার ক্ষমতাকে পাকাপোক্তা করার জন্য বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন ও ছাত্র জনতার আন্দোলনকে স্তব্ধ করার জন্যই এই হত্যাকাণ্ডের আশ্রয় নিয়েছিল।

‎সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল এগারোটায় শহরের মিশন পাড়া হোসিয়ারি সমিতির সামনে মহানগর বিএনপির আয়োজিত আওয়ামী লীগের অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদ ও মানবাধিকার অপরাধে অভিযুক্ত শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবির বিক্ষোভ মিছিল পূর্বে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।

‎তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আজকে পালিয়ে গিয়ে পাশের দেশে বসে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং বিচার বিভাগ ও দেশের গণতন্ত্রকে নিয়ে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত শুরু করেছে।

সেই চক্রান্ত বিষয় শেখ হাসিনা সবকিছুই জানে অথচ তিনি ভারত বসে এই বিচারকে বাঁধাগ্রস্থ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি দিচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ তার সকল কর্মসূচি প্রত্যাখ্যান করেছে। 

আপনারা দেখেছেন কোন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও কিন্তু তার কোন কর্মসূচি পালন করে নাই। এতে করে আমরা বলতে যে বাংলাদেশের ৯৯% জনগণ শেখ হাসিনার বিচার ও সাজার পক্ষে।

আমরা সবাই ধৈর্য ধারণ করে সরকারকে দেশের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার সহযোগিতা করতে হবে। আর আমাদের সবাইকে সকল ধরনের নাশকতা ও অপ্রপ্রচারের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে।

‎এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি এড. আবুল কালাম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ রেজা রিপন, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, এড. এইচএম আনোয়ার প্রধান, বরকত উল্লাহ, ফারুক হোসেন, বন্দর থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা, মহানগর শ্রমিকদলের সদস্য সচিব ফারুক হোসেন,বিএনপি নেতা আক্তার হোসেন, শেখ সেলিম, নাজমুল হক, চঞ্চল মাহমুদ,সাইফুল ইসলাম বাবু, হিরা সরদার, ইকবাল হোসেন, সোহেল খান বাবু, মহানগর মহিলাদলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, গোগনগর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজী, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আঃ রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদ, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহসিন মিয়া, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মামুন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহেন শাহ্ মিঠু, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাজাদা আলম রতন, মহানগর ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ শিবলীসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ