রাঙামাটির কাউখালীতে পরকিয়ায় বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী উচাইলা মারমাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে রাঙামাটি সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. আহসান এ রায় দেন। তবে দণ্ডিত আসামি উচাইলা মারমা জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার বড়ডুলু পাড়ায় ২০০১ সালের ২ জুলাই দুপুরে আসামি উচাইলা মারমা ধারালো দা দিয়ে তার স্ত্রী নাইচাইউ মারমাকে গলা কেটে হত্যা করেন। একই গ্রামের এক নারীর সঙ্গে পরকিয়ায় বাধা দেওয়ায় খুন হতে হয় তাকে। এ দম্পত্তির দুই মেয়ে ও তিন ছেলে রয়েছে। এ ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের শিকার গৃহবধূর ভাই উষাথোয়াই মারমা কাউখালী থানায় হত্যা মামলা করেন।

আরো পড়ুন:

কুষ্টিয়ায় স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার

সিলেটে ছুকিরাঘাতে মাদরাসা শিক্ষক নিহত

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়ে জেল খেটে ২০১২ সালের ২৯ মার্চ জামিনে মুক্ত হয়ে পলাতক রয়েছেন আসামি উচাইলা মারমা। আসামির অনুপস্থিতিতেই আদালত দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে ২৫ বছর পর বুধবার হত্যাকাণ্ডের এ দণ্ডাদেশ দিয়েছেন।

সরকারি কৌশুলী অ্যাডভোকেট প্রতীম রায় পাম্পু জানান, আসামি পলাতক রয়েছে। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

ঢাকা/শংকর/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য আস ম

এছাড়াও পড়ুন:

লিখিত পরীক্ষায় প্রতারণা, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা, ৮ জনকে কারাদণ্ড

কারারক্ষী নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় ৮ জনের ১০ মাস করে কারাদণ্ড হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সাক্ষাৎকার দিতে আসার পর তাঁরা ধরা পড়েন। বিষয়টি আজ বুধবার কারা কর্তৃপক্ষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে।

কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সাক্ষাৎকারের সময় জানা যায় ৮ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেননি। তাঁদের নাম করে অন্যরা লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। কিন্তু প্রকৃত প্রার্থীরা সাক্ষাৎকার দিতে এলে বিষয়টি ধরা পড়ে। লিখিত পরীক্ষার সময় কারা কর্তৃপক্ষ সব চাকরিপ্রার্থীর ছবি তুলে সংরক্ষণ করে রাখে। সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় সেই ছবি মিলিয়ে দেখা হয়। এভাবে জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে।

কারা কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, জালিয়াতিতে যুক্ত ৮ জন প্রার্থীকে শনাক্ত করার পর বিষয়টি চকবাজার থানা-পুলিশকে জানানো হয়। থানা কর্তৃপক্ষ তাঁদের আটক করে স্পেশাল মেট্রোপলিটন আদালত লালবাগে উপস্থিত করলে বিচারক তাঁদের কারাদণ্ড দেন।

আসামিদের জবানবন্দি থেকে দালাল চক্রের সঙ্গে জড়িত অনেক ব্যক্তির নাম পাওয়া গেছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। তাঁদের ভাষ্য, চক্রের সদস্যরা নিয়োগপ্রার্থীদের বাবা, মা, ভাই বা নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে ৫ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত চুক্তি করেন। কেউ কেউ সন্তানের পক্ষে অলিখিত স্টাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে এবং ব্ল্যাঙ্ক চেক দালালদের কাছে জমা দিয়ে চুক্তি করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত দালালদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও আইনগত ব্যবস্থা নিতে আদালত চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে একটি এজাহার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ