আগের মতোই দুর্নীতিপূর্ণ ও পরিবেশবিধ্বংসী প্রকল্প চলছে
Published: 20th, September 2025 GMT
আগের মতোই দুর্নীতিপূর্ণ ও পরিবেশবিধ্বংসী প্রকল্পগুলো চলছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হাতিরঝিল ও পান্থকুঞ্জ অংশটি জনস্বার্থবিরোধী হলেও অন্তর্বর্তী সরকার জনমত উপেক্ষা করে এ অংশের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রকল্পের নামে ব্যয়ের যে আগ্রহ আওয়ামী লীগ সরকারের মধ্যে ছিল, সেই ব্যয়ের আগ্রহ থেকে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও সরেনি।
পান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিল জলাধার ধ্বংস করে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের জনবিরোধী ও প্রকৃতি ধ্বংসকারী উড়ালসড়ক বাতিলের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ কথাগুলো বলেন। আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলন এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, এক বছর আগেই বন উজাড়, নদী-খাল দখল, পাহাড় কাটা, দুর্নীতি ও দমন-পীড়নে দমবন্ধের মতো পরিস্থিতির বিরুদ্ধে দেশের মানুষ গণ-অভ্যুত্থান করেছিল। আশা ছিল স্বচ্ছতা, আইনের শাসন ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের প্রতিফলন ঘটবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, আগের মতোই দুর্নীতিপূর্ণ ও পরিবেশবিধ্বংসী প্রকল্প চলছে।
আনু মুহাম্মদ বলেন, এক্সপ্রেসওয়ের হাতিরঝিল ও পান্থকুঞ্জ অংশটি জনস্বার্থবিরোধী হলেও অন্তর্বর্তী সরকার জনমত উপেক্ষা করে এ অংশের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পের নামে জনগণের জীবন যদি দুর্বিষহ করা হয়, তাহলে জনগণ কেন কথা বলতে পারবে না? আদালতে কেন যেতে পারবে না? আদালত কেন জনগণের পক্ষ হয়ে রায় দিতে পারবেন না?
সরকার আদালতকেও প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে অভিযোগ করে আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সরকারকে বলতে চাই, সজ্ঞানে ফিরে আসেন। যে কথাবার্তা আগে বলেছেন, সেটা স্মরণ করেন। আপনাদের যে দায়িত্ব, সেই দায়িত্ব উপলব্ধি করতে চেষ্টা করেন। শেখ হাসিনার ভূমিকা পুনরাবৃত্তি করলে জনগণের ক্রোধ, ক্ষোভ আপনাদের ওপরও পড়বে।’
‘খোলা জায়গা হারিয়ে গেছে’সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়নের কথা শুনলেও বাস্তবে নাগরিক জীবনের মান খারাপ হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার উদাহরণই যথেষ্ট। অল্প দূরত্বে শাহবাগ ও টিএসসিতে দুটি মেট্রো স্টেশন নির্মাণে খোলা জায়গা হারিয়ে গেছে, হাঁটার ও বসার স্থান সংকুচিত হয়েছে। এক্সপ্রেসওয়ের নতুন র্যাম্প বিশ্ববিদ্যালয় ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকাকে আরও জটিল ও বিপজ্জনক করবে।
গীতি আরা নাসরীন আরও বলেন, উন্নয়নের নামে গাছপালা ও খোলা জায়গা নষ্ট করে মানুষের জীবনকে নরক বানানো হচ্ছে। এ ধরনের প্রকল্পে জনগণের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে। প্রকৃত উন্নয়নের বদলে কেবল কিছু গোষ্ঠীর আর্থিক স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে। উন্নয়ন পরিকল্পনায় নগর পরিকল্পনাবিদ, স্থপতি বা পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হয় না বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ের মূল লক্ষ্যই ছিল বাইপাস তৈরি করে দ্রুতগতিতে যানবাহন চলাচল নিশ্চিত করা। কিন্তু বিভিন্ন স্থানে র্যাম্প নির্মাণের মাধ্যমে এটি এখন ফ্লাইওভারের মতো লোকাল রোডে পরিণত হয়েছে, যার মূল উদ্দেশ্য টোল আদায়।
এই স্থপতি বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতে, এই এক্সটেনশন মাত্র ৫ শতাংশ প্রাইভেট কার মালিককে সুবিধা দেবে। এতে নিচের রাস্তাগুলোর কার্যকারিতা কমপক্ষে ৩০ শতাংশ হ্রাস পাবে। আলো-বাতাসসহ পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত করবে। ডিটিসিএর (ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ) গবেষণায়ও এই প্রকল্পকে অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকর বলা হয়েছিল। কারণ, এতে যানজট বাড়বে, ভবিষ্যতের গণপরিবহন প্রকল্প বাধাগ্রস্ত হবে।
‘ঢাকার উন্নয়নে জনস্বার্থ উপেক্ষা’এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের আইনগত ও পরিবেশগত ব্যত্যয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক শায়ের গফুর বলেন, ঢাকার উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় জনগণের স্বার্থ উপেক্ষা করে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে কাজ করা হচ্ছে। এতে ঢাকা শহরকে মানুষের বাসযোগ্য স্থান না ভেবে পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। হাতিরঝিল-পান্থকুঞ্জ প্রকল্পে প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংসের মাধ্যমে জনগণের অধিকার ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য ফিরোজ আহমেদ বলেন, পান্থকুঞ্জ আর হাতিরঝিলে শুধু ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে, মূল কাজটা হয়নি। ফলে এ কাজটা বন্ধ করলে জনগণের বিপুল পরিমাণ অর্থ বাঁচবে। কিন্তু সরকারের তরফ থেকে কেউ কেউ বলছেন চুক্তি বাতিল করা যাবে না, কথাটা সত্য নয়। এ ধরনের চুক্তিগুলোকে দর-কষাকষি করে বাতিল করা সম্ভব। তাঁর প্রশ্ন, সেই উদ্যোগটা কেন অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে না?
আরও পড়ুনপান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিল অংশে নির্মাণকাজে স্থিতাবস্থা আপাতত বহাল, চলবে না কার্যক্রম১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ফিরোজ আহমেদ আরও বলেন, প্রকল্পের নামে ব্যয়ের যে আগ্রহ আওয়ামী লীগ সরকারের মধ্যে ছিল, যে কারণে জনগণ তাদের উৎখাত করেছে; সেই ব্যয়ের আগ্রহ থেকে এ অন্তর্বর্তী সরকারও সরেনি। বরং বিশেষজ্ঞ মত উপেক্ষা করে, আদালতের স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হাতিরঝিল-পান্থকুঞ্জ প্রকল্পে কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ, পান্থকুঞ্জ প্রভাতি সংঘের সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দীন, বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আমিরুল রাজিব ও নাঈম উল হাসান। উপস্থিত ছিলেন কলাবাগানে তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষায় আন্দোলনকারী সৈয়দা রত্নাসহ পরিবেশ আন্দোলনকর্মীরা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব শ বব দ য প রকল প র ম হ ম মদ জনগণ র ও পর ব উপ ক ষ পর ব শ দ বল ন সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
৩০০ আসনে প্রার্থী বাছাই প্রায় চূড়ান্ত: তারেক রহমান
জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, “দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী কিংবা বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে।”
আরো পড়ুন:
বরগুনায় জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মামুন
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
রবিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে প্রবাসে বিএনপির সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তারেক রহমান। লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন তিনি।
প্রতিটি নির্বাচনী আসনে বিএনপির একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জানিয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “দেশের প্রতিটি সংসদীয় আসনে বিএনপির একাধিক যোগ্য এবং জনপ্রিয় প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও প্রতিটি মানুষকে নিশ্চয়ই মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব নয়। ভিন্ন রাজনৈতিক দলের যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে রাজপথের সঙ্গী ছিলেন, এমন প্রার্থীকেও বিএনপি সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
এই বাস্তবতার কারণে হয়তো কিছু সংসদীয় সংসদীয় আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন বঞ্চিত হবেন জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, “বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মী, সমর্থকদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা, দেশ ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে আপনারা এই বাস্তবতাকে মেনে নেবেন।”
জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে জনমনে সৃষ্ট সংশয়, সন্দেহ গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে সংকটপূর্ণ করে তুলতে পারে মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, “দেশে প্রতিনিয়ত একের পর এক নিত্য নতুন শর্ত জুড়ে দিয়ে গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সংকটাপূর্ণ করে তোলা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শক্তিতে বিশ্বাসী নাগরিকেরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্রই বিএনপিকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না।”
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মানুষের উদ্বেগের কথা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, “পরাজিত পলাতক স্বৈরাচারের শাসন আমলে জনগণের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনোই আগ্রহ ছিল না। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় জনমনে কোনো কোনো ক্ষেত্রে জিজ্ঞাসা বাড়ছে, যথাসময়ে কি নির্বাচন হবে?... এমন তো হবার কথা ছিল না।”
বিএনপির বিজয় ঠেকাতে অপপ্রচার ও অপকৌশল দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে বলে উল্লেখ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “উদ্বেগ এবং আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশেও বর্তমানে বিএনপির বিজয় ঠেকাতে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার এবং অপকৌশল দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।”
শুধু বিএনপির বিজয় ঠেকাতে গিয়ে পতিত পরাজত পলাতক স্বৈরাচার দেশে ‘ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিগত ১৫ বছরে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।”
প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিএনপি দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে মন্তব্য করে তারেক রহমান জানান, তবে বিএনপির প্রতি দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণের আস্থা, ভালোবাসা থাকায় সে সংকট কাটিয়েছে তার দল।
তারেক রহমান বলেন, “দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি শুরু থেকেই ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার স্বার্থে সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে একদিকে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার পথ বেছে নিয়েছে। অপরদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেও যতটুকু সম্ভব, যতটুকু যথাসাধ্য সম্ভব আমাদের অবস্থান থেকে আমরা সহযোগিতা করে আসছি।”
দেশে নারীদের নিরাপত্তার বিষয়ে সামাজিক উদাসীনতা প্রকট হয়ে উঠছে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ সংক্রান্ত গণমাধ্যমের প্রতিবেদন তুলে ধরে বলেন, “নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপত্তাহীন সমাজ নিশ্চয়ই সভ্য সমাজ হিসেবে গণ্য হতে পারে না।”
সেজন্য তিনি জাতীয়তাবাদী মহিলা দলসহ বাংলাদেশের সচেতন নারী সমাজকে তাদের দাবি সরকারের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অনলাইনে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ এবং তার ফি পরিশোধের প্রক্রিয়া নিয়ে একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। তাতে বলা হয়, এখন থেকে বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে অনলাইনে বিএনপির দলীয় ওয়েবসাইটে গিয়ে সদস্যপদ গ্রহণ করা যাবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, এ জে ড এম জাহিদ হাসান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ