জেন–জি প্রজন্ম কোথায় বেশি টাকা খরচ করে
Published: 21st, September 2025 GMT
ডিজিটাল–দুনিয়ায় বেড়ে ওঠা জেনারেশন জেড প্রজন্ম। মোটাদাগে ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের ভেতর যাদের জন্ম, তারাই হলো জেন-জি বা জেনারেশন জেড। বর্তমানে এই প্রজন্মের সদস্যদের বয়স ১৩ থেকে ২৮ বছর। তারা বাংলাদেশের অর্থনীতি ও ভোক্তা চরিত্রে নতুন ধারা তৈরি করছে। তারা একদিকে অনলাইনে আয় করছে, নানা ধরনের খণ্ডকালীন কাজ করছে। কেউ কেউ পুরোদমে চাকরিতে ঢুকে গেছে।
সার্বিকভাবে বলা যায়, জেন–জি প্রজন্ম এখন বিশ্ববিদ্যালয়, উচ্চশিক্ষা ও প্রাথমিক কর্মজীবনের বড় অংশ দখল করছে। তাদের উল্লেখযোগ্য অংশ ফ্রিল্যান্সিং, ইউটিউব, কনটেন্ট ক্রিয়েশন, ই-কমার্স ইত্যাদি অনলাইন মাধ্যমে আয় করছে।
তাদের খরচের প্রবণতাও একটু ভিন্ন। তারা ফ্যাশন, গ্যাজেট, ভ্রমণ ও লাইফস্টাইল—এসবে খরচ করছে উদারভাবে।
এবার দেখা যাক, এই জেন–জি প্রজন্ম কোথায় বেশি খরচ করে—১.
ফ্যাশন ও ব্র্যান্ড পোশাক
শহর গ্রামনির্বিশেষে এই জেন–জি প্রজন্ম পোশাক–আশাকে বর্তমান প্রচলিত ধারার (ট্রেন্ড) সঙ্গে থাকতে চান। এ জন্য ফ্যাশন ও ব্র্যান্ড পোশাক কেনায় বেশি খরচ করেন তাঁরা।
২. গ্যাজেট ও প্রযুক্তিপণ্য
এই প্রজন্ম নেট-দুনিয়ায় থাকতে পছন্দ করে। ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশি সময় কাটায়। তাই গ্যাজেটের প্রতি তীব্র আগ্রহী। এ জন্য স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, হেডফোনসহ নানা ধরনের প্রযুক্তি পণ্য কেনায় বিপুল অর্থ খরচ করে তাঁরা।
৩. ভ্রমণ ও ক্যাফে-সংস্কৃতি
এই নতুন প্রজন্ম রেস্তোরাঁ, ফাস্ট ফুড, ক্যাফে, কফিশপে আড্ডা দিতে বেশ পছন্দ করে। তাই এসব খাতে বেশি খরচ করে। এ ছাড়া যখন-তখন ঘুরে বেড়ানোর বাতিকও আছে এই প্রজন্মের। তাই ভ্রমণেও খরচ করে।
৪. বিনোদন
এই প্রজন্ম সিনেমা হলে গিয়ে খুব একটা সিনেমা দেখে না। মঞ্চনাটক খুব একটা দেখে না। এমনকি স্যাটেলাইট চ্যানেলেও আগ্রহ কম। এই প্রজন্ম নেটফ্লিক্স, চরকির মতো বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ঘুরে বেড়ায়। তাই বিনোদনের জন্য ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, গেমস, সিনেমা, অনলাইন সাবস্ক্রিপশনে বেশি টাকা খরচ করে।
৫. শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন
শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের আগ্রহী জেন-জি প্রজন্ম। এ জন্য নানা ধরনের অনলাইন কোর্স, প্রশিক্ষণ, অ্যাপ, সফটওয়্যার সাবস্ক্রিপশন করে থাকে।
এই প্রজন্মের মনোভাব এমন—জীবন একটাই, তাই এখনই উপভোগ করো। অবসরকালীন সঞ্চয়ের প্রতি তারা তেমন আগ্রহী নয়। প্রচলিত সঞ্চয়ের ধারা যেমন সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক এফডিআর—এসব তাদের কাছে কম আকর্ষণীয়। বরং তারা বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে মোবাইল ওয়ালেট, ফিনটেক অ্যাপ, এমনকি ডিজিটাল ইনভেস্টমেন্টে।
প্রযুক্তিতে দক্ষ হওয়ার কারণে নতুন ধরনের বিনিয়োগ যেমন স্টার্টআপ, ডিজিটাল ইনভেস্টমেন্ট, অনলাইন ট্রেডিংয়ে নিয়ে আগ্রহী তারা।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এই প রজন ম প রজন ম র খরচ কর ধরন র
এছাড়াও পড়ুন:
সুপার ফোরে আজ ‘ভারত-পাকিস্তান’ সুপার ক্লাসিকো
এশিয়া কাপ মানেই ভারত-পাকিস্তান লড়াই নিয়ে ক্রিকেট দুনিয়ায় বাড়তি উত্তেজনা। গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারানোর পর এবার সুপার ফোরে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ রবিবার রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হবে মহারণ।
আগের লড়াইয়ে এগিয়ে ভারত:
গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের ব্যাটিং ধস নামিয়েছিল ভারতের বোলাররা। মাত্র ১২৭ রানে থেমেছিল বাবরবিহীন পাকিস্তান। জবাবে অভিষেক শর্মার বিধ্বংসী ইনিংসে সহজেই জয় তুলে নেয় রোহিত শর্মাহীন টিম ইন্ডিয়া। কুলদীপ যাদব সেই ম্যাচে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট, যা পাকিস্তানি ব্যাটারদের পুরোপুরি ব্যতিব্যস্ত করে দিয়েছিল।
আরো পড়ুন:
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সুপার ফোরে বাংলাদেশের দুর্দান্ত সূচনা
বাংলাদেশের ক্যাচ মিসের মহড়ায় শ্রীলঙ্কার লড়াকু সংগ্রহ
প্রতিশোধের মিশনে পাকিস্তান:
সুপার ফোরে টিকে থাকতে পাকিস্তানের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ এই ম্যাচ। ফখর জামান স্পষ্ট বলেছেন- ভারতের কাছে হারের প্রতিশোধ নিতেই নামবে তারা। এখন পর্যন্ত দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান তারই (৩ ইনিংসে ৯০)। তাই ব্যাটিংয়ে তাকেই ভরসা করছে পাকিস্তান। সঙ্গে আছেন মোহাম্মদ হারিস, যিনি করেছেন ৮৭ রান। বোলিংয়ে সাইম আয়ুব নিয়েছেন সর্বোচ্চ ৬ উইকেট। তবে ব্যাট হাতে এখনো রানশূন্য থাকাটা পাকিস্তানের জন্য বড় দুশ্চিন্তা।
ধারাবাহিকতায় ভর করে ভারত:
অন্যদিকে ভারত গ্রুপ পর্বে টানা তিন জয় তুলে নিয়ে এসেছে দুর্দান্ত ছন্দে। অভিষেক শর্মা করেছেন সর্বোচ্চ ৯৯ রান, তিলক ভার্মা যোগ করেছেন ৬০। উইকেটশিকারীর তালিকায় শীর্ষে থাকা কুলদীপ যাদব (৮ উইকেট) এবারও হতে পারেন ভারতের মূল অস্ত্র। সঞ্জু স্যামসন জানিয়েছেন, দল গ্রুপ পর্বের পারফরম্যান্স সুপার ফোরেও ধরে রাখতে চায়।
মুখোমুখি পরিসংখ্যান:
এশিয়া কাপে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ২০ বার। তার মধ্যে ভারতের জয় ১১, পাকিস্তানের জয় ৬, বাকি ৩ ম্যাচ পরিত্যক্ত। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে ১৪ লড়াইয়ে ভারত জিতেছে ১০ বার, পাকিস্তান ৩ বার, আরেকটি টাই হয়েছিল। সংখ্যার হিসাব তাই ভারতের পক্ষে, তবে ভারত-পাক ম্যাচে ভবিষ্যদ্বাণী সবসময়ই ঝুঁকিপূর্ণ।
সব চোখ দুবাইয়ে:
ভারত চাইবে জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে, আর পাকিস্তান চাইবে হার ভুলে প্রতিশোধের মঞ্চ গড়তে। পরিসংখ্যান ভারতের পক্ষে হলেও, মাঠের ক্রিকেটে যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে। এ কারণেই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সবসময়ই ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় মহারণ।
ভারতের সম্ভাব্য একাদশ:
অভিষেক শর্মা, শুভমন গিল, সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), তিলক ভার্মা, সঞ্জু স্যামসন (উইকেটরক্ষক), হার্দিক পান্ডিয়া, শিবম দুবে, অক্ষর পটেল, জাসপ্রীত বুমরা, বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব।
পাকিস্তানের সম্ভাব্য একাদশ:
সাহেবজাদা ফারহান, সাইম আইয়ুব, মোহাম্মদ হারিস (উইকেটরক্ষক), ফখর জামান, সলমন আলী আগা (অধিনায়ক), হাসান নওয়াজ, মোহাম্মদ নওয়াজ, ফাহিম আশরাফ, শাহিন শাহ আফ্রিদি, সুফিয়ান মুকিম ও আবরার আহমেদ।
ঢাকা/আমিনুল