স্ন্যাকস হিসেবে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের কাছে সমাদৃত হচ্ছে ‘মাখানা’।  ছোটদেরও পছন্দ এই স্ন্যাকস। এটি আসলে বিশেষ প্রক্রিয়ায় পদ্মবীজ থেকে তৈরি হয়ে থাকে।

মাখানা খাওয়ার প্রচলন ছিলো ভারতের আদিবাসী এলাকাগুলোতে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ‘‘মাখানা বা পদ্মবীজের বহু ধরণের পুষ্টিগুণ রয়েছে। সেজন্যই খুব দ্রুত মাখানা স্ন্যাকস হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।’’
জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাণিজ্যিকভাবে পদ্মচাষে আগ্রহী ওঠে উঠেছেন ভারতীয় কৃষকেরা। বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলাতেও বেশি চাষাবাদ হচ্ছে পদ্ম।

আরো পড়ুন:

‘ফ্রেগ্র্যান্স লেয়ারিং’-এ মজেছে তরুণ-তরুণীরা

বোনের জন্য ভাইয়ের দেওয়া উপহার ‘স্বর্ণমোড়ানো কোরআন’ 

পদ্মচাষের জন্য যা প্রয়োজন
পদ্মচাষের জন্য কম গভীরতার পুকুর বা পানি জমানো চাষের জমি দরকার হয়। অনেক চাষের ক্ষেতেই জল জমিয়ে রেখে মাখানা চাষ করা হচ্ছে। পদ্মের গোড়া ফেটে গিয়ে বীজ পড়ে থাকে কাদায়। সেখান থেকেই পাঁক ছেনে বীজ তুলে আনেন কৃষকেরা। কালো রঙের ওই বীজ ভেজা অবস্থাতেই পাইকারি ব্যবসায়ীরা কিনে নেন। পরে সেগুলো চড়া রোদে শুকিয়ে নেন। তারপরে শুকনো কড়াইতে বীজগুলো ভেজে তৈরি করেন মাখানা। সবশেষে কাঠের হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে করে কালো খোলসের ভেতর থেকে সাদা মাখানা বের করা হয়।

কী আছে মাখানায়
পুষ্টিবিদরা বলছেন, ‘‘এক কাপ বা ৩২ গ্রামের মতো মাখানায় ক্যালরির পরিমাণ ১০৬, প্রোটিন থাকে ৪.

৯৩ গ্রাম। মাখানায় প্রচুর ফাইবারও থাকে। ফাইবার থাকার কারণে মাখানা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। যেমন ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা রোগ প্রতিরোধ করে। মাখানা কোলেস্টরল আর ট্রাই-গ্লিসারাইট কমাতে সাহায্য করে। ’’

প্রতিদিন মোটামুটি ৩০ গ্রামের মতো মাখানা খাওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্র: বিবিসি

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় যুবক গ্রেপ্তার

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ‘প্রেমিকার’ সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া কিশোর শিহাব আলীকে (১৭) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নাম মো. কলিম (৩২)। গোদাগাড়ীর হাজিবান্দুড়িয়া গ্রামে তার বাড়ি। 

র‌্যাব-৫ এর সিপিএসসি, রাজশাহী ক্যাম্পের একটি দল মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার রাজাবাড়ীহাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

বুধবার (৫ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়, বসন্তপুর গ্রামের কিশোর শিহাব আলীর সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে ১৪ বছরের এক কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তার সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে ২০ অক্টোবর রাত সোয়া সাতটার দিকে শিহাব তার দুই বন্ধুকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি থেকে বের হয়।

রাত আটটার দিকে তারা হাজিবান্দুড়িয়া মোড়ে পৌঁছালে ওই কিশোরীর প্রতিবেশীরা শিহাবের পথরোধ করে। তাদের হাতে ছিল বাঁশের লাঠি ও লোহার রড। গালিগালাজের এক পর্যায়ে তারা শিহাবকে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। গুরুতর আহত অবস্থায় শিহাব প্রাণ রক্ষায় পাশের পুকুরে ঝাঁপ দেয়।

এরপরও তাকে পিটিয়ে ফেলে রাখা হয়। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১ নভেম্বর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। 

এ ঘটনায় শিহাবের বাবার দায়ের করা মামলায় কলিমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারেও র‌্যাবের অভিযান চলছে।

ঢাকা/কেয়া/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ