পদ্মবীজ থেকে যেভাবে তৈরি হয় মাখানা
Published: 21st, September 2025 GMT
স্ন্যাকস হিসেবে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের কাছে সমাদৃত হচ্ছে ‘মাখানা’। ছোটদেরও পছন্দ এই স্ন্যাকস। এটি আসলে বিশেষ প্রক্রিয়ায় পদ্মবীজ থেকে তৈরি হয়ে থাকে।
মাখানা খাওয়ার প্রচলন ছিলো ভারতের আদিবাসী এলাকাগুলোতে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ‘‘মাখানা বা পদ্মবীজের বহু ধরণের পুষ্টিগুণ রয়েছে। সেজন্যই খুব দ্রুত মাখানা স্ন্যাকস হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।’’
জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাণিজ্যিকভাবে পদ্মচাষে আগ্রহী ওঠে উঠেছেন ভারতীয় কৃষকেরা। বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলাতেও বেশি চাষাবাদ হচ্ছে পদ্ম।
আরো পড়ুন:
‘ফ্রেগ্র্যান্স লেয়ারিং’-এ মজেছে তরুণ-তরুণীরা
বোনের জন্য ভাইয়ের দেওয়া উপহার ‘স্বর্ণমোড়ানো কোরআন’
পদ্মচাষের জন্য যা প্রয়োজন
পদ্মচাষের জন্য কম গভীরতার পুকুর বা পানি জমানো চাষের জমি দরকার হয়। অনেক চাষের ক্ষেতেই জল জমিয়ে রেখে মাখানা চাষ করা হচ্ছে। পদ্মের গোড়া ফেটে গিয়ে বীজ পড়ে থাকে কাদায়। সেখান থেকেই পাঁক ছেনে বীজ তুলে আনেন কৃষকেরা। কালো রঙের ওই বীজ ভেজা অবস্থাতেই পাইকারি ব্যবসায়ীরা কিনে নেন। পরে সেগুলো চড়া রোদে শুকিয়ে নেন। তারপরে শুকনো কড়াইতে বীজগুলো ভেজে তৈরি করেন মাখানা। সবশেষে কাঠের হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে করে কালো খোলসের ভেতর থেকে সাদা মাখানা বের করা হয়।
কী আছে মাখানায়
পুষ্টিবিদরা বলছেন, ‘‘এক কাপ বা ৩২ গ্রামের মতো মাখানায় ক্যালরির পরিমাণ ১০৬, প্রোটিন থাকে ৪.
প্রতিদিন মোটামুটি ৩০ গ্রামের মতো মাখানা খাওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র: বিবিসি
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রিপোলজি: ভিসা থেকে হোটেল বুকিং সবই এক ছাদের নিচে
ঢাকার বনানীতে যাত্রা শুরু করলো ভ্রমণ ও পর্যটনভিত্তিক নতুন প্রতিষ্ঠান ট্রিপোলজি। ভিসা প্রসেসিং থেকে শুরু করে এয়ার টিকিট, হোটেল বুকিং সব সেবা পাওয়া যাবে এক ছাদের নিচে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জুই গার্ডেনে অবস্থিত ট্রিপোলজির অফিসে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে এর উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রাভেল ব্লগার শিশির দেব। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরো যোগ দেন ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্ত্তী এবং কোরিওগ্রাফার গৌতম সাহা।
উদ্বোধনী আয়োজনে ছিল রিবন কাটিং, অফিসিয়াল ফটো সেশন এবং দর্শকদের জন্য বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট সেশন। অনুষ্ঠান ঘিরে ভ্রমণপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যায় এবং তারা বাংলাদেশের ভ্রমণ শিল্পে ট্রিপোলজির সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ট্রিপোলজির কো-ফাউন্ডার তাজরিন আখতার, আবু বক্কর সিদ্দিক ও তৌহিদুল ইসলাম জানান, তাদের লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বাংলাদেশে ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রিকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়া।
কোম্পানির সিইও ইমতিয়াজ কাইসুল বলেন, “ট্রিপোলজি শুধুমাত্র একটি ট্রাভেল এজেন্সি নয়; আমরা চাই মানুষ যেন ভ্রমণের প্রতিটি ধাপে নিশ্চিন্ত সেবা পায়। ভিসা প্রসেসিং থেকে শুরু করে এয়ার টিকিট, হোটেল বুকিং ও হলিডে প্যাকেজ সবকিছুতেই আমরা সর্বোচ্চ পেশাদার মান নিশ্চিত করতে চাই।”
ট্রিপোলজি বর্তমানে প্রথম বিশ্বের দেশগুলোর ভিসা প্রসেসিংয়ে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছে। পাশাপাশি সব ধরনের দেশি-বিদেশি হলিডে প্যাকেজ, এয়ার টিকিট, হোটেল বুকিং, থার্ড ওয়ার্ল্ড ভিসা প্রসেসিং ও স্টুডেন্ট ভিসা সংক্রান্ত সেবা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করেন, ট্রিপোলজির উদ্যোগ বাংলাদেশের ভ্রমণশিল্পকে আরো গতিশীল করবে।
ভ্রমণ সংক্রান্ত সেবা পাওয়া যাবে জুই গার্ডেন, হাউস ২/এ, লেভেল-৭, ব্লক এল, রোড ২/১, বনানী এই ঠিকানায়।
ঢাকা/ইভা