বাণিজ্য সংগঠনের পর্ষদের মেয়াদ, চাঁদাসহ নানা বিধান কোম্পানি আইনের সঙ্গে মিলছে না
Published: 21st, September 2025 GMT
কোম্পানি আইনের সঙ্গে মিলছে না বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা। যেমন, কোম্পানি আইনের পর্ষদের মেয়াদ কত বছর হবে, তা বলা হয়নি। কিন্তু বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালায় এ মেয়াদ দুই বছর করা হয়েছে। অন্যদিকে সভায় উপস্থিতি নিয়েও মতবিরোধ আছে। এ ছাড়া পরিচালনা পর্ষদের শূন্য পদ পূরণ নিয়েও আপত্তি করেছে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো। চাঁদার পরিমাণ ঠিক করে দেওয়ার বিধানটি বাদ দিতে বলেছেন ব্যবসায়ীরা। এমন প্রেক্ষাপটে বিধিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
দুই বছর ধরে আলোচনার পর অন্তর্বর্তী সরকার চার মাস আগে যে বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা করেছে, তা কোম্পানি আইনের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ও সাংঘর্ষিক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া বিভিন্ন চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) কাজের ধরনে পার্থক্য রয়েছে। অথচ বিধিমালায় সবাইকে একই প্রকৃতির বলে বিবেচনা করা হয়েছে। গত ২২ মে এ বিধিমালা প্রণীত হওয়ার পর থেকেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে বিভিন্ন চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন এমন আপত্তি জানিয়ে আসছে।
যোগাযোগ করলে মেট্রো চেম্বারের সভাপতি কামরান টি রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোম্পানি আইন অনুসরণ করে যুগ যুগ ধরে আমরা যেভাবে চেম্বার পরিচালনা করে আসছি, এবারের বিধিমালা তার সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ। বিধিমালা মানতে গেলে কোম্পানি আইন লঙ্ঘন হয়ে যাবে। আমরা তাই বিধিমালা সংশোধনের দাবি জানিয়েছি। আশা করছি সরকার সমস্যার গভীরতা বুঝতে পেরেছে।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ
এত দিন আমলে না নিলেও সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করেছে। বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা, ২০২৫–এর অসংগতিপূর্ণ ধারাগুলো এবার সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ২৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সচিবালয়ে এ নিয়ে বিভিন্ন চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান।
যোগাযোগ করলে বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান গত বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিধিমালাটি কিছুটা অসংগতিপূর্ণ হয়েছে। মেট্রো চেম্বার ও ঢাকা চেম্বারের পক্ষ থেকে আপত্তি উঠেছে। আলোচনা করার জন্য একটা বৈঠক ডাকা হয়েছে। এ বৈঠক থেকে ওঠে আসা সুপারিশ বিবেচনায় নিয়ে আমরা বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা সংশোধন করব।’
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি) আলাদাভাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের কাছে বিধিমালা সংশোধনের লিখিত দাবি জানিয়েছে।
এর আগে ২০২৩ সালের ৯ মে ওই বিধিমালার (তখন প্রস্তাবিত বিধিমালা ছিল) ওপর কিছু মতামত দিয়েছিল এমসিসিআই। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে অংশীজনদের নিয়ে পরামর্শ সভাও অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু অংশীজনদের সভায় আলোচিত বিষয়ের বাইরেও বিধিমালায় অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
বাণিজ্য সংগঠনগুলো কোম্পানি আইনের ২৮ ধারায় নিবন্ধিত। তাই কোম্পানি আইন বাণিজ্য সংগঠনগুলোর জন্য মূল আইন। বিধিমালা করার ক্ষেত্রে তা পুরোপুরি বিবেচনায় রাখা হয়নি। বিধিমালায় ফেডারেশনের নির্বাচনপ্রক্রিয়া এবং অন্য চেম্বার বা অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনপ্রক্রিয়া একই রকম করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এবার দেখা যাক, বিধিমালার কোন কোন বিষয়গুলোতে মতবিরোধ আছে।
পর্ষদের মেয়াদ
বিধিমালায় পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ ২৪ মাস করা হয়েছে। অথচ শতবর্ষী এমসিসিআইয়ের পর্ষদ পাঁচ যুগের বেশি সময় ধরে তিন বছর মেয়াদি। প্রতিবছর এক-তৃতীয়াংশ পরিচালক পর্যায়ক্রমে অবসরে যান, যা কোম্পানি আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
এসব কথা উল্লেখ করে মেট্রো চেম্বার বলেছে, পর্ষদ সদস্যরা কোনো সম্মানী, পারিশ্রমিক বা সভায় অংশগ্রহণের জন্য আর্থিক সুবিধা নেন না। অথচ এফবিসিসিআইয়ের পরিচালকেরা নির্বাচিত হওয়ার পরই বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) হিসেবে বিবেচিত হন এবং রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে দাওয়াত, সচিবালয়ে প্রবেশাধিকারসহ বিভিন্ন সুবিধা পান।
বিএপিএলসিও বলেছে, পর্ষদের মেয়াদের বিষয়টি সংগঠনের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত।
সভা ও সভায় উপস্থিতি
বিধিমালায় সদস্যদের এক-তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে বার্ষিক বা বিশেষ সাধারণ সভার কোরাম পূর্ণ হওয়ার কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি) বলছে, এটা কোম্পানি আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
আর মেট্রো চেম্বার বলেছে, বার্ষিক বা বিশেষ সাধারণ সভায় বৈধ সদস্যদের এক-তৃতীয়াংশের উপস্থিতি যে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, বাস্তবে বৃহৎ সদস্যসংখ্যার সংগঠনে এ উপস্থিতি নিশ্চিত করা প্রায় অসম্ভব। কোম্পানি আইন অনুযায়ী সংগঠনের নিজস্ব সংঘবিধি ও সংঘস্মারক অনুযায়ী তা হওয়া বাস্তবসম্মত।
শূন্য পদ
মেট্রো চেম্বারসহ অন্য বাণিজ্য সংগঠনের পরিচালনা পর্ষদের কোনো পদ শূন্য থাকলে বা মেয়াদের মাঝপথে শূন্য হলে পরের বার্ষিক সাধারণ সভা পর্যন্ত কাউকে অন্তর্ভুক্ত করে কাজ চালিয়ে নেওয়ার চর্চা চলে আসছে, যা কোম্পানি আইনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। এটা স্বচ্ছ ও বাড়তি নির্বাচন আয়োজনের খরচ কমায়। অথচ নতুন বিধিতে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে, যা চেম্বারগুলোর নিয়মিত কার্যক্রমকে বিঘ্নিত করবে।
চাঁদার হার
বিএপিএলসি বলেছে, বিধিমালায় ফেডারেশনকে চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনগুলোর পক্ষ থেকে দুই থেকে পাঁচ লাখ টাকা এককালীন ও ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা করে বার্ষিক চাঁদা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আর সহযোগী সদস্য সংগঠনগুলোকে দিতে হবে দুই লাখ টাকা করে এককালীন ও বার্ষিক চাঁদা।
বিএপিএলসি এই ধারা বাদ দেওয়ার সুপারিশ করে বলেছে, সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের চাঁদা নির্ধারণ করে দেওয়া সংগত নয়।
বিএপিএলসির সভাপতি ও বহুজাতিক কোম্পানি বার্জার পেইন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালী চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে বুঝে, না-বুঝে বিধিমালাটি করা হয়েছে। বিধিমালার অসংগতিগুলো আমরা লিখিতভাবেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। আশা করছি, শিগগির তা সংশোধনে পদক্ষেপ নেবে সরকার।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ণ জ য স গঠন ব ধ ম ল স গত প র ণ স গঠনগ ল স গঠন র উপস থ ত স স আই সরক র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে নানাভাবে দোষারোপ করছে ছাত্র সংগঠনগুলো। সরাসরি নাম উল্লেখ না করে কেউ কাউকে কিছু না বললেও ছাড় দিতে নারাজ তারা।
গত ৩০ অক্টোবর জবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের নেতারা জকসু নির্বাচনের বিধিমালা প্রণয়নে প্রশাসন একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে তাড়াহুড়ো করেছে বলে অভিযোগ করে।
আরো পড়ুন:
জবি প্রশাসনের কাছে ২০ দাবি জানাল ইউটিএল
পিএইচডি গবেষকদের জন্য বৃত্তি চালু করা হবে: জবি উপাচার্য
রবিবার (২ নভেম্বর) ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জকসু নির্বাচন পেছাতে নির্বাচন কমিশন ‘বিশেষ উদ্দেশ্যে’ কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন জবি শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. রিয়াজুল ইসলাম।
পরে সন্ধ্যায় একই স্থানে ‘জকসু নির্বাচনের আচরণবিধি ও স্পোর্টস কার্নিভাল’ বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শাখা জাতীয় ছাত্রশক্তি অভিযোগ করে, জকসু নির্বাচন নিয়ে একটি সংগঠন তড়িঘড়ি করে নির্বাচন আয়োজন করতে চাচ্ছে এবং আরেকটি সংগঠন নির্বাচন পিছিয়ে জাতীয় নির্বাচনের সময়ের কাছাকাছি নিয়ে যেতে চাচ্ছে।
রবিবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “নির্বাচন কমিশন একটি বিশেষ কারো ইশারায়, বাইরের প্রেসক্রিপশনে নির্বাচনের খসড়া প্রস্তুত করেছে। আমাদের দাবি, ২৭ নভেম্বরই শিক্ষার্থীদের নিয়ে জকসু নির্বাচন বাস্তবায়ন করা। নির্বাচন কমিশনের সবাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অংশ। তারা ২৭ নভেম্বর নির্বাচন হওয়ার বিষয়টি আগেই জানতো। কিন্তু তবু ১০ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে খসড়া রোডম্যাপ তৈরি করেছে। এতে একটি গ্রুপকে সুবিধা দিয়ে অন্যদের ভোটাধিকার হরণের চেষ্টা চলছে।”
তিনি বলেন, “প্রশাসন ও কমিশন আগে জানিয়েছিল, আইন প্রণয়নের পরই প্রস্তুতি কমিটি গঠনের কাজ শুরু হবে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, তারা নতুনভাবে সব কাজ করতে চাচ্ছে—যেন নির্বাচন বিলম্বিত হয়। আলোচনার টেবিলে নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে।”
তিনি আরো বলেন, “একটা পক্ষের সব কথা শোনা হচ্ছে। কিন্তু অন্যদের মতামত গুরুত্ব পাচ্ছে না। এতে স্পষ্ট, নির্বাচন পেছানোর মানসিকতা নিয়েই তারা আলোচনায় বসছে। ১৩ ডিসেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষা বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর জাতীয় বিজয় দিবসের কর্মসূচির কারণে সে সময় নির্বাচন গ্রহণ করা সম্ভব নয়।”
“এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশন ১৬ ডিসেম্বরের পর ভোট আয়োজন করতে চাইছে। কিন্তু তখন জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে বা ছুটি শুরু হলে জকসু নির্বাচন করা অসম্ভব হয়ে পড়বে,” যুক্ত করেন শিবির সভাপতি।
আপ বাংলাদেশের সঙ্গে প্যানল ঘোষণার বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা ইনক্লুসিভ প্যানেল করতে চাচ্ছি। আমাদের প্যানেলে কারা থাকবেন সেটা এখনো নির্দিষ্ট হয়নি। শিগগিরই এ বিষয়ে জানতে পারবেন।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জবি ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল আলিম আরিফ, অফিস সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল ও বাইতুল মাল সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন নিয়ে একটি সংগঠন তড়িঘড়ি করে নির্বাচন আয়োজন করতে চাইছে, আরেকটি সংগঠন নির্বাচন পিছিয়ে জাতীয় নির্বাচনের সময়ের কাছাকাছি নিয়ে যেতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছে শাখা জাতীয় ছাত্রশক্তি।
অপরদিকে, ‘জকসু নির্বাচনের আচরণবিধি ও স্পোর্টস কার্নিভাল’ বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শাখা জাতীয় ছাত্রশক্তি সদস্য সচিব শাহিন মিয়া বলেন, “একটি সংগঠন নির্বাচনকে পেছানোর চেষ্টা করছে, আরেকটি সংগঠন তড়িঘড়ি করে দিতে চাইছে। আমরা চাই এমন একটি নির্বাচন, যেখানে শিক্ষার্থীরা অবাধভাবে অংশ নিতে পারবে এবং সবাই সমান সুযোগ পাবে। নির্বাচন কমিশন যেন প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে একটি গ্রহণযোগ্য সময়সূচি ঘোষণা করে এবং কোনো পক্ষের প্রভাবে না পড়ে।”
তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশনের যে সাহসী ও নিরপেক্ষ ভূমিকা দেখানোর কথা, আজকের মতবিনিময় সভায় আমরা তা দেখতে পাইনি।”
জবি শাখার আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদ বলেন, “আমরা সব সময় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে। আমরা চাই না যে ক্লাস-পরীক্ষা বাদ দিয়ে হঠাৎ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। অন্যদিকে, ছাত্রশিবির দ্রুত নির্বাচন চায়, আর ছাত্রদল সেটি পেছাতে চায়—যা নির্বাচনী পরিবেশকে জটিল করে তুলছে। জাতীয় নির্বাচন ও জকসু নির্বাচন একই সময়ে পড়লে তা প্রশাসনিকভাবেও বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।”
এর আগে, গত ৩০ অক্টোবর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেছিলেন, “আমাদের প্রত্যাশা ছিল প্রশাসন একটি আধুনিক, যুগোপযোগী ও বাস্তবসম্মত জকসু নীতিমালা প্রণয়ন করবেন। কিন্তু আমরা দেখেছি, প্রশাসন একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে তাড়াহুড়ো করেছে, যা হতাশাজনক।”
তিনি বলেছিলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবার জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমরা চাই এটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হোক—যাতে জকসু শিক্ষার্থীদের প্রকৃত প্রতিনিধি নির্বাচনের মুক্ত মঞ্চে পরিণত হয়, কোনো দলীয় প্রভাবের শিকার না হয়।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী