‘নির্বাহী আদেশে নয়, আ.লীগকের আইনের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করতে হবে’
Published: 21st, September 2025 GMT
বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, “জামায়াতসহ ইসলামী দলগুলো দাবি করছে, দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ পিআরের পক্ষে রয়েছে। তাহলে সরাসরি নির্বাচনে আসতে আপনাদের ভয় কিসের? আপনারা নির্বাচনকে অনিশ্চিত করতে হাসিনার মতো ফাঁকা মাঠ তৈরির যে পায়তারা করছেন, বাংলাদেশের জনগণ তা মেনে নেবে না।”
তিনি বলেন, “আপনারা জাতীয় পার্টিসহ সব ফ্যাসিবাদী দলকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। আমরাও চাই, আওয়ামী লীগসহ ফ্যাসিবাদের দোসর সব দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তবে সেটা নির্বাহী আদেশে নয়, আইনের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করতে হবে। যাতে পরে আবার আসার সুযোগ না থাকে।”
আরো পড়ুন:
নেত্রকোণায় জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপির অর্ধশত কর্মী-সমর্থক
যেকোনো মূল্যে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: তারেক
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ মসজিদ সংলগ্ন বাইতুস-শরফ মাদরাসা মাঠে আয়োজিত বিএনপির উপজেলা দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আজিজুল বারী হেলাল বলেন, “হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে গঠিত ইউনূস সরকার। তাই ইউনুস সরকারের সফলতা মানে বাংলাদেশের সফলতা। ষড়যন্ত্র করে এই সরকারকে হারানো যাবে না। ষড়যন্ত্রের কাছে এ দেশের জনগণ মাথা নত করবে না।”
জামায়াত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের রাজনীতিতে মারাত্মক জীবাণু যদি থাকে, তা হলো জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ। কোরামীন দিয়ে একটি দলকে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। একবার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান গণতন্ত্রের স্বার্থে তা করেছিলেন।”
আসন্ন দুর্গাপূজা প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, “বিরাট একটা ষড়যন্ত্র হচ্ছে দুর্গাপূজা উৎসবকে কেন্দ্র করে। যাতে কোনো প্রকার অন্তর্র্বতী সরকার ও বাংলাদেশের ইমেজ নষ্ট না করতে পারে। সে জন্য বিএনপির সকল নেতাকর্মীদের মণ্ডপে মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করতে হবে। হিন্দুরা বিএনপিকে ভোট দেয় না, এই ধারণাটি ভুল। বিএনপি হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানদের মিলনস্থল।”
আজিজুল বারী হেলাল বলেন, “গত ৫০ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হিন্দুরাই সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের নজির স্থাপনের আহ্বান জানাই।”
সম্মেলনে সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা.
ঢাকা/শহিদুল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ন ষ দ ধ কর ব এনপ র র রহম ন ত কর ম সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
‘৭০ ভাগ জনগণ পিআর পদ্ধতির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে’
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ বলেছেন, ‘২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন। এরপর ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছে। সেই জনগণের ৭০ ভাগ পিআর পদ্ধতির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে। ঐকমত্য কমিশনে ৩১টি দলের মধ্যে ২৫টি দল পিআরের পক্ষে রয়েছে।’
আজ শুক্রবার বিকেলে খুলনা নগরের ডাকবাংলা সোনালী ব্যাংক চত্বরে জুলাই সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, ‘একটি দলের কেউ কেউ বলছেন, পিআর খায় না মাথায় দেয়। কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এটা বলতে পারেন না। তাই পিআর বাস্তবায়নের জন্য গণভোট দিন। রায় পিআরের পক্ষে নাকি বিপক্ষে যাচাই করুন। জনগণ যদি পিআর মানে আপনাদেরও মানতে হবে। আর জনগণের রায় যদি পিআরের বিপক্ষে যায়, তাহলে আমরা মেনে নেব। কিন্তু তারা তো গণভোটকে ভয় পাচ্ছে। পিআরের মধ্য দিয়ে সবার অংশীদারির ভিত্তিতে যদি পেশিশক্তি ও কালোটাকামুক্ত কোয়ালিটিপূর্ণ পার্লামেন্ট হয়, সরকার গঠন হয়, তাহলে কোনো দলের পক্ষে ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা নেই। তাই তারা পিআর ঠেকাতে চায়।’
জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও খুলনা মহানগরের আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ শাহ আলম ও শেখ জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চলের পরিচালক আবদুল খালেক, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের টিম সদস্য মাস্টার শফিকুল আলম এবং কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও খুলনা জেলার আমির মাওলানা এমরান হুসাইন প্রমুখ।
মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, ‘আর্টিকেল ৭-এর ভিত্তিতেই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে তার আলোকে নির্বাচন দিতে হবে। এখন যদি দুই-তিন মাস আলোচনার পর একটি দল বলে যে এটা পরে হবে, তাহলে কেন এত পরিশ্রম করালেন? সে জন্যই বলছি আমাদের আন্দোলন রাজনীতির অংশ। আমাদের রাজনীতি জনগণের আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরার জন্য। আমরা আলোচনার টেবিলে নিষ্পত্তির জন্য আশাবাদী। আমরা নিরাশ নই।’
জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘আপনারা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড মেনটেইন করতে পারছেন না। তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কীভাবে? তাই আমাদের দাবি—আপনারা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিন। সাংবিধানিক অর্ডার জারি করুন। গণভোট দিন। ফ্যাসিবাদের কার্যক্রম স্থগিত করুন। আপনারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নির্বাচনের আগে দৃশ্যমান বিচার করবেন। আমাদেরও দাবি নির্বাচনের আগেই তা দৃশ্যমান করতে হবে।’
মতিউর রহমান আকন্দ আরও বলেন, ‘এই সংস্কার যদি এখন না হয়, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য যদি ঠিক করা না হয়, আর তা যদি নির্বাচনের আগে না হয়, বিদ্যমান রাষ্ট্রকাঠামোতে যদি আবার নির্বাচন হয়, তাহলে এই নির্বাচনের মাধ্যমে আরেকটি ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে। বিদ্যমান কাঠামোতে নির্বাচন হলে আরেকটি হাসিনার জন্ম হবে। বাংলার মানুষ আর ফ্যাসিবাদের জন্ম হতে দেবে না।’
পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরের ডাকবাংলা সোনালী ব্যাংক চত্বর থেকে শুরু হয়ে ফেরিঘাট মোড়, পাওয়ার হাউস মোড় ও সংগীতার সামনে দিয়ে শিববাড়ী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।