৯৯ চার, ১২ ছক্কা আর ৭৮১ রানের রেকর্ডময় ম্যাচ
Published: 21st, September 2025 GMT
ম্যাচটা জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। হেরেছে ভারত। ব্যবধান ৪৩ রানের।
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে গতকাল রাতে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার নারী ক্রিকেট দল যে ওয়ানডে ম্যাচটি খেলেছে, তা স্রেফ জয়-পরাজয়ের ম্যাচ নয়। নিখাদ ব্যাটিং বিনোদনের ম্যাচ। যে ম্যাচে ভেঙেছে নারী ক্রিকেটের বহু রেকর্ড, দেখা গেছে দুর্দান্ত সব কীর্তির।
৭৮১৪৭.
মেয়েদের ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ ইনিংস এটি। তবে একক নয়, যৌথভাবে। ১৯৯৭ বিশ্বকাপে ডেনমার্কের বিপক্ষে ৪১২ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া, যে ম্যাচে ছেলে-মেয়ে মিলিয়েই ওয়ানডে ইতিহাসের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছিলেন বেলিন্ডা ক্লার্ক।
বলে রাখা ভালো, নারী ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস নিউজিল্যান্ডের ৪৯১। যা দলটি করেছিল ২০১৮ সালে ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
চার শ হজমনারী ওয়ানডেতে এই প্রথম চার শ রান হজম করল ভারত। আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩৭১ রান।
৩৬৯রান তাড়ায় সব দল মিলিয়ে ভারতের ৩৬৯ রানই এখন সর্বোচ্চ। আগের সর্বোচ্চ দক্ষিণ আফ্রিকার, গত বছর বেঙ্গালুরুতে ভারতের ৩২৫ রানের জবাবে তারা থামে ৩২১ রানে।
বাউন্ডারির সেঞ্চুরিদুই দল মিলিয়ে মোট ৯৯টি চার ও ১২টি ছক্কা হয়েছে ম্যাচে—মোট ১১১টি। মেয়েদের ওয়ানডেতে বাউন্ডারির সেঞ্চুরি এই প্রথম। এর আগে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ বাউন্ডারি ছিল ৯১টি। ২০১৭ সালে ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচটিতেই চার হয়েছিল ৮৩টি, ছক্কা ৮টি। সর্বোচ্চ চার, ছক্কায় এত দিন সামনে ছিল আট বছর আগের ম্যাচটি।
মান্ধানার রেকর্ড৫০ বলে সেঞ্চুরি করেছেন ভারতের স্মৃতি মান্ধানা। ছেলে-মেয়ে মিলিয়েই ওয়ানডেতে ভারতের দ্রুততম সেঞ্চুরি এটি। নারী ওয়ানডে ইতিহাসের যা দ্বিতীয় দ্রুততম। ৪৫ বলে সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি মেগ ল্যানিংয়ের, ২০১২ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
১৩স্মৃতি মান্ধানার সেঞ্চুরিটি তাঁর ক্যারিয়ারের ১৩তম। সবই উদ্বোধন করতে নেমে। ইনিংস ওপেন করতে নেমে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি এখন এই ভারতীয় ব্যাটারের। নিউজিল্যান্ডের সুজি বেটস ও ইংল্যান্ডের ট্যামি বাউমন্ট ১২টি করে সেঞ্চুরি করেছেন ওপেনার হিসেবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র কর ড
এছাড়াও পড়ুন:
৮ বছরেও শুরু হয়নি কুবির ২ বিভাগের কার্যক্রম
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) দীর্ঘ ৮ বছর আগে অনুমোদন পাওয়া দুটি বিভাগ এখনো চালু হয়নি। অনুমোদন সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ, অবকাঠামোগত প্রস্তুতি এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমের ধীরগতির কারণে বিভাগ দুটি কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকেই বিভাগ দুটি চালু হওয়ার কথা থাকলেও, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত ও শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে নতুন অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণের পরে বিভাগ দুটি চালুর পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণ হয়নি।
আরো পড়ুন:
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় কুবি প্রক্টরের জরুরি নির্দেশনা
সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে কুবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ
এছাড়া, তৎকালীন অর্গানোগ্রামে ৩১টি বিভাগের মধ্যে এই দুইটি বিভাগ অন্তর্ভুক্ত ছিল না, যা পরবর্তীতে চালু করা নিয়ে জটিলতা তৈরি করে।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে বৈঠক করে এই বিষয়ে পুনরায় আলোচনা করে। ইউজিসি নির্দেশনা অনুযায়ী, নতুন অর্গানোগ্রামে বিভাগের অন্তর্ভুক্তি ও নতুন বিভাগের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
সে অনুযায়ি ১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কুবির ৮৯তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ে পূর্বের ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ এর পরিবর্তে ‘লজিস্টিক্স ও মার্চেন্ডাইজিং বিভাগ’ এবং ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’-এর পরিবর্তে ‘পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ নামে অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও অর্গানোগ্রামে নতুন আরও ১৮টি বিভাগের নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
তৎকালীন বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রস্তাবক রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান বলেন, “২০১৭ সালে অনুমোদন থাকলেও জায়গা সংকটের কারণে বিভাগ চালু করা সম্ভব হয়নি। পরে প্রশাসন পাল্টালেও কেউ উদ্যোগ নেয়নি।”
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, “অর্গানোগ্রামে অন্তর্ভুক্তি মানে এখনই চালু হবে না। অনুমোদন থাকলেও তৎকালীন সময়ে চালু করা সম্ভব হয়নি। এখন ইউজিসি নির্দেশনায় নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “তৎকালীন প্রশাসন বলতে পারবে কেন বিভাগ চালু হয়নি। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা মাধ্যমে নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী ২ বছরের মধ্যে আশা করি বিভাগ চালু করা সম্ভব হবে, তখন নতুন ক্যাম্পাসও প্রস্তুত থাকবে।”
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী