সকালে পান করার জন্য সবুজ চা নাকি লাল চা ভালো?
Published: 22nd, October 2025 GMT
গ্রিন টি বা সবুজ চা আর লাল চা— এই দুইয়ের মধ্যে কোনটি ভালো? এই তর্ক বহু প্রাচীন। নানা জনের নানা মত। দুই ধরনের চা-ই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো, আবার অতিরিক্ত হলে তা খারাপ। কিন্তু সকাল সকাল শরীর ও মনকে চাঙ্গা করতে কোনটি বেশি কার্যকরী?
জানা যায়, ক্যামেলিয়া সিনেনসিস গাছের পাতা থেকেই দুই প্রকার চায়ের জন্ম। কিন্তু পাতা তৈরির পদ্ধতি এবং ক্যাফিনের পরিমাণের পার্থক্যের কারণে দুইটি চা ভিন্ন প্রকৃতির। গ্রিন টি কিছুটা প্রক্রিয়াজাত এবং এতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পরিমাণ বেশি। কিন্তু লাল চা-কে পুরোপুরি অক্সিডেশন করা হয়। যার ফলে লাল চায়ের স্বাদ হয় তীব্র, এবং ক্যাফিন থাকে বেশি পরিমাণে।
আরো পড়ুন:
মুসলিম বিজ্ঞানী আল জাহরাউয়ি সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন
তিন ধাপে রান্না করুন প্রোটিনে ভরপুর ‘দই মাটন’
কোন চা বেশি উপকারী?
এক কাপ লাল চায়ে সাধারণত ৪০-৭০ মিলিগ্রাম ক্যাফিন থাকে। অন্য দিকে গ্রিন টি-তে সাধারণত থাকে ২০-৪৫ মিলিগ্রাম ক্যাফিন। লাল চায়ে ক্যাফিনের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি সকালে চাঙ্গা ভাব দ্রুত আনে, মনোযোগ ও কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
কিন্তু গ্রিন টি-তে ক্যাফিন কম থাকলেও তা শরীরকে সজাগ করে তুলতে পারে। শরীর ও মনে প্রশান্তি আনে, ক্লান্তি আনে না। অফিস শেষে বা রাতের দিকে শরীর-মন শান্ত রাখতে এটি আদর্শ কারণ এতে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড এল-থিয়ানিন। গ্রিন টি-র মধ্যে ক্যাফিন এবং এল-থিয়ানিনের এই জুটির উপস্থিতি রয়েছে বলে শরীর ধীরে ধীরে সজাগ হতে পারে।
অল্প সময়ের মধ্যে চাঙ্গা হয়ে আবার ঝিমিয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে না গ্রিন টি খেলে। কড়া চা বা কফিতে যেমন ঘটে, গ্রিন টি-র ক্ষেত্রে তা হয় না। গ্রিন টি-তে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে বলে নানা ভাবে উপকার মেলে। হজমক্রিয়ার উন্নতিতে, ওজন কমানোয়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে গ্রিন টি। লাল চা-ও হজমে সাহায্য করে, রক্তে কোলেস্টেরল কমায় এবং মনোযোগ বাড়ায়। সকালে এক কাপ লাল চা শরীরকে চনমনে করে তোলে, ক্লান্তি দূর করে দেয় দ্রুত।
সকালে বা অফিসের সময় চাঙ্গা থাকতে লাল চা উপযুক্ত। অন্য দিকে, বিকেল বা রাতে গ্রিন টি শরীরকে শান্ত করে, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় না। গ্রিন টি আর লাল চা, দুইটিরই প্রয়োজন রয়েছে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অলিপুরে ২২০ বস্তা ভারতীয় জিরা জব্দ, আটক ২
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার অধীন অলিপুর ক্যাম্পের পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২২০ বস্তা ভারতীয় জিরা জব্দ করেছে। প্রতিটি বস্তায় রয়েছে ৩০ কেজি জিরা, যার বাজারমূল্য প্রতি কেজি ১ হাজার টাকা হিসেবে ৬৬ লাখ টাকা।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে (যশোর ট-১১-৪১-৮৯) নম্বরের একটি ট্রাক অলিপুর চেকপোস্টে পৌঁছলে হাইওয়ে পুলিশ সন্দেহজনক মনে করে ট্রাকটি আটক করে তল্লাশি চালায়। এসময় ট্রাকভর্তি জিরা জব্দ করা হয়। পরে ট্রাকের চালক সাহাবুদ্দিন (২৩) ও হেলপার মো. আকাশকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাহাবুদ্দিন জানান, তিনি ভাড়ায় ট্রাক চালান। পণ্যের মালিকানা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানেন না।
শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান জানান, জব্দকৃত জিরা বিদেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে শুল্ক আইন অনুযায়ী মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ঢাকা/মামুন/এস