কালো উইকেট দেখে আকিল মনে করেছিলেন, ‘টিভির কালার সমস্যা’
Published: 22nd, October 2025 GMT
টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে আকিল হোসেনের বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। কিন্তু ওয়ানডে সিরিজে তাকে হুট করে দলে নেওয়া হয়। শনিবার পোর্ট অব স্পেনে নিজের বাড়িতে বসে প্রথম ওয়ানডে দেখেছিলেন আকিল।
এরপর দলের ডাকে রওণা হন বাংলাদেশের পথে। সোমবার রাত আড়াইটায় পৌঁছান গন্তব্যে। হোটেলে পৌঁছতে পৌঁছতে রাত চারটা। এরপর দুপুর দেড়টায় জাতীয় দলের জার্সিতে ম্যাচ খেলতে নেমে যান বাঁহাতি স্পিনার।
মাঠে নেমে দলের অন্যতম নায়ক তিনি। সুপার ওভারে ১০ রানের পুঁজি নিয়ে দলকে জিতিয়ে দেন। পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলনে এসে ম্যাচ নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন।
এদিকে প্রথম ওয়ানডে চলাকালীন অদ্ভুত এক ঘটনার সাক্ষী হতে হয় তাকে। বাড়িতে বসে টিভির পর্দায় দেখছিলেন ম্যাচ। কিন্তু কিছুতেই সন্তুষ্ট হতে পারছিলেন না। কেন?
মিরপুরের উইকেট নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েন আকিল। কালো মাটির উইকেট দেখে ক্যারিবীয়ান এই ক্রিকেটার মনে করেছিলেন, তার ঘরের টিভিতেই মনে হয় কালারে সমস্যা। পরবর্তীতে গভীর পর্যবেক্ষণের পর নিশ্চিত হন, টিভিতে নয় মিরপুরের উইকেটই কালো।
মঙ্গলবার ম্যাচ শেষে আকিল নিজের বিভ্রান্তির কথা সংবাদ সম্মেলনে বলেন। তাতে হাস্যরসের তৈরি হয়,
“যখন টিভি অন করলাম, প্রথম যে কাজটি করলাম, তা হলো টিভি পরীক্ষা করে দেখা, কারণ মনে হচ্ছিল টিভিতেই বুঝি সমস্যা। পর্দা একদম কালো, মনে হচ্ছিল কোথাও সমস্যা হয়েছে—হয়তো রঙ চলে গেছে বা কিছু একটা গোলমেলে। পরে বুঝলাম, পিচটাই এমন কালো।”
মাত্র কয়েক ঘণ্টার বিশ্রাম নিয়ে আকিলকে খেলতে হয় পুরো ১০০ ওভারের ম্যাচ। এরপর আবার সুপার ওভার। ক্লান্ত শরীরের সব পরিশ্রম নিমিষেই উধাও ম্যাচ জয়ের পর। নিজের পেশাদারিত্বের কথা তুলে ধরতে গিয়ে আকিল যোগ করেন, ‘‘রাত চারটায় হোটেলে পৌঁছেছি। কিন্তু এটাই কাজের অংশ। একবার যখন কোনো কিছুর প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই, তখন অজুহাত চলে না—শতভাগ দিতে হয়। প্রায় নষ্টই করে ফেলেছিলাম ম্যাচটা, কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলকে জিতিয়ে আনতে পেরেছি, এটাই বড় স্বস্তি।”
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষকদের ওপর হামলা হলে দায় সরকারের: আজিজী
আন্দোলনকারী এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেছেন, ‘‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে যদি বাধা সৃষ্টি বা আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর হামলা হয়, তাতে সৃষ্ট অশান্তির পুরো দায় সরকারকে নিতে হবে।’’
রবিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর হাইকোর্টের মাজার রোড এলাকায় ভুখা মিছিলে বাধা-পরবর্তী অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
ইবিতে বহিরাগতদের অবাধ প্রবেশ, নিরাপত্তা শঙ্কায় শিক্ষার্থীরা
বেরোবি শিক্ষার্থীদের জন্য ২ দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘‘কর্মসূচির সময় বিভিন্ন স্থানে শিক্ষকদের আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাঁদপুরে ৪০০ শিক্ষকের লঞ্চ আটকা পড়ার খবর পাওয়া গেছে। গাজীপুর ও টাঙ্গাইলেও শিক্ষকরা বাসে আটকে পড়েছেন। এ সব ঘটনার প্রেক্ষিতে শিক্ষকরা যে ধরনের হেনস্থা হচ্ছে, তার দায়ভার ঠিকই সরকারকেই নিতে হবে।’’
বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও উৎসব ভাতা বাড়ানোর দাবিতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনশনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা বরিবার (১৯ অক্টোবর) ‘ভুখা মিছিল’ নিয়ে শিক্ষা ভবন (মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর- মাউশি) অভিমুখে পদযাত্রা করে। বিকেলে হাইকোর্ট সংলগ্ন মাজার এলাকায় পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে পদযাত্রা আটকে দেয়।
মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১ হাজার ৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা ও কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করার দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষক–কর্মচারীরা।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আন্দোলনরত শিক্ষকরা এই প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান করে তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে তারা থালা-বাটি হাতে ভুখা মিছিল করে।
অধ্যক্ষ আজিজী বলেন, ‘‘আমাদের আন্দোলনের মূল দাবি বাড়িভাড়া ২০ শতাংশ, চিকিৎসা ভাতা ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং উৎসব ভাতার ৭৫ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা। এই দাবিগুলো পূরণ না হলে আন্দোলন চলবে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়নের জন্য মোট প্রয়োজন মাত্র ৩৪ কোটি টাকা, যা প্রশিক্ষণ তহবিল থেকে স্থানান্তর করা সম্ভব; প্রয়োজন হলে পরবর্তী বাজেটের মাধ্যমে বাকি অর্থ দেওয়া যাবে।’’
শিক্ষকদের আন্দোলন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘শিক্ষকেরা দেশের নির্বাচনের প্রধান 'স্টেকহোল্ডার'। প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারসহ প্রায় ৮০ শতাংশ নির্বাচনি দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে শিক্ষকেরা নিয়োজিত। আন্দোলনে জামায়াত, এনসিপি, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল একাত্মতা প্রকাশ করেছে, যেটি আন্দোলনের ব্যাপক সমর্থন নির্দেশ করে।’’
অধ্যক্ষ আজিজী জানিয়েছেন, পরবর্তী ধাপে শিক্ষা ভবনের সামনে বড় মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে এবং শেষে শহীদ মিনারে ফিরে আসা হবে। তিনি সতর্ক করেছেন, কর্মসূচির সময়ে কারো দ্বারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে তাকে পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হবে।
ঢাকা/এএএম/বকুল