স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘বিশেষ প্রসিকিউটোরিয়াল উপদেষ্টা’ ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজীর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটি ‘হ্যাকড’ (বেহাত) হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি প্রতিকার চেয়ে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় এহসানুল হক সমাজী একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান।

এসআই মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘বিশেষ প্রসিকিউটোরিয়াল উপদেষ্টা’ এহসানুল হক সমাজীর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটি হ্যাকড হয়েছে। হ্যাকিংয়ের ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের খুঁজে বের করতে কাজ করছে পুলিশ।

এহসানুল হক সমাজী তাঁর জিডিতে উল্লেখ করেছেন, বুধবার দুপুরে উত্তরা মডেল থানার একজন এসআই পরিচয় দিয়ে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ফোন দেন। ফোনটি তিনি রিসিভ করার পর এসআই পরিচয়ধারী ব্যক্তি তাঁকে জানান, তাঁর মুঠোফোন থেকে সরকারবিরোধী তথ্য প্রচার হচ্ছে। পরে তিনি একটি লিংক তাঁর মুঠোফোনে পাঠান। পরে একটি কোড পাঠান এসআই পরিচয়ধারী সেই ব্যক্তি। এর কিছুক্ষণ পর জানতে পারেন, তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটি হ্যাক করা হয়েছে। তাঁর মুঠোফোন থেকে তাঁর বিভিন্ন পরিচিতজনের কাছে টাকা চাওয়া হচ্ছে।

জানতে চাইলে আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর হ্যাকিং করে যাঁরা আমার সম্মানহানি করেছেন, তাঁদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হোক।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

মাটির নিচের কারাগারে আটক রাখা হয়েছে ফিলিস্তিনিদের

ইসরায়েল গাজার কয়েক ডজন ফিলিস্তিনিকে একটি ভূগর্ভস্থ কারাগারে আটকে রেখেছে। সেখানে তারা কখনো দিনের আলো দেখতে পায় না, এমনকি পর্যাপ্ত খাবার থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়।

আটককৃতদের মধ্যে কমপক্ষে দুইজন বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন যাদের কোনো অভিযোগ বা বিচার ছাড়াই আটক রাখা হচ্ছে। এদের মধ্যে একজন নার্স এবং একজন তরুণ খাদ্য বিক্রেতা। ইসরায়েলের পাবলিক কমিটি অ্যাগেইনস্ট টর্চার ইন এর আইনজীবীরা এ তথ্য জানিয়েছেন।

জানুয়ারি থেকে এই দুই ব্যক্তিকে ভূগর্ভস্থ রাকেফেট কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। অন্যান্য ইসরায়েলি আটক কেন্দ্রে যেভাবে নির্যাতন করা হয় বন্দিদের ঠিক তেমনই তাদের নিয়মিত মারধর করা হয়।

রাকেফেট কারাগারটি ১৯৮০ এর দশকের গোড়ার দিকে ইসরায়েলের সবচেয়ে বিপজ্জনক কারাগার। এটি সংগঠিত অপরাধীদের রাখার জন্য খোলা হয়েছিল। কিন্তু কয়েক বছর পরে এটি অমানবিক বলে অভিযোগ করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ২০২৩ সালে ৭ অক্টোবরের হামলার পর অতি-ডানপন্থী নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এটিকে পুনরায় চালু করার নির্দেশ দেন।

কারাগারের সেলগুলো, আঙ্গিনা এবং আইনজীবীদের একটি সভাকক্ষ-সবকিছুই ভূগর্ভস্থ, তাই বন্দিরা এখানে প্রাকৃতিক আলো ছাড়াই বাস করে।

কারাগারটি প্রাথমিকভাবে কয়েকটি উচ্চ-নিরাপত্তা বন্দির জন্য তৈরি করা হয়েছিল যারা পৃথক কক্ষে অবস্থান করত। ১৯৮৫ সালে এটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় ১৫ জন আটক ছিল। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে, প্রায় ১০০ জন বন্দিকে সেখানে রাখা হয়েছে।

অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে সম্মত যুদ্ধবিরতির অধীনে, ইসরায়েল গাজা থেকে ১ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে যাদের অভিযোগ বা বিচার ছাড়াই অনির্দিষ্টকালের জন্য আটক রাখা হয়েছিল। সেইসাথে ইসরায়েলি আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ২৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

তবে, আটকের পরিমাণ এতটাই ব্যাপক যে, সেই গণমুক্তির পরেও, কমপক্ষে এক হাজার জন এখনো একই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের হাতে আটক রয়েছে।

পাবলিক কমিটি অ্যাগেইনস্ট টর্চার ইন বলেছে, “যদিও যুদ্ধ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে, (গাজার ফিলিস্তিনিরা) এখনো আইনিভাবে বিতর্কিত এবং সহিংস যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে বন্দি রয়েছে যা আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন করে এবং নির্যাতনের সমান।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজায় গণহত্যার প্রমাণ মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যে
  • মাটির নিচের কারাগারে আটক রাখা হয়েছে ফিলিস্তিনিদের
  • সাংবাদিকের ওপর চড়াও আইনজীবী, ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা
  • যুক্তরাষ্ট্রে ৬ বছরের ছাত্রের গুলিতে আহত শিক্ষককে কোটি ডলার ক্ষতিপূরণের নির্দেশ
  • আইনজীবীদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, মেজবাহউদ্দীন ফরহাদকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান
  • পদে থেকেও নির্বাচন করা যায়: অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান
  • সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় লতিফ সিদ্দিকী ও মঞ্জুরুল আলমের হাইকোর্টে জামিন