সারের দাম বাড়বে না: কৃষি উপদেষ্টা
Published: 25th, September 2025 GMT
কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, “দেশে সারের কোনো সংকট নেই, তাই সারের দাম কোনোভাবেই বাড়ানো হবে না।”
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সচিবালয়ের কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
কুড়িগ্রামে বেশি দামে সার বিক্রি করায় জরিমানা
ঠাকুরগাঁওয়ে সরকারি সার বোঝাই ট্রাক জব্দ
কৃষি মন্ত্রণালয়ের গত ১ বছরের সাফল্য, অর্জন ও সার্বিক অগ্রগতি বিষয় জানানোর জন্য এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কৃষি উপদেষ্টা বলেন, “আগামী অর্থবছরে সম্ভাব্য ঘাটতি মোকাবিলায় সার আমদানিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং সার সরবরাহ ব্যবস্থায় পুরনো সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে।”
তিনি বলেন, “বেশি দামে জ্বালানি কিনে সার উৎপাদন করা হলেও সারের দাম বৃদ্ধি করা হবে না। সার পাচার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উপদেষ্টা বলেন, “গত অর্থবছরে দেশে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫ লাখ মেট্রিক টন অতিরিক্ত ধান উৎপাদিত হয়েছে। এছাড়া অতিরিক্ত আলু উৎপাদনের ফলে বাজারে দাম কমে যাওয়ায়, আলুর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হিমাগার গেটে সর্বনিম্ন ২২ টাকার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকের কাছ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন আলু ক্রয় করার পরিকল্পনাও রয়েছে।”
সার আমদানির প্রক্রিয়া ও মজুত থাকা প্রাকৃতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে তিনি জানান।
সারের দাম নিয়ন্ত্রণসহ ডিলার নিয়োগ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা জানান, রাজনৈতিকভাবে ডিলার নিয়োগ দেওয়া হবে না, একটি নীতিমালা অনুযায়ী ডিলার নিয়োগ করা হবে এবং যারা সারের দাম নিয়ে নয়ছয় করবে, তাদের ডিলারশিপ বাতিল করা হবে।
আলুর বাজার পরিস্থিতি, অতিরিক্ত উৎপাদন ইত্যাদির প্রেক্ষাপটে তিনি আলুর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান তিনি।
ঢাকা/এএএম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট উপদ ষ ট উৎপ দ
এছাড়াও পড়ুন:
চলতি অর্থবছরে ৫% জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এডিবির; ৪ কারণে চাপে প্রবৃদ্ধি
চলতি অর্থবছর মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) কিছুটা বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এডিবির পূর্বাভাস অনুসারে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ হতে পারে। গত অর্থবছরের জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন হলো ৪ শতাংশ।
এডিবি আরও বলেছে, তৈরি পোশাক রপ্তানি স্থিতিশীল থাকলেও রাজনৈতিক পরিবর্তন, ঘন ঘন বন্যা, শিল্প খাতে শ্রমিক অস্থিরতা এবং বিরাজমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই চার কারণে প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধিতে।
আজ মঙ্গলবার এডিবি এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) সেপ্টেম্বর সংস্করণ প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এডিবি আরও বলেছে, চলতি অর্থবছরে ভোগ্যব্যয় বাড়বে। কারণ, রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া আসন্ন নির্বাচনসংক্রান্ত নানা ধরনের খরচের কারণেও ভোগব্যয় বাড়াবে।
বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধিনির্ভর করবে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নয়নের মাধ্যমে প্রতিযোগিতা বাড়ানো, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা এবং নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার ওপর। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্যে মার্কিন শুল্কের প্রভাব এখনো স্পষ্ট নয়। দেশের ব্যাংক খাতের দুর্বলতা অব্যাহত রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য জরুরি।
এডিবির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৬ অর্থবছরের জন্য কিছু ঝুঁকি রয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যসংক্রান্ত অনিশ্চয়তা, ব্যাংক খাতের দুর্বলতা এবং নীতি বাস্তবায়নের অনাগ্রহ প্রবৃদ্ধির অগ্রগতিতে বাধা হতে পারে। এ জন্য সঠিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বজায় রাখা এবং কাঠামোগত সংস্কার দ্রুততর করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। গত অর্থবছরের তা বেড়ে দাঁড়ায় ১০ শতাংশ। এর পেছনে রয়েছে পাইকারি বাজারে সীমিত প্রতিযোগিতা, বাজার তথ্যের ঘাটতি, সরবরাহ শৃঙ্খলে বাধা এবং টাকার অবমূল্যায়ন।
এডিবি বলছে, চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হবে ভোগব্যয়, যা শক্তিশালী রেমিট্যান্স প্রবাহ ও নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের কারণে বাড়বে। তবে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতি এবং বিনিয়োগকারীদের সতর্ক মনোভাব বিনিয়োগকে মন্থর করতে পারে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রতিযোগিতা বাড়ায় রপ্তানি খাত এবং এর প্রবৃদ্ধি চাপ বাড়াবে। ফলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে রপ্তানিকারকদের মূল্য কমাতে হতে পারে।