কান্না নয়, তবু চোখ থেকে অনবরত পানি ঝরে কেন
Published: 27th, September 2025 GMT
চোখকে ধুলাবালি ও ময়লা থেকে রক্ষা করে চোখের পানি। হঠাৎ চোখে কিছু পড়লে চোখ থেকে সেই ময়লা ধুয়ে দেওয়ার জন্য প্রচুর পানি নিঃসরিত হয়। চোখ শুষ্ক হয়ে গেলেও চোখ থেকে অতিরিক্ত পানি ঝরতে পারে। চোখ জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হলে বা প্রদাহ হলে চোখ থেকে অনবরত পানি ঝরে, যাতে সংক্রামক অণুজীব, সেগুলোর টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ ধুয়ে যায়।
স্বাভাবিক অবস্থায় আমাদের চোখের মণির সামনে পাতলা স্বচ্ছ পানির একটি স্তর থাকে। এই পানির স্তর আমাদের চোখের মণি ভিজিয়ে রাখে ও স্বচ্ছ রাখতে সাহায্য করে। এই পানি প্রতি মিনিটে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে তৈরি হয়ে নিঃসৃত হয়; আবার নির্দিষ্ট পথে প্রবাহিত হয়ে চোখ থেকে নিষ্কাশিত হয়।
নেত্রনালির মাধ্যমে চোখের পানি নিষ্কাশিত হয়ে নাকের মধ্য দিয়ে গলার ভেতরে চলে যায়। কিন্তু যদি কোনো কারণে এই নেত্রনালি সরু হয়ে যায় বা চোখের পানির প্রবাহপথ বন্ধ হয়ে যায়, তবে চোখ থেকে পানি ঠিকভাবে নিষ্কাশিত হতে পারে না।
তখন অনবরত চোখ থেকে পানি ঝরতে থাকে। এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে ঘন ঘন জীবাণুর সংক্রমণ। এ অবস্থায় নেত্রনালি পরীক্ষা করে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চোখের পানিনিষ্কাশনের বিকল্প পথ তৈরি করে দেওয়া হয়।
চোখকে ধুলাবালি ও ময়লা থেকে রক্ষা করে চোখের পানি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পের সঙ্গে বিরোধের পর কংগ্রেস ছাড়ছেন ঘনিষ্ঠ মিত্র গ্রিন
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের কংগ্রেস সদস্য মারজোরি টেলর গ্রিন পদত্যাগ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। প্রকাশ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়ার কয়েক দিনের মাথায় উচ্চপদস্থ এ রিপাবলিকান নেত্রী অপ্রত্যাশিতভাবে এমন ঘোষণা দিলেন।
মার্কিন রাজনীতিতে ট্রাম্পের মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন (এমএজিএ) প্রচারণার অন্যতম মুখ ছিলেন গ্রিন। গতকাল শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় তিনি পদত্যাগের এ ঘোষণা দেন। বার্তায় গ্রিন বলেছেন, তিনি আগামী বছরের ৫ জানুয়ারি কংগ্রেস থেকে সরে যাবেন।
রিপাবলিকান নেত্রী গ্রিন কংগ্রেসে ট্রাম্পের কট্টর সমর্থক ছিলেন। তবে তিনি কুখ্যাত যৌন নিপীড়ক জেফরি এপস্টেইনের মামলা–সংক্রান্ত নথিগুলো প্রকাশের জন্য অনবরত দাবি জানাতে থাকলে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর প্রকাশ্য বিরোধ তৈরি হয়। এরপর থেকে ট্রাম্প তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী গ্রিনকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ বলে আখ্যায়িত করে আসছেন।
ভিডিওতে গ্রিন বলেন, ‘আমি চুপচাপ সবকিছু সহ্য করে যাওয়া মানুষের দলে নেই; যাঁরা আশা করেন সবকিছু নিজে নিজে ঠিক হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন‘দারুণ লোক’ থেকে ‘প্রতারক’—ট্রাম্প-এপস্টেইন সম্পর্কের উত্থান-পতন কীভাবে২৩ জুলাই ২০২৫ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন তিনি গ্রিনকে কংগ্রেস থেকে সরাতে তাঁর বিরুদ্ধে একজন রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বীকে সমর্থন দেবেন। গ্রিন পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর ট্রাম্প এবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি এটিকে ‘দেশের জন্য চমৎকার খবর’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে এপস্টেইন–সংক্রান্ত নথি প্রকাশের জন্য সরব হওয়া ব্যক্তিদের একজন গ্রিন। এটি এমন একটি ইস্যু, যা একসময় ট্রাম্প ও তাঁর সমর্থকদের এক করেছিল। অথচ এখন ইস্যুটি বিভাজনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রিপাবলিকান নেত্রী গ্রিন কংগ্রেসে ট্রাম্পের কট্টর সমর্থক ছিলেন। তবে তিনি কুখ্যাত যৌন নিপীড়ক জেফরি এপস্টেইনের মামলা–সংক্রান্ত নথিগুলো প্রকাশ করার জন্য অনবরত দাবি জানাতে থাকলে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর প্রকাশ্য বিরোধ তৈরি হয়। এরপর থেকে ট্রাম্প তাঁর এ ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ বলে আখ্যায়িত করে আসছেন।ট্রাম্প কয়েক মাস ধরে দাবি করে আসছেন যে এপস্টেইন–সংক্রান্ত ইস্যুটি তাঁর রাজনৈতিক বিরোধীদের তৈরি করা একটি বিভ্রান্তি। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, তাঁর প্রশাসনের অর্জনগুলোর দিক থেকে মানুষের দৃষ্টি সরিয়ে নিতে এমনটা করা হচ্ছে।
গ্রিন তাঁর পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, ‘১৪ বছর বয়সে ধর্ষণের শিকার, পাচার হওয়া ও ধনী ক্ষমতাশালী মানুষের হাতে নিগৃহীত মার্কিন নারীদের পক্ষে সোচ্চার হওয়ার কারণে আমাকে রাষ্ট্রদ্রোহী আখ্যা দেওয়াটা উচিত নয়। যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষে আমি লড়ে গেলাম, তাঁরই হুমকির মুখে পড়াটা ঠিক নয়।’
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মারজোরি টেলর গ্রিন