ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন,“উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের লক্ষ্যে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ডিএমপি।”

রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

টেকনাফে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

সাভারে তোশকে মোড়ানো যুবকের লাশ উদ্ধার

তিনি বলেন, “এ বছর ঢাকা মহানগরীতে ২৫৪টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। ভক্তদের উপস্থিতি, অবস্থান ও গুরুত্ব বিবেচনায় মণ্ডপগুলোকে চারটি শ্রেণিতে বিভক্ত করে দিনরাত ২৪ ঘন্টা পুলিশের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হবে।”

তিনি বলেন, “সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মণ্ডপ ও আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপগুলোর প্রবেশপথে আর্চওয়ে স্থাপন করা হয়েছে।”

ডিএমপি কমিশনার বলেন, “যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সোয়াট, এক্সপ্লোসিভ রিকভারি অ্যান্ড বম্ব ডিসপোজাল টিম, ডগ স্কোয়াড ও ক্রাইম সিন ইউনিট সার্বক্ষণিক স্ট্যান্ডবাই থাকবে। বিজয়া দশমীতে বিসর্জন শোভাযাত্রার জন্য পৃথক নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। রাজধানীতে বিসর্জন শোভাযাত্রা ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে আরম্ভ হয়ে ওয়াইজঘাটে গিয়ে শেষ হবে। এই শোভাযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েন থাকবে।”

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “এবারের পূজায় কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। কোনো দুষ্কৃতকারী বিরাজমান পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করলে তাকে সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করা হবে। দুর্গাপূজাকে ঘিরে কোনরকম ভুলতথ্য বা অপতথ্য ছড়ানো রোধে সাইবার মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে।”

তিনি আশা করেন, “পূর্ববর্তী যেকোনো সময়ের তুলনায় এ বছর অধিকতর সুন্দর ও উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।”

পরে ডিএমপি কমিশনার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন করেন।

ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড এমপ

এছাড়াও পড়ুন:

দিনাজপুরে মেতেছে বিজয়া দশমীর সিঁদুর খেলা

দিনাজপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিজয়া দশমীতে অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী সিঁদুর খেলা। 

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুর থেকে শহরের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ও প্রতিমা বিসর্জন কেন্দ্রে হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী, শিশু ও প্রবীণ সবাই অংশ নেন এই আনন্দঘন উৎসবে।

আরো পড়ুন:

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিমা বিসর্জন

বুড়িগঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জন, সদরঘাটে ভক্তদের ঢল

শঙ্খধ্বনি, ঢাক-ঢোলের তালে প্রতিমার সামনে একে অপরের মুখে, কপালে ও গালে সিঁদুর লেপন করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ভক্তরা। লাল রঙে রঙিন হয়ে ওঠে চারপাশ, সৃষ্টি হয় এক অনিন্দ্যসুন্দর পরিবেশ। সিঁদুর খেলাকে কেন্দ্র করে শহরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে।

দিনাজপুর শহরের বড় মণ্ডপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে একই দৃশ্য দেখা গেছে। প্রতিমা বিসর্জনের আগে এভাবেই মা দুর্গাকে বিদায় জানান ভক্তরা।

পণ্ডিতদের মতে, বিজয়া দশমীর সিঁদুর খেলা মূলত মা দুর্গাকে বিদায়ের আগে তাকে শুভকামনা ও আশীর্বাদ জানানোর একটি প্রতীকী রীতি। বিশেষত বিবাহিত নারীরা একে অপরকে সিঁদুর পরিয়ে স্বামীর দীর্ঘায়ু ও পরিবারের মঙ্গল কামনা করেন।

দিনাজপুর শহরের রাজবাটি, কালীতলা, বড় মণ্ডপসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ছিল এই উৎসবের প্রাণবন্ত আয়োজন। ছোট-বড় সবাই লাল সিঁদুরে রঙিন হয়ে একে অপরকে আলিঙ্গন করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

শেষ বিকেলে ঢাক-ঢোলের বাদ্য, শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনির মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি শুরু হয়। দিনাজপুরে সিঁদুর খেলার এ উৎসব শুধু ধর্মীয় আবেগ নয়, বরং বাঙালি সংস্কৃতির প্রাণের এক রঙিন প্রকাশ।

স্থানীয় পূজারী সুবর্ণা রায় বলেন, “মা দুর্গাকে বিদায় জানাতে মন খারাপ লাগে। তবে সিঁদুর খেলা আনন্দের মধ্য দিয়ে সেই বিষাদকে কিছুটা কমিয়ে দেয়।”

অর্পিতা এক কলেজ ছাত্রী জানান, সারা বছর অপেক্ষা করি দুর্গাপূজার জন্য। আজকের দিনটা আবেগের, আবার আনন্দেরও। মা-কে বিদায় জানালেও সিঁদুর খেলায় মন ভরে যায়।

দিনাজপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা শান্তনু চক্রবর্তী বলেন, “সিঁদুর খেলা আমাদের সংস্কৃতির অংশ। এই খেলায় আমরা শুধু আনন্দই পাই না, বরং ঐক্যের বার্তাও ছড়িয়ে যায়।”

আরেক তরুণ ভক্ত রুবেল দেবনাথ বলেন, “সিঁদুর খেলা শুধু একটি আচার নয়, এটি আমাদের মাঝে ভ্রাতৃত্ব ও আনন্দ ভাগাভাগি করার এক বিশেষ উপলক্ষ।”

ঢাকা/মোসলেম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দিনাজপুরে মেতেছে বিজয়া দশমীর সিঁদুর খেলা
  • কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিমা বিসর্জন
  • ছুটোছুটির মধ্যে কাটছে মিমের পূজা
  • পূজার ছুটির পর গকসুর অভিষেক