নায়িকার সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন উসকে দিলেন সৃজিত
Published: 30th, September 2025 GMT
পূজা মণ্ডপে অভিনেত্রী সুস্মিতা চ্যাটার্জিকে জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে আছেন পরিচালক সৃজিত মুখার্জি। সুস্মিতার পরনে নীল রঙের শাড়ি, তার সঙ্গে মিলিয়ে সৃজিতও একই রঙের পাঞ্জাবি পরেছেন। দুজনে চোখে চোখ রেখে অজানায় হারিয়ে গেছেন।
সৃজিত মুখার্জি তার ফেসবুকে বেশ কটি ছবি শেয়ার করেছেন; তার একটিতে এমন দৃশ্য দেখা যায়। এসব ছবির ক্যাপশনে সৃজিত মুখার্জি লেখেন—“শুভ সপ্তমী।” এরপর থেকে সৃজিত-সুস্মিতার পরকীয়া প্রেমের গুঞ্জন নতুন করে চাউর হয়েছে। নেটিজেনরাও দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে চর্চায় মেতেছেন।
আরো পড়ুন:
১৪টি ভাষার পাঠ্যপুস্তকে গায়ক জুবিনের জীবনী
‘প্রাক্তনকে নিয়ে বলতে গিয়ে আমার চোখে জল নেই, বুকও ব্যথা করছে না’
গত জুলাই মাসে পুরো টিম নিয়ে পুরীতে সৃজিত তার নতুন সিনেমার শুটিংয়ে গিয়েছিলেন। নীলাচলের সৈকতে একসঙ্গে একটি সেলফি তুলেছিলেন সৃজিত-সুস্মিতা। পরে অভিনেত্রী সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার পর তাদের প্রেমের গুঞ্জন চাউর হয়। কেবল তাই নয়, শুটিংয়ের ফাঁকে তারা দুজনে একান্ত সময়ও কাটিয়েছেন বলে বাতাসে খবর ভাসতে থাকে।
তবে ‘ডিয়ার মা’ সিনেমার প্রিমিয়ার অনুষ্ঠানে ‘পরকীয়া প্রেম’ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন সৃজিত মুখার্জি। বিস্ময় প্রকাশ করে ‘জাতীস্মর’ নির্মাতা বলেছিলেন, “২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে একটা সেলফিকে কেন্দ্র করে যে এত কথা হচ্ছে, সেটা ভেবেই আমি অবাক! আমরা পিরিয়ড ড্রামা তৈরি করছি ঠিকই, কিন্তু দাঁড়িয়ে তো বর্তমান সময়েই। তাই রিলাক্স! একটা ছবি নিয়ে এত তোলপাড় করবেন না।”
এ বিষয়ে কথা বলতে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস যোগাযোগ করে সুস্মিতা চ্যাটার্জির সঙ্গে। তিনি বলেছিলেন, “আমি সত্যিই ভাবিনি একটা ছবি পোস্ট করলে তার ফল এইরকম হতে পারে। যদি কারো মধ্যে সম্পর্ক থাকে তাহলে লুকোচুরির প্রশ্ন আসে। আমি আর সৃজিতদা বারবার একটা কথা বলেছি, ‘আমরা ভালো বন্ধু। আর বন্ধুত্ব তো লুকানোর কোনো বিষয় নয়।”
এখন থেকে ভাবনাচিন্তা করে ছবি পোস্ট করতে হবে, না হলে বিয়েও দিয়ে দিতে পারেন বলে মনে করেন সুস্মিতা। তার ভাষায়, “আমি সিঙ্গেল বলেই হয়তো একটা সেলফি নিয়ে এত শোরগোল। যখন সম্পর্কে ছিলাম তখন ইন্ডাস্ট্রিতে আমার বন্ধু ছিল না। এখন গুটি কয়েক বন্ধু হয়েছে। তাদের সঙ্গে সেলফি দিলে যে এরকম পরিস্থিতি তৈরি হবে তা আগে আঁচ করতে পারিনি। এবার থেকে ছবি পোস্ট করার আগে মনে হচ্ছে অনেক ভাবনাচিন্তা করতে হবে। না হলে তো আমার বিয়েও দিয়ে দেবে!”
প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে সুস্মিতা চ্যাটার্জি বলেছিলেন, “শুভশ্রীদির সঙ্গেও তো সেলফি দিয়েছি। সেটা নিয়ে তো কেউ কোনো কথা বলছে না। একজন পুরুষের সঙ্গে সেলফি তুললেই সেখানে সম্পর্কের গন্ধ খুঁজে পাওয়া যায়?”
তবে পূজা মণ্ডপের ছবি নিয়ে নতুন করে জোর চর্চা চললেও এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন সুস্মিতা-সৃজিত।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের ৯৯% জনগণ শেখ হাসিনার বিচার ও সাজার পক্ষে : সাখাওয়াত
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, শেখ হাসিনার হাত রক্তে রঞ্জিত। সে গত ১৫ বছরে বিডিআরসহ বাংলাদেশের অসহ্য মানুষকে খুন গুম ও হত্যা করেছে।
সর্বশেষ গত পাঁচই আগস্ট জুলাই বিপ্লবে ১৪ হাজার বিএনপি নেতাকর্মীসহ ছাত্র জনতাকে হত্যা করেছে।
আর এই ছাত্র জনতার বিপ্লবের নারায়ণগঞ্জে ৫৫ জনকে হত্যা হয়েছে। এ সকল হত্যাকান্ড গুলো শেখ হাসিনার নির্দেশে হয়েছিল।
তিনি এই সকল হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন। শেখ হাসিনা তার ক্ষমতাকে পাকাপোক্তা করার জন্য বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন ও ছাত্র জনতার আন্দোলনকে স্তব্ধ করার জন্যই এই হত্যাকাণ্ডের আশ্রয় নিয়েছিল।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল এগারোটায় শহরের মিশন পাড়া হোসিয়ারি সমিতির সামনে মহানগর বিএনপির আয়োজিত আওয়ামী লীগের অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদ ও মানবাধিকার অপরাধে অভিযুক্ত শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবির বিক্ষোভ মিছিল পূর্বে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আজকে পালিয়ে গিয়ে পাশের দেশে বসে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং বিচার বিভাগ ও দেশের গণতন্ত্রকে নিয়ে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত শুরু করেছে।
সেই চক্রান্ত বিষয় শেখ হাসিনা সবকিছুই জানে অথচ তিনি ভারত বসে এই বিচারকে বাঁধাগ্রস্থ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি দিচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ তার সকল কর্মসূচি প্রত্যাখ্যান করেছে।
আপনারা দেখেছেন কোন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও কিন্তু তার কোন কর্মসূচি পালন করে নাই। এতে করে আমরা বলতে যে বাংলাদেশের ৯৯% জনগণ শেখ হাসিনার বিচার ও সাজার পক্ষে।
আমরা সবাই ধৈর্য ধারণ করে সরকারকে দেশের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার সহযোগিতা করতে হবে। আর আমাদের সবাইকে সকল ধরনের নাশকতা ও অপ্রপ্রচারের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি এড. আবুল কালাম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ রেজা রিপন, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, এড. এইচএম আনোয়ার প্রধান, বরকত উল্লাহ, ফারুক হোসেন, বন্দর থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা, মহানগর শ্রমিকদলের সদস্য সচিব ফারুক হোসেন,বিএনপি নেতা আক্তার হোসেন, শেখ সেলিম, নাজমুল হক, চঞ্চল মাহমুদ,সাইফুল ইসলাম বাবু, হিরা সরদার, ইকবাল হোসেন, সোহেল খান বাবু, মহানগর মহিলাদলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, গোগনগর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজী, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আঃ রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদ, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহসিন মিয়া, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মামুন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহেন শাহ্ মিঠু, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাজাদা আলম রতন, মহানগর ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ শিবলীসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।