ময়মনসিংহে মুরগি খুঁজতে প্রতিবেশীর বাড়িতে যাওয়া নারীকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ৩
Published: 3rd, October 2025 GMT
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে প্রতিবেশীর বাড়িতে মুরগি খুঁজতে গিয়ে মোছা. রৌশনারা বেগম (৫০) নামের এক নারী হত্যার শিকার হয়েছেন। দা দিয়ে কুপিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের খৈরাটি গ্রামে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত ওই নারী গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের স্ত্রী।
নিহত নারীর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রৌশনারার পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী মোস্তুফা মিয়ার পরিবারের পূর্ববিরোধ ছিল। এই অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যায় রৌশনারা বেগমের একটি মুরগি মোস্তুফাদের বাড়িতে যায়। এরপর মুরগি খুঁজতে সেখানে গেলে মোস্তুফা ও তাঁর মা সালেমা বেগমসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। কথা–কাটাকাটির এক পর্যায়ে মোস্তুফার ছোট ছেলে সাখাওয়াত হোসেন দা হাতে দৌড়ে এসে রৌশনারা বেগমের ঘাড়ে কোপ দেন বলে অভিযোগ। এ সময় চিৎকার দিয়েই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রৌশনারা বেগম। স্থানীয় ব্যক্তিরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত নারীর পুত্রবধূ হাফসা আক্তার বলেন, সন্ধ্যা হয়ে গেলে একটি মুরগি ঘরে না আসায় তাঁর শাশুড়ি এদিক–সেদিক খুঁজছিলেন। এ সময় প্রতিবেশী এক চাচি এসে জানান, মোস্তুফাদের ঘরের পেছনে কলাগাছের পাশে মুরগি বসে আছে। এরপর রৌশনারা মুরগি আনতে গেলে মোস্তুফার ছেলে সাখাওয়াত দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। তিনি এই হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
খবর পেয়ে পুলিশ উপজেলার হারুয়া ও শিমুলতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সাখাওয়াত হোসেন (২১), তাঁর বাবা মোস্তুফা মিয়া (৪৮) ও বড় ভাই সাজ্জাদ হোসেনকে (২৪) আটক করে। আটকের তথ্য নিশ্চিত করে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরির টাকায় চলছিল না সংসার, মাটি ছাড়া চারা উৎপাদন করে স্বাবলম্বী তাওহিদ
কাজ করতেন পোশাক কারখানায়। কিন্তু অভাব পিছু ছাড়ছিল না। শেষে সাহস করে রাজধানী ঢাকা ছেড়ে ফিরে যান গ্রামের বাড়িতে। প্রশিক্ষণ নেন মাটি ছাড়া চারা উৎপাদনের। এতে বদলে যায় তাওহিদ মিয়ার ভাগ্যের চাকা। শুধু তা–ই নয়, তাঁর উদ্যোগের ফলে ১৮-২০ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।
তাওহিদ মিয়া রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার মিলনপুর গ্রামের বাসিন্দা। এই কৃষি উদ্যোক্তার খোঁজে সম্প্রতি তাঁর বাড়িতে যান এই প্রতিবেদক। পরে তাঁর দেখা মেলে বাড়ির পাশের একটি নার্সারিতে। সেখানে তাঁর সঙ্গে কথা হয়।
তাওহিদ জানান, দুই ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি বড়। ২০০৭ সালে এসএসসি পাস করেন। বাবার কিছু আবাদি জমি থাকলেও তা দিয়ে তিন বেলার খাবার জুটত না। ২০১০ সালে বিয়ের পরে সংসারের অভাব আরও তীব্র হয়ে ওঠে। বাধ্য হয়ে চলে যান রাজধানী ঢাকায়। সেখানে কাজ নেন সোয়েটার কারখানায়। দুই বছর চাকরি করলেও সংসারের অভাব আর ঘোচে না। ২০১৩ সালে ডিসেম্বর মাসে চাকরি ছেড়ে চলে আসেন বাড়িতে। পরে ২০১৪ সালের মে মাসে একটি বেসরকারি সংস্থার অধীনে মাটি ছাড়া বিভিন্ন সবজির চারা উৎপাদনের ওপর আট দিনের প্রশিক্ষণ নেন। এরপর শুরু হয় নতুন পথচলা।
আরও পড়ুনচাকরি ছেড়ে গ্রামে গিয়ে আম–মাল্টার বাগান, বছরে আয় ২৫ লাখ২৫ জুন ২০২৫মাটি ছাড়া চারা উৎপাদনপদ্ধতির বিষয়ে তাওহিদ বলেন, নারকেলের ছোবড়া, গোবর, কচুরিপানাসহ প্রয়োজনীয় কিছু রাসায়নিক সার দিয়ে ১৫ দিন ঢেকে রাখতে হয়। ক্রমান্বয়ে তা পচে গেলে শুকিয়ে গুঁড়া (কোকোপিটের গুঁড়া) করে পরিমাণমতো সেগুলো ট্রে ও গ্লাসে ভরা হয়। এরপর এতে বপন করা হয় সবজির বীজ। এক সপ্তাহের মধ্যে সেখান থেকে অঙ্কুর বের হয় এবং ২০-২২ দিন পর এসব চারা ৫-৬ ইঞ্চি হলে বিক্রি উপযোগী হয়।
কৃষকদের নানা বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন তাওহিদ মিয়া