সিরাজগঞ্জে চলন্ত প্রাইভেটকার থামিয়ে ডাকাতির অভিযোগ
Published: 4th, October 2025 GMT
ঢাকা-যমুনা সেতু মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড় এলাকায় চলন্ত প্রাইভেটকার থামিয়ে প্রকাশ্যে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় গাড়িতে থাকা চালক ও দুই নারীসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।
ডাকাতির ঘটনাটি পেছন থেকে অন্য একটি গাড়ির যাত্রী এক মিনিটি ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে তা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে, সদর উপজেলার কড্ডার মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সড়কের নিরাপত্তা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছেন চালক ও যাত্রীরা।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ভিডিও ধারণকারী ঢাকার ধানমন্ডির বাসিন্দা ব্যবসায়ী ফজলে রাব্বি জানান, তারা বগুড়া থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন। যমুনা সেতুর প্রায় এক কিলোমিটার আগে কড্ডার মোড়ে ঢাকাগামী লেনে দেখেন ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল একটি প্রাইভেটকারের গ্লাস ভাঙচুর করে লুটপাট চালাচ্ছে।
ডাকাতদের পরনে লুঙ্গি থাকলেও গায়ে কোনো পোশাক ছিল না। প্রত্যেকের হাতে তিন-চার ফুট লম্বা রামদা বা সামুরাই ছিল। যাত্রীদের সর্বস্ব লুটে নিয়ে সড়কের পাশের ধানক্ষেতের অন্ধকারে পালিয়ে যায় তারা।
ভয়াবহ এ ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্ত প্রাইভেটকারটি যমুনা সেতুর টোল প্লাজায় পৌঁছলে আহতদের দেখা যায়। আহত পাঁচজনের মধ্যে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত এক বৃদ্ধও ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, অস্ত্রের আঘাতে বা ভাঙা কাচের টুকরো লেগে তারা আহত হয়েছেন।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
যমুনা সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, “ভিডিও আমরাও দেখেছি, ভিডি দেখে মহাসড়ক ঘুরছি, জায়গাটি কোথায় তা নিশ্চিত হতে পারছি না। তবে ঘটনাটি যমুনা সেতু পশ্চিম সংযোগ সড়কে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে জড়িতদের সনাক্তের চেষ্টাও চলছে।”
ঢাকা/অদিত্য/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যা, অভিযোগ ছাত্রদল নেতা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে একজন রিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর চাচাতো ভাই ও স্বজনদের বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে তাঁকে মারধরের ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. খোকন মিয়ার (৪০) বাড়ি উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের করমা গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, করমা গ্রামের কছিম উদ্দিন ও গিয়াস উদ্দিন নামের দুই ভাই ছিলেন। ৬-৭ বছর আগে গিয়াস উদ্দিনের মৃত্যুর পর জমি নিয়ে কছিম উদ্দিনের সঙ্গে গিয়াস উদ্দিনের ছেলেদের বিরোধ শুরু হয়। বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় থানায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলাও হয়। স্থানীয়ভাবে দুই পরিবারের বিরোধ মেটাতে কয়েক দফা উদ্যোগ নেওয়া হলে তা মানেননি কেউ।
স্থানীয় সূত্রের ভাষ্য, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে রিকশা রেখে ঘর থেকে বের হন খোকন মিয়া। এ সময় গিয়াস উদ্দিনের ছেলে স্থানীয় মগটুলা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি নজরুল ইসলাম ও তাঁর ভাই এবং পরিবারের সদস্যরা তাঁকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে দুই হাত ও দুই পা ভেঙে দেন। এ সময় তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ও মাথায় আঘাত করা হয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে রাত একটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে পুলিশ উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক খোকনকে মৃত ঘোষণা করেন।
রিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যায় অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা নজরুল ইসলাম