দেশে গত সেপ্টেম্বর মাসে ৪৪৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় মোট ৪১৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৬৮২ জন। এর মধ্যে ১৫১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ১৪৩ জনের। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ। নিহত মানুষের হার ৩৪ দশমিক ২৯ শতাংশ।

আজ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। সংগঠনটি ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

গত সেপ্টেম্বরে ঢাকা বিভাগের সড়কে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে। আর সবচেয়ে কম মাগুরা জেলায়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বরে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪১৭ জনের মধ্যে ৬৩ জন নারী ও ৪৭টি শিশু।

এ সময় সড়কে ১১২ জন পথচারী নিহত হয়েছেন। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫৬ জন। সেপ্টেম্বরে ১৭টি নৌ-দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত ও ৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ২৯টি রেল দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত ও ১৩ জন আহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহত মানুষের সংখ্যায় দেখা গেছে, সেপ্টেম্বরে বাসযাত্রী ৩৫ জন, ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টরের আরোহী ২৩ জন, প্রাইভেট কারের আরোহী ৮ জন, থ্রি-হুইলারের যাত্রী ৬৯ জন, নসিমন-ভটভটি-টমটম-মাহেন্দ্রের আরোহী ১৬ জন, বাইসাইকেল ও রিকশা আরোহী ১১ জন নিহত হয়েছেন।

আরও পড়ুনসাড়ে ৫ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩৭ হাজারের বেশি ১০ আগস্ট ২০২৫

গত সেপ্টেম্বরে ঢাকা বিভাগের সড়কে  ১২৮টি দুর্ঘটনায় নিহত মানুষের সংখ্যা ১২৪ জন। এটা  মোট প্রাণহানির ২৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এ ছাড়া রাজধানী ঢাকায় ৪২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত ও ৩৩ জন আহত হয়েছেন। এর বাইরে বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে কম ১৬টি দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন।

একক জেলা হিসেবে চট্টগ্রাম জেলায় সবচেয়ে বেশি ৫২টি দুর্ঘটনায় ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে সবচেয়ে কম মাগুরা জেলায়। এ জেলায় ৮টি দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন।

আরও পড়ুনসড়কে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে সমন্বিত উদ্যোগের তাগিদ২৪ মে ২০২৫

ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, ত্রুটিপূর্ণ সড়ক অবকাঠামো, যানবাহনের বেপরোয়া গতি, চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, তরুণ-যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোকে দুর্ঘটনার প্রধান কারণ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

এর আগে গত আগস্ট মাসে সারা দেশে ৪৫১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪২৮ জন নিহত ও ৭৯১ জন আহত হয়েছিল।

আরও পড়ুনআগস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪২৮ জন, সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স প ট ম বর ল দ র ঘটন আহত হয় ছ সবচ য়

এছাড়াও পড়ুন:

অতীতের সব ভুলে বাংলাদেশ-পাকিস্তান এখন ভাই ভাই: পাকিস্তানি রাজনীতিক ফজলুর রহমান

অতীতের সবকিছু ভুলে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান এখন দুটি ভাতৃপ্রতিম দেশ বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের রাজনৈতিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের (এফ) সভাপতি ও দেশটির সাবেক মন্ত্রী মাওলানা ফজলুর রহমান। তিনি বলেছেন, পাকিস্তান সব সময় বাংলাদেশের কল্যাণ, উন্নতি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা কামনা করে। বাংলাদেশকে তাঁরা ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ হিসেবে মনে করে। বাংলাদেশ-পাকিস্তান ভাই ভাই, অতীতের সবকিছু তারা ভুলে গেছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মাওলানা ফজলুর রহমান।

পাকিস্তানের এই রাজনীতিক বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম, কিন্তু বিশ্বজুড়ে আমেরিকা অশান্তি ছড়াচ্ছে। মুসলমানরা শান্তিতে বিশ্বাসী হলেও আজ ফিলিস্তিনে মুসলমানদের রক্ত ঝরছে, চেচনিয়াতেও এর আগেও রক্ত ঝরেছে। মুসলমানদের পারস্পরিক অনৈক্যের কারণেই অন্যরা হামলার সুযোগ পাচ্ছে।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পাকিস্তান সব সময় দলমত–নির্বিশেষে মুসলিম ও অমুসলিম সবার অধিকারের জন্য কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান মাওলানা ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, অমুসলিমদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাকে ফরজ মনে করে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম।

সুধী সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পাকিস্তানের মহাসচিব মাওলানা আবদুল গফুর হায়দারী ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম নেপালের সহসভাপতি মাওলানা শফিকুর রহমান কাসেমী।

সুধী সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক কাসেমী। তিনি বলেন, অন্যকে অমুসলিম ঘোষণার দাবির জন্য সংসদে আইনের পরিবর্তে অনেকে রক্ত দেওয়ার কথা বলেন। মাইকের সামনে গায়ের জোরে আইনবিরোধী কথাবার্তা বলেন। দলের নেতা–কর্মীদের উদ্দেশ্য উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেন, ‘আমাদের সবার রুচির মধ্যে সংশোধনী আনতে হবে। গায়ের বল আর টক্কর বাজানো বিভিন্ন ধরনের কথায় অনেকেই মাইক ফাটিয়ে ফেলছে। উলামায়ে কেরামের এ ধরনের মেজাজ হওয়া উচিত নয়।’

সুধী সমাবেশ সঞ্চালনা করেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী। তিনি প্রধান অতিথির উর্দুতে দেওয়া বক্তব্যের সারাংশ তুলে ধরেন।

সুধী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমাদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাস‌উদ, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মুফতি ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ