কাঁচা মরিচ হঠাৎ এত ‘ঝাল’ ছড়াচ্ছে কেন
Published: 4th, October 2025 GMT
গত এক সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। বিভিন্ন জেলার বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রান্নার অতি প্রয়োজনীয় উপকরণটি কেজিপ্রতি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
হঠাৎ করে কাঁচা মরিচের দাম বাড়ার দুটি কারণ বলেছেন ব্যবসায়ীরা। এর একটি হলো—এ বছর বর্ষা দীর্ঘ হওয়ায় বেশির ভাগ মরিচখেতে পানি জমে গাছ পচে গেছে। ফলে সেভাবে মরিচের উৎপাদন হয়নি। এ কারণে দাম বাড়তি। আরেকটি কারণ হলো, দুর্গাপূজার কারণে ভারত থেকে মরিচের আমদানি বন্ধ আছে। এ কারণে দাম বেড়েছে। মরিচের বাড়তি দামের কারণে ক্রেতারাও এখন রয়েসয়ে কিনছেন।
ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ শহরের সবচেয়ে বড় পাইকারি সবজি বাজার মেছুয়া বাজার। সেখানে আজ খুচরা হিসাবে কেজিপ্রতি ৩২০ টাকায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে। বাজারের আড়তদার মো.
মেছুয়া বাজারের আরাফাত হোসেন শিপু ট্রেডার্সে কাজ করেন জাফর ইকবাল। কাঁচা মরিচের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দুর্গাপূজার কারণে ভারতীয় কাঁচা মরিচ আমদানি বন্ধ ছিল। সে কারণে দাম কিছুটা বেড়েছে। বর্তমানে উত্তরবঙ্গের মরিচ দিয়ে বাজার চলছে। শীতকালে ময়মনসিংহে মরিচের অভাব থাকে না। তখন ৩০-৪০ টাকা কেজি হয়ে যায়। বর্তমানে ময়মনসিংহের মরিচ বাজারে নেই। স্থানীয় মরিচ থাকলে বাজারে এমন দাম বাড়ত না।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জুবায়রা বেগম বলেন, বর্তমান সময়ে যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে, পাঁচ বছর আগে এমন সময়ে এ পরিমাণ বৃষ্টি হতো না। বৃষ্টিতে ক্ষতির কারণে কৃষকদেরও নিরুৎসাহিত করা হয়। বৃষ্টি শেষে নতুন করে মরিচ চাষ শুরু হবে।
রাজশাহীতে বাজারে সবজির সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও দাম চড়া। আজ শনিবার সকালে রাজশাহী নগরের মাস্টারপাড়া মণিচত্বর বাজারেউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহে মুরগি খুঁজতে প্রতিবেশীর বাড়িতে যাওয়া নারীকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ৩
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে প্রতিবেশীর বাড়িতে মুরগি খুঁজতে গিয়ে মোছা. রৌশনারা বেগম (৫০) নামের এক নারী হত্যার শিকার হয়েছেন। দা দিয়ে কুপিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের খৈরাটি গ্রামে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত ওই নারী গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের স্ত্রী।
নিহত নারীর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রৌশনারার পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী মোস্তুফা মিয়ার পরিবারের পূর্ববিরোধ ছিল। এই অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যায় রৌশনারা বেগমের একটি মুরগি মোস্তুফাদের বাড়িতে যায়। এরপর মুরগি খুঁজতে সেখানে গেলে মোস্তুফা ও তাঁর মা সালেমা বেগমসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। কথা–কাটাকাটির এক পর্যায়ে মোস্তুফার ছোট ছেলে সাখাওয়াত হোসেন দা হাতে দৌড়ে এসে রৌশনারা বেগমের ঘাড়ে কোপ দেন বলে অভিযোগ। এ সময় চিৎকার দিয়েই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রৌশনারা বেগম। স্থানীয় ব্যক্তিরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত নারীর পুত্রবধূ হাফসা আক্তার বলেন, সন্ধ্যা হয়ে গেলে একটি মুরগি ঘরে না আসায় তাঁর শাশুড়ি এদিক–সেদিক খুঁজছিলেন। এ সময় প্রতিবেশী এক চাচি এসে জানান, মোস্তুফাদের ঘরের পেছনে কলাগাছের পাশে মুরগি বসে আছে। এরপর রৌশনারা মুরগি আনতে গেলে মোস্তুফার ছেলে সাখাওয়াত দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। তিনি এই হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
খবর পেয়ে পুলিশ উপজেলার হারুয়া ও শিমুলতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সাখাওয়াত হোসেন (২১), তাঁর বাবা মোস্তুফা মিয়া (৪৮) ও বড় ভাই সাজ্জাদ হোসেনকে (২৪) আটক করে। আটকের তথ্য নিশ্চিত করে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা বঁটি ও লাঠি আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।