পঞ্চগড়ে জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি নেতাসহ ৪১ জন
Published: 4th, October 2025 GMT
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাইবুল ইসলামসহ ৪১ জন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেছেন।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত দলীয় কার্যালয়ে যোগদান অনুষ্ঠানে সদস্য ফরম পূরণের মাধ্যমে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেন।
আরো পড়ুন:
সংবিধান বদলের অধিকার কারো নেই: সালাহউদ্দিন
বিএনপি ক্ষমতায় আসলে ফারমার্স কার্ড করে দেওয়া হবে: টুকু
এ সময় জামায়াতের পক্ষ থেকে নতুন যোগদানকারীদের হাতে রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে বরণ করার পাশাপাশি তাদের হাতে সাংগঠনিক বই তুলে দেওয়া হয়। যোগদানকারীদের মধ্যে একজন পদধারী বিএনপি নেতা, ২০ জন বিএনপির কর্মী-সমর্থক এবং বাকীরা ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষজন বলে জানা গেছে।
শনিবার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ইকবাল হোসাইন।
নাইবুল ইসলাম তিরনইহাট ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির চলতি কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দ্বায়িত্বে ছিলেন। এছাড়া তিনি রনচন্ডি ঈদগাঁহ কমিটির সভাপতি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে, বিএনপি নেতাসহ ৪১ জনের জামায়াতে ইসলামীতে যোগদানের একাধিক ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
যদিও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও তিরনইহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি বিএনপি নেতা নাইবুল ইসলামের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।
যোগদান অনুষ্ঠানে তিরনইহাট ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমির মো.
পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ইকবাল হোসাইন বলেন, “বিএনপি নেতা নাইবুল ইসলামসহ ৪১ জন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে ভালোবেসে ইসলামের খেদমত করার জন্য সম্পূর্ণ নিজেদের ইচ্ছায় যোগদান করেছেন। যাদের মধ্যে বিএনপির কর্মী, সমর্থক, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ রয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা সবাইকে দ্বীনের খেদমতে কবুল করুন।”
তেঁতুলিয়া উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, “আসলে নাইবুল ইসলাম ওয়ার্ড বিএনপি নেতা। বাকীরা বিএনপির কেউ না। আমরা তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তবে নাইবুল ইসলাম বলেন, “আমি নব্বই দশক থেকে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে যুক্ত ছিলাম। তবে নিজেকে দ্বীনের পথে পরিচালিত করতেই জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেছি সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছায়। আমার সঙ্গে অনেকে যোগ দিয়েছে। কেউ আমাদের কোনো চাপ প্রয়োগ করেনি। আমি আমার পদত্যাগপত্র ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমান আলীর বরাবরে সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল উদ্দীনের হাতে শুক্রবার জমা দিয়েছি। পরে জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেছি।”
ঢাকা/নাঈম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র স ন ব এনপ ইসল ম ত ইসল ম র কর ছ ন গঠন ক ব যবস সদস য উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
অতীতের সব ভুলে বাংলাদেশ-পাকিস্তান এখন ভাই ভাই: পাকিস্তানি রাজনীতিক ফজলুর রহমান
অতীতের সবকিছু ভুলে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান এখন দুটি ভাতৃপ্রতিম দেশ বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের রাজনৈতিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের (এফ) সভাপতি ও দেশটির সাবেক মন্ত্রী মাওলানা ফজলুর রহমান। তিনি বলেছেন, পাকিস্তান সব সময় বাংলাদেশের কল্যাণ, উন্নতি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা কামনা করে। বাংলাদেশকে তাঁরা ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ হিসেবে মনে করে। বাংলাদেশ-পাকিস্তান ভাই ভাই, অতীতের সবকিছু তারা ভুলে গেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মাওলানা ফজলুর রহমান।
পাকিস্তানের এই রাজনীতিক বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম, কিন্তু বিশ্বজুড়ে আমেরিকা অশান্তি ছড়াচ্ছে। মুসলমানরা শান্তিতে বিশ্বাসী হলেও আজ ফিলিস্তিনে মুসলমানদের রক্ত ঝরছে, চেচনিয়াতেও এর আগেও রক্ত ঝরেছে। মুসলমানদের পারস্পরিক অনৈক্যের কারণেই অন্যরা হামলার সুযোগ পাচ্ছে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পাকিস্তান সব সময় দলমত–নির্বিশেষে মুসলিম ও অমুসলিম সবার অধিকারের জন্য কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান মাওলানা ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, অমুসলিমদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাকে ফরজ মনে করে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম।
সুধী সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পাকিস্তানের মহাসচিব মাওলানা আবদুল গফুর হায়দারী ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম নেপালের সহসভাপতি মাওলানা শফিকুর রহমান কাসেমী।
সুধী সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক কাসেমী। তিনি বলেন, অন্যকে অমুসলিম ঘোষণার দাবির জন্য সংসদে আইনের পরিবর্তে অনেকে রক্ত দেওয়ার কথা বলেন। মাইকের সামনে গায়ের জোরে আইনবিরোধী কথাবার্তা বলেন। দলের নেতা–কর্মীদের উদ্দেশ্য উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেন, ‘আমাদের সবার রুচির মধ্যে সংশোধনী আনতে হবে। গায়ের বল আর টক্কর বাজানো বিভিন্ন ধরনের কথায় অনেকেই মাইক ফাটিয়ে ফেলছে। উলামায়ে কেরামের এ ধরনের মেজাজ হওয়া উচিত নয়।’
সুধী সমাবেশ সঞ্চালনা করেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী। তিনি প্রধান অতিথির উর্দুতে দেওয়া বক্তব্যের সারাংশ তুলে ধরেন।
সুধী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমাদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মুফতি ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।