ফরিদপুরে গ্রেপ্তার বিএনপির তিন নেতার জামিন, একজন কারাগারে
Published: 5th, October 2025 GMT
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মামলার প্রতিবাদে ওসির অপসারণের দাবিতে মানববন্ধনের প্রস্তুতিকালে গ্রেপ্তার বিএনপির চার নেতার মধ্যে তিনজন জামিন পেয়েছেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় এ জামিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া চারজনের মধ্যে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খোশবুর রহমান (৫০), পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আরব আলী (৩৫) ও আলফাডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম (৪০) জামিন পান। তবে উপজেলা যুবদলের কর্মী রমজান মোল্লার (৩৩) জামিন আবেদন নাকচ করে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এ বিষয়ে বিবাদীপক্ষের আইনজীবী সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘শনিবার মাগরিবের আগে ফরিদপুরের ৯ নম্বর আমলি আদালতের ভারপ্রাপ্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলমের খাস কামরায় জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আমরা জামিন চাইলে রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। তবে আমরা যুক্তি দেখিয়ে বলি, মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া চারজনের মধ্যে রমজান মোল্লা ছাড়া অন্য কারও বিরুদ্ধে মারধরের নির্দিষ্ট ভূমিকার কথা এজাহারে উল্লেখ করা হয়নি। তা ছাড়া মামলায় এক নম্বর আসামি খোশবুর রহমানকে করা হয়েছে হুকুমের আসামি, আর হুকুমের আসামি জামিন পেতে পারেন। শুনানি শেষে আদালত রমজান মোল্লা ছাড়া বাকি তিন আসামির জামিন মঞ্জুর করেছেন। আদালতের আদেশে রমজানকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুনফরিদপুরে ওসির অপসারণে মানববন্ধনের প্রস্তুতিকালে বিএনপির চার নেতা গ্রেপ্তার১৮ ঘণ্টা আগেপ্রসঙ্গত, নজরুল ইসলাম ছাড়া অন্য তিনজন ছিলেন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। গত শুক্রবার রাতে পার্শ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলার রূপপাত ইউনিয়নের কুমড়াইল গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক ছাত্রদল নেতা বনি আমিন আলফাডাঙ্গা থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় তাঁকে ও উপজেলা বিএনপির সাবেক নির্বাহী কমিটির সদস্য এ কে এম উজ্জ্বল হোসেনকে মারধর করে আহত করার অভিযোগ আনা হয়। এ ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়।
এ মামলার প্রতিবাদে গতকাল শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে উপজেলার কলেজ রোডের চুয়াল্লিশের মোড় এলাকায় উপজেলা বিএনপির একাংশ ওসির অপসারণের দাবিতে মানববন্ধনের উদ্যোগ নেয়। এ সময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত তিনজনসহ চারজন বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র উপজ ল রমজ ন
এছাড়াও পড়ুন:
টাঙ্গাইল-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রর্থী ওবায়দুল হকের মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফর রহমান খানের অনুসারী নেতা–কর্মীরা।
আজ মঙ্গলবার টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কে ঘাটাইল উপজেলার হামিদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে দেউলাবাড়ি বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত এলাকায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঘাটাইল উপজেলার হামিদপুর, কদমতলী, মোগলপাড়া, কালিদাসপাড়া, হরিপুর, গুণগ্রাম, ঘাটাইল, বানিয়াপাড়া, পোড়াবাড়ি, পাকুটিয়া ও দেউলাবাড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মানববন্ধন চলাকালে নেতা–কর্মীরা ‘বয়কট বয়কট, বহিরাগত বয়কট’, ‘বহিরাগতের ঠিকানা, ঘাটাইলে হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
এ সময় স্থানীয় নেতারা ট্রাকে ভ্রাম্যমাণ মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন স্থানে বক্তব্য দেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় বিএনপি তৃণমূলের মতামতকে বিবেচনায় না নিয়ে দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য ওবায়দুল হককে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে। অথচ তিনি বাসাইলের বাসিন্দা। ঘাটাইল উপজেলার তৃণমূল বিএনপি নেতা–কর্মীরা তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাঁরা ওই মনোনয়ন বাতিল করে লুৎফর রহমান খানকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান।
ঘাটাইল পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন বলেন, ‘ওবায়দুল হকের সঙ্গে ঘাটাইলের নেতা–কর্মীদের কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি ঘাটাইলের সন্তান নন, বহিরাগত। আমরা চাই, লুৎফর রহমান খান বা ঘাটাইলের স্থানীয় কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হোক।’
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তোফাজ্জল হক, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুববিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান ভূঞা, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল হক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাবেক আহ্বায়ক খুররম মাসুদ, সাবেক সদস্যসচিব মোস্তাক আহমেদ, পৌর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম ভূঞা, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হাসানুজ্জামান প্রমুখ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল হক বলেন, ‘ঘাটাইলের সকল স্তরের নেতা–কর্মী ও সাধারণ মানুষের সমর্থন আমার প্রতি রয়েছে। কিছু মানুষ সিন্ডিকেট করে বিশৃঙ্খলা করার জন্য এসব করছেন।’