নিজের প্রতি ‘অবহেলার অভ্যাস’ কাটিয়ে উঠুন
Published: 5th, October 2025 GMT
আপনি হয়তো মনে প্রাণে একজন সুপার মা, সুপার স্ত্রী, সুপার পেশাজীবী কিংবা সুপার নারী হতে চাচ্ছেন। সবকিছুতে পারফেক্ট হতে গিয়ে হয়তো নিজের দিকেই খেয়াল করার সময় পাচ্ছেন না। নিজেকে অবহেলা করা হয়তো আপনার অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে! ভেবে দেখেছেন কী—আপনি যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাহলে কী হবে? সব কিছু থেকে ধীরে ধীরে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া ছাড়া আপনার হাতে আর কোনো উপায়ই অবশিষ্ট থাকবে না। তাই ঘর গুছিয়ে নেওয়ার আগে নিজেকে একটু গুছিয়ে নিন। ব্যায়াম করার জন্য সময় ও সুযোগ বের করুন। মাঝে মধ্যে নিজের শখগুলোকে প্রাধান্য দিন। কখনও একটি আইসক্রিম শুধু নিজের জন্য কিনুন। নিজেকে ভালোবাসতে ভুল করবেন না যেন! আপনি যদি মানসিক এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন—দেখবেন আর কোথাও ‘পারফেকশনিজম’ টিকিয়ে রাখতে পারছেন না।
বিশেষজ্ঞরা বলেন.
আরো পড়ুন:
পাখি কেন ভি আকারে ওড়ে
ছোট মগে নাকি বড় মগে কফি পান করা ভালো?
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় ও উইসকনসিনের স্টেটস অব ওয়েলনেস কাউন্সেলিংয়ের একজন সাইকোথেরাপিস্ট শ্যানন গার্সিয়া বলেছেন, ‘‘পারফেকশনিজম হলো এক ধরনের উদ্বেগ। এটি এলো এমন একটি প্রক্রিয়া যা আপনার ক্যারিয়ারে এগিয়ে যাওয়ার বদলে পিছিয়ে দিতে পারে। দেখা যায়, আপনি হয় ভয়ে কাজগুলো এড়িয়ে চলতে শুরু করেছেন—এই ভেবে যে, হয়তো নিখুঁতভাবে কাজটি আর করাই হয়ে উঠবে না। কিংবা আপনি কোনো একটি কাজ নিখুঁত করার চেষ্টায় অতিরিক্ত সময় ব্যয় করে ফেলবেন।’’
নিউজার্সি-ভিত্তিক সাইকোথেরাপিস্ট অ্যাঞ্জেলা ক্ল্যাক বলেন, ‘‘পারফেকশনিস্ট মানসিকতায় আপনি যখন আপনার লক্ষ্যে পৌঁছান, তখন আপনার পরবর্তী চিন্তা থাকে শুধু, এর পরে কী আসবে? সেই বিষয়ে।’’
পারফেকশনিস্টরা তাদের প্রতিযোগীদের দিকে তাকিয়ে আরও পরিশীলিত, আরও নিখুঁত হতে চায়। যার ফলে, তারা কখনই তাদের জয়ের মুহূর্তগুলোও উপভোগ করতে পারেন না।’’
এর ফলে মানসিক অবসাদ তৈরি হয়। দেখা দিতে পারে মাথাব্যথা, অনিদ্রা, ডিপ্রেশনসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা। তাই সবার কাছে, সব কাজে পারফেকশনিস্ট হতে যাবেন না। এতে নিজের প্রতি অবহেলা বাড়তে পারে।
আর নিজের প্রতি অবহেলা করার মধ্যে ‘সত্যিকার অর্থ ভালো কিছু নেই।’ নিজের চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন আনুন, নিজের যত্ন নিন। সবার আগে, সবকিছুর আগে নিজের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতাকে অগ্রাধিকার দিন!
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আপন র অবহ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পের কাছে নেতানিয়াহু কি আসলেই বোঝা, কী বলছেন ইসরায়েলি বিশ্লেষক
ইসরায়েল এখন শুধু তার ‘প্রচলিত শত্রু ও সমালোচকদের’ জন্যই নয়, বরং ট্রাম্প ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো ‘মহান বন্ধুদের’ জন্যও বোঝায় পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলি রাজনৈতিক বিশ্লেষক ওরি গোল্ডবার্গ গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা এবং বিশ্ববাসীর দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ঠিক এভাবে কথাটি বললেন।
তেল আবিব থেকে আল-জাজিরাকে গোল্ডবার্গ বলেন, ‘কেউ এটা প্রকাশ্যে স্বীকার করবেন না। কিন্তু আমি মনে করি, হামাসের জবাবকে শান্তি স্থাপনের আগ্রহ হিসেবে দেখে ট্রাম্প যে আকস্মিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা এমনি এমনি নয়।’
গোল্ডবার্গ বলেন, ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত এটাই প্রমাণ করে, তিনি যখন নেতানিয়াহু বা ইসরায়েলের দিকে তাকাচ্ছেন, তখন তিনি একে একটি বোঝা হিসেবে দেখছেন। ট্রাম্পের বহুল পরিচিত ভাষায় বলতে গেলে, তিনি একজন ‘লুজার’ বা ‘ব্যর্থ ব্যক্তিকে’ দেখছেন।
ইসরায়েলি বিশ্লেষক আরও যোগ করেন, ইসরায়েল এমনটা একেবারেই আশা করেনি। কারণ, দেশটি তার ‘জাতিগত নিধনমূলক কর্মকাণ্ডের অন্তহীন চক্রে’ এতটাই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিল যে তারা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার বাইরে অন্য কিছু স্বীকার করতে পারছিল না।
গোল্ডবার্গ বলেন, ‘গাজায় যাওয়ার চেষ্টা চালানো প্রথম ফ্লোটিলা ও গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার মধ্যে পার্থক্য দেখুন। আর এই (দ্বিতীয়) ফ্লোটিলার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের পদক্ষেপের পর বিশ্বজুড়ে কী প্রতিক্রিয়া হয়েছে, তা খেয়াল করুন। কিছুই আগের মতো নেই। আমি মনে করি, গত দুই বছরের মধ্যে ইসরায়েল আজ শনিবার সকালে সবচেয়ে বেশি একাকী হয়ে পড়েছে।’
তবে গোল্ডবার্গ যুক্তি দিয়ে বলেন, ট্রাম্পের পরিকল্পনা মেনে চলার ক্ষেত্রে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নিজস্ব একটি সুবিধা রয়েছে।
এই বিশ্লেষক বলেন, ইসরায়েলে যদি মধ্যবর্তী জাতীয় নির্বাচন দেওয়া হয়, তবে নেতানিয়াহুর জন্য এটাই সবচেয়ে সুবিধাজনক পরিস্থিতি হবে। কারণ, তিনি এমন একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরার সুযোগ পাবেন, যিনি একটি অনিবার্য কঠিন যুদ্ধ লড়েছেন। একই সঙ্গে তিনি একটি অনিবার্য কঠিন চুক্তিও স্বাক্ষর করতে পেরেছেন।