এসএসসি পরীক্ষা ২০২৬: বাংলাসহ তিন বিষয়ের প্রশ্ন কাঠামোয় এল পরিবর্তন
Published: 5th, October 2025 GMT
২০২৬ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার বাংলা ২য় পত্র, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) এবং ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিষয়ের প্রশ্ন কাঠামো ও নম্বর বিভাজনে পরিবর্তন এনেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। আজ রোববার (৫ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডি সমন্বয় কমিটির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। কমিটর সভাপতি ও ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সাল থেকে অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার বাংলা ২য় পত্র, আইসিটি এবং ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিষয়ের প্রশ্ন কাঠামো এবং নম্বর বিভাজন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড থেকে সংশোধন করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঅধ্যক্ষ-প্রধান শিক্ষক নিয়োগও হবে এনটিআরসিএর মাধ্যমে১ ঘণ্টা আগেবাংলা দ্বিতীয় পত্র: বাংলা ২য় পত্র বিষয়ের বিদ্যমান প্রশ্ন কাঠামো এবং নম্বর বিভাজন সংক্রান্ত নির্দেশনাবলীর রচনামূলক অংশের অনুবাদের অংশটি বাদ দেওয়া হয়েছে। অনুবাদের জন্য বরাদ্দকৃত ১০ নম্বর সংবাদ প্রতিবেদনের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
আইসিটি: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের বিদ্যমান প্রশ্ন কাঠামো এবং নম্বর বিভাজন থেকে সংক্ষিপ্ত-উত্তর প্রশ্ন বাদ দেওয়া হয়েছে। সংক্ষিপ্ত-উত্তর প্রশ্নের ১০ নম্বর পূর্বের বহুনির্বাচনি অংশের ১৫ নম্বরের সাথে যুক্ত করে মোট ২৫ নম্বর বহুনির্বাচনি প্রশ্নের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনসহকারী শিক্ষকের বেতন কম্পিউটার অপারেটরের সমান, কলেজ অধ্যাপকের যুগ্ম সচিবেরও নিচে৬ ঘণ্টা আগেফিন্যান্স ও ব্যাংকিং: ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিষয়ের ফিন্যান্স অংশ হতে ৮টি এবং ব্যাংকিং অংশ হতে ৭টি প্রশ্নসহ মোট ১৫টি সংক্ষিপ্ত-উত্তর প্রশ্ন থাকবে। যেকোন একটি বিভাগ থেকে ন্যূনতম ৪ টিসহ মোট ১০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দশম শ্রেণির নির্বাচনি পরীক্ষায় বাংলা ২য় পত্র, আইসিটি এবং ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিষয়ে উল্লেখিত প্রশ্ন-কাঠামো এবং নম্বর বিভাজন অনুযায়ী প্রশ্ন করতে হবে। বিষয়টি অতীব জরুরি বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
আরও পড়ুনঅক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রি অনলাইন কোর্স, ঘরে বসেই শিখুন নতুন দক্ষতা১১ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনএমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ৫০০ বাড়ল, পরিপত্র জারি২ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘অভিনন্দন জসিম মাতুব্বর, এটি আপনার এনআইডি নম্বর’
জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) জন্য তিন বছর ধরে চেষ্টা করে আসছিলেন ফরিদপুরের জসিম মাতুব্বর (২৬)। কিন্তু জন্ম থেকে দুই হাত না থাকায় আঙুলের ছাপ দিতে পারছিলেন না তিনি। তাই তাঁকে দেওয়া যাচ্ছিল না এনআইডি। নানা চেষ্টা করেও এনআইডি না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন জসিম।
অবশেষে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কদমতলী গ্রামের এই তরুণের দীর্ঘ অপেক্ষা ও ভোগান্তির অবসান হলো। তিনি পেলেন নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র। আজ রোববার বেলা ৩টা ২০ মিনিটে তাঁর মুঠোফোনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে বার্তা এসেছে। এতে লেখা ‘অভিনন্দন জসিম মাতুব্বর, এটি আপনার এনআইডি নম্বর।’
দুই হাত না থাকায় পা দিয়ে লিখে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন জসিম। বর্তমানে তিনি ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছেন। চার ভাইয়ের মধ্যে জসিম বড়। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি হাটে সবজি ও ফল বিক্রি করে নিজের ও পরিবারের খরচ চালান।
জসিমের জীবনে বড় বাধা ছিল এনআইডি না থাকা। এনআইডি না থাকায় সরকারি ও বেসরকারি নানা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন তিনি।
বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দবির উদ্দিন এগিয়ে আসেন। ২৪ সেপ্টেম্বর ইউএনওর উদ্যোগে জসিমকে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর পায়ের আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ সংগ্রহ করা হয়। ইউএনওর সুপারিশসহ তথ্য পাঠানো হয় নির্বাচন কমিশনে। নির্বাচন কমিশন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে এনআইডি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।
ইউএনও দবির উদ্দিন বলেন, ‘জসিমের জীবনের গল্প জানার পর খুব অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। হাত না থাকা সত্ত্বেও তিনি নিজের যোগ্যতায় এসএসসি, এইচএসসি পাস করেছেন। তাঁর মতো একজন মেধাবী তরুণ শুধু এনআইডি না থাকার কারণে যেন পিছিয়ে না পড়েন, সেটিই নিশ্চিত করতে চেয়েছি। নির্বাচন কমিশনের দ্রুত পদক্ষেপে আজ তিনি এনআইডি পেয়েছেন। এটি আমাদের সবার জন্য আনন্দের।’ তিনি আরও জানান, আগামীকাল সোমবার সকালে প্রিন্ট করা এনআইডিটি তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হবে।
এনআইডি পাওয়ার পর আবেগাপ্লুত জসিম মাতুব্বর বলেন, ‘জন্ম থেকে দুই হাত না থাকার কারণে অনেক কষ্ট করেছি। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেও পরিচয়পত্র পাইনি। পড়াশোনা, ফরম পূরণ, পরীক্ষায় অংশ নেওয়া—সব জায়গায় বাধা আসত। আজ নিজের এনআইডি পাওয়ায় মনে হচ্ছে, জীবনের বড় একটা অর্জন হলো।’