নারায়ণগঞ্জে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। শহরে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জন্য নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী মডেল গ্রুপের চেয়ারম্যান মাসুদুজ্জামান মাসুদ ফগার মেশিন ও ৯ জন কর্মী দিয়েছেন।

রোববার (৫ অক্টোবর) সকালে নারায়ণগঞ্জ ৩শ শয্যা (খানপুর) হাসপাতল প্রাঙ্গণে সামনে অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি বক্ত্যবে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় নারায়ণগঞ্জ ৩শ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবুল বাশারসহ হাসপাতেল ডাক্তার, বিএনপি নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এরআগে মাসুদুজ্জামান বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য যে সমস্ত ক্যামিক্যাল প্রয়োজন হয় তার জন্য আমরা ব্যবস্থা করেছি।  এক মাসের জন্য আমরা এই মেশিনগুলি দিয়ে আমরা প্রতিদিন বন্দর এবং শহরে আমরা নয়জন লোককে নিয়েছি। 

হাসপাতালে কিছু রোগীরা আছেন তাদের জন্য কিছু ফলের ব্যবস্থা করেছি এবং হাসপাতালে জন্য ২৪ ঘন্টার একটি এম্বুলেন্স দেওয়া থাকবে সাথে নাম্বার দেওয়া থাকবে প্রয়োজনে যোগাযোগ করে নিবেন।

তিনি আরও বলেন, কাজটা আসলে আমাদের একার নয়। কাজটা আসলে আমাদের সবার এবং মূলত সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে জনগণ সরকারের অংশ আমরা সরকারের অংশ আমরাই সরকার আমরাই জনগণ। 

অতএব  সরকার জনগণের দেখভাল করবেন স্বাস্থ্যের খবর নেবেন  স্বাস্থ্য যাতে সুরক্ষা হয় সে ব্যাপারে কাজ করবেন। প্রতিদিন খবর শুনছি পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ আপনারা জেলা প্রশসাককের কাছে দাবি জানাবেন এ বিষয় আবেদন করবেন কিভাবে সাহায্য করবেন তিনি ভালো জানেন।

এসময় তিনি সিভিল সার্জন কে উদ্দেশ্য করে বলেন, সিভিল সার্জন কি করছেন উনাকে সকাল সন্ধ্যা ব্যস্ত থাকার কথা। এখানে সিভিল সার্জন থাকার কথা ছিল সারাদিন বন্দর নগর পুরো জেলায় চয়ে বেড়ানোর কথা।

গতকাল জানতে পারলাম এই সংক্রান্ত একটি প্রকল্প উদ্বোধন করে বলতাছে প্রকল্পের কাজ নাই তাইলে প্রকল্প উদ্বোধন কেন করলো এটা একটা হাস্যকর ব্যাপার। 

এই শহরে যারা বিত্তবান যারা আছেন তারা এগিয়ে আসবেন। কিন্তু আমাদের সতর্ক হতে হবে মশার লাভা আপনার ঘরে, বাব্যসা বাণিজ্যে প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে এই লাভা আছে সেখান থেকে ডেঙ্গু মশা তৈরি হয়। 

আমরা যদি নিজেরা একটু সচেতন থাকি। নিজেরা যদি উদ্যোগ নেই তাহলে লাভাকে ধ্বংশ করতে পারবো। আপনারা উদ্যোগ নিবেন আপনাদের সাথে আছি। আশা করি আপনারা দায়িত্ব নিবেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, আমরা কতটা দুর্ভাগা এত বড় একটা সরকারি হাসপাতাল এই জেলার ঢাকার সবচেয়ে পাশের শহর । ডেঙ্গু রোগির প্লাটিনাম কাউন্ট করার মেশিন আছে কিন্তু প্লাটিনাম আলাদা করারে ডেভেলপ করার মেশিন নাই। 

শহরের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। এছাড়া শহরে বড় বড় প্রতিষ্ঠান আচে বিকেএমইএ এবং চেম্বার অফ কমার্স, ইয়ার্ন মার্চেন্ট  মারচেইন্ট এসোসিয়েশন  তাদেরকেও আহবান জানাই আপনারা একটু এগিয়ে আসেন আপনারা এগিয়ে আসলে মানুষকে আমরা রক্ষা করতে পারবো।

আমাদের সুপার অন্য জেলার মানুষ উনিও উপলব্ধি করতে পারে কিন্তু আমাদের যারা বিগত দিনে শাসন করেছেন তারা উপলব্ধি করতে পারেন নাই আমাদের যে  একটা মেডিকেল কলেজ দরকার, একটা বিশ্ববিদ্যালয় দরকার সেগুলি তারা অনুধাবন করেননি এটা আসলে আমাদের জন্য একটা লজ্জার ব্যাপার

আমরা পরিষ্কার রাজনীতি করতে এসেছি। সেবা করার সুযোগ পাই আমরা অবশ্যই চেষ্টা করব যে আমাদের এই দাবিগুলি শিক্ষা স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে আমরা অবশ্যই এগুলি নিয়ে আমরা কাজ করবো।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র জন য আম দ র স র জন করব ন আপন র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের প্রস্তাব চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পথে: সালাহউদ্দিন

জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের আলোচনায় অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে প্রায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকে অগ্রসর হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

আজ রোববার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর চতুর্থ দিনের আলোচনা শেষে একথা জানিয়েছেন তিনি।

জুলাই সনদ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে একটা ফাইনাল স্টেজে (চূড়ান্ত ধাপে) আমরা আছি… মোটা দাগে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকে মনে হয় আমরা এগোতে পেরেছি।'

গণভোটের প্রস্তাব প্রসঙ্গে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা সকল রাজনৈতিক দল মিলে সমগ্র জনগোষ্ঠীকে প্রতিনিধিত্ব করি কি না—এটা একটা প্রশ্ন। তাই জনগণের কাছে যদি সম্মতি নেওয়া যায় যে আমরা রাজনৈতিক দলসমূহ জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর করেছি, অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছি—জনগণ তার পক্ষে আছে কি না, তখনই হবে জনগণের পক্ষ থেকে এই জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য একটা চূড়ান্ত অভিমত।’

গণভোটের জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন নেই বলে উল্লেখ করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘রেফারেন্ডামের (গণভোট) যে আর্টিকেল ১৪২ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার উড়িয়ে দিয়েছিল, সেটা হাইকোর্টের রায়ের মধ্য দিয়ে রিইনস্টেট (পুনপ্রতিষ্ঠা) হয়েছে… এখন সংবিধানের আর কোথাও রেফারেন্ডাম করা যাবে না এমন কোনো বিধান নাই। সুতরাং একটা অর্ডিনেন্স জারি করে নির্বাচন কমিশনকে এখতিয়ার দেওয়া যেতে পারে একই দিনে সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি আলাদা ব্যালটে রেফারেন্ডাম (গণভোট) করার জন্য।’

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘রেফারেন্ডামের (গণভোট) মাধ্যমে যে জনরায় আসবে সেটা সার্বভৌম ক্ষমতার একটা রায়। সুতরাং সমস্ত সংসদ সদস্যগণ সেটা মানতে বাধ্য হবে।’

এ সময় সাংবাদিকেরা প্রশ্ন রাখেন, যদি আগামী সংসদে জুলাই সনদের বিরোধী এমপিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়, তবে কি তারা গণরায় মানতে বাধ্য থাকবে? জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘জনরায় হচ্ছে চূড়ান্ত… যখন পক্ষে বলবে তখন সেই সংসদ এবং সংসদ সদস্যগণ সেটা মানতে বাধ্য।’

বৈঠকে জুলাই সনদের বিভিন্ন ধারার ওপর ‘নোট অব ডিসেন্ট’ থাকা নিয়ে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জুলাই সনদ প্রণীত হবে, স্বাক্ষরিত হবে, অঙ্গীকারনামায় সবাই সই করবে… ওয়েবসাইটে যাবে, সমস্ত পার্টির ইশতেহারে থাকবে… জনগণ জানবে জুলাই সনদে কী আছে। যারা ম্যান্ডেট পাবে, তারা তাদের নোট অব ডিসেন্ট অনুসারে যেতে পারবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই সনদ বাস্তবায়নে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করলে আরেকটি অভ্যুত্থান অনিবার্য: এবি পার্টি
  • জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া ফাইনাল স্টেজে আছে: সালাহউদ্দিন 
  • পিআর পদ্ধতিতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ থাকে না: এমরান সালেহ
  • জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের প্রস্তাব চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পথে: সালাহউদ্দিন
  • শহিদুল আলমের প্রশংসায় তারেক রহমান, ফি‌লি‌স্তি‌নের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি
  • ’৭২–এর সংবিধান টিকিয়ে রাখতে ভারতের ইশারায় মরিয়া বিএনপি: গাজী আতাউর রহমান
  • সিদ্ধিরগঞ্জে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার প্রচারপত্র বিতরণ
  • মেহেরপুরের উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে এনসিপির ১৩ দফা
  • ‘দেখেছ, আগেই তো ভালো ছিলাম’—এই খেলাই তো চলছে