বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারীরা বিভিন্ন দাবিতে ৬ ঘন্টা কর্ম বিরতি পালন করেছে। রোববার (৫ অক্টোবর) ৬ দফা দাবিতে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত তারা এ কর্ম বিরতি পালন করেন।

কর্ম বিরতী পালন কালে বক্তারা বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে বলেন, মানব শিশু জন্মের পর থেকে ১০টি মারাত্মত রোগ থেকে সুরক্ষার জন্য প্রতিষেধক হিসেবে তৃণমূল পর্যায় আমরা স্বাস্থ্য সহকারীরাই টিকা দিয়ে থাকি।

কিন্তু আমরা দীর্ঘ দিন ধরে টেকনিক্যাল পদমর্যাদার দাবি করে আসলেও সংশ্লিষ্ট বিভাগ আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না করায় আমরা সরকারের অন্যান্য সকল দপ্তরের কর্মচারীদের থেকে পদমর্যাদাসহ চরম ভাবে বেতন বৈষম্যের শিকার হচ্ছি।

তাই আমরা আমাদের ৬ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্ম বিরতি পালন করছি। দাবিগুলি হলো নির্বাহী আদেশে নিয়োগ বিধি সংশোধন শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক/সমমান করে ১৪তম গ্রেড প্রদান। ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষনের মাধ্যমে টেনিক্যাল পদমর্যাদাসহ বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরন। পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে পরবর্তি উচ্চতর গ্রেড নিশ্চিতকরণ।

পূর্বের নিয়োগবিধি অনুযায়ী নিয়োগ পেলেও কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারী সকল স্বাস্থ্য পরিদর্শক স্বাস্থ্য পরিদর্শদের অভিজ্ঞতার আলোকে স্নাতক পাস স্কেলে আত্মীকরণ করতে হবে।

বেতন স্কেলে উন্নীতকরণের পূর্বে স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক,স্বাস্থ্য পরিদর্শকগণ যত সংখ্যক টাইম স্কেল অথবা উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্ত বা প্রাপ্য হয়েছেন তা পরবর্তী পুন:নির্ধারিত বেতন স্কেলের সাথে যোগ করতে হবে।

পূর্বে ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা এসআইটি কোর্স সম্পূর্নকারী স্বাস্থ্য মহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য পরিদর্শকদেরকে ডিপ্লোমাধারী সম্পন্ন হিসাবে গণ্য করে সরাসরি ১১তম গ্রেড দিতে হবে।

কর্মবিরতী  পালনকালে  বক্তব্য রাখেন সভাপতি মুহাম্মদ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান, যুগ্ম সম্পাদক রাজিবুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক উম্মে রুম্মান রিক্তা প্রমুখ।  

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ স ব স থ য সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

আকাশের অনেক তারার মতো সাংবাদিক নিবর্তনেরও অনেক ধারা: অ্যাটর্নি জেনারেল

দেশের আইনগুলো যে সাংবাদিকবান্ধব নয়, তা ফুটে উঠল রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামানের এক কথায়।

আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘সাংবাদিক নিবর্তনের জন্য রাষ্ট্র অনেক রকম পথ খোলা রেখেছে। যেটা বলা হয় আকাশের যত তারা, আইনের তত ধারা। সাংবাদিকদেরকে নিবর্তনের জন্য, নিয়ন্ত্রণের জন্য আকাশের সব রকম তারার মতো আইনের ধারা প্রয়োগ করা হয়।’

অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন ২০২৫’ সম্মেলনের তৃতীয় দিনের এক পর্বে এ কথা বলেন। তিনি ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশ: ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা’ পর্বে বক্তব্য দেন।

ব্রিটিশ আমল থেকে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের বিভিন্ন নিবর্তনমূলক আইনের ধারা ও তার প্রয়োগের কথা উল্লেখ করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, যে-ই সরকারি ক্ষমতায় আসুক না কেন, তারা সাংবাদিক নিবর্তনের মানসিকতা মনে পোষণ করে।

আসাদুজ্জামান বলেন, আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা বাতিল করে সবার সঙ্গে আলোচনা করে যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আওয়ামী লীগ সরকার করেছিল, সেটা ছিল সবার সঙ্গে প্রতারণা।

বিগত সরকারের সময়ে এসব আইনের অপপ্রয়োগের বিভিন্ন উদাহরণ তুলে ধরে এই আইনজীবী বলেন, ‘এই সমস্ত নিবর্তন এবং নির্যাতনমূলক আইন, যে আইন কণ্ঠরোধ করে, যে আইন সাংবাদিকের কলম থামিয়ে দেয়, আমরা এই আইনের অবসান চাই। এটা যাতে ঘুরেফিরে না আসে, সেই বিষয়ে রাজনৈতিক যাঁরা নেতৃত্ব থাকবেন, আগামী দিনে তাঁদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে এই বিষয়গুলো রিথিংক করার।’

শুধু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে না বলে মনে করেন আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, এই ট্রেন্ডটাকে পরিবর্তন করতে হলে রাষ্ট্রের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে।

বিগত সময়ে দিনাজপুরের এক কিশোরীর মামলায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির আদালতের উদাহরণ টেনে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, শুধু আইন করে বা আইন সংশোধন করে এই অবস্থার পরিত্রাণ পাওয়া যাবে না।

বাংলাদেশে ভয়হীন সংস্কৃতির প্রত্যাশা রেখে আসাদুজ্জামান বলেন, বর্তমান সরকার আসার পর গুমের ঘটনা ঘটেনি এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও অনেক কমেছে। গত ১৭ মাসে পুলিশ নিজে বাদী হয়ে একটিও ‘গায়েবি’ মামলা করেনি।

আসাদুজ্জামান আশা প্রকাশ করেন, পরবর্তী নির্বাচিত সরকার সব ধরনের নিবর্তনমূলক আইনের পথ থেকে ফিরে আসবে। তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো নীতিতে ফিরে যাবে না।

সিজিএসের গবেষণা সহযোগী রোমান উদ্দিনের সঞ্চালনায় সংলাপের এই পর্বে আরও বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সারা হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক সাজ্জাদ সিদ্দিকী এবং ট্রায়াল ওয়াচের জ্যেষ্ঠ প্রোগ্রাম ম্যানেজার মানেকা খান্না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারতীয় প্রযোজকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ, তিশার ব্যাখ্যা
  • অস্ত্রোপচারের সময় সংগীতে কমে রোগীর চাপ, সুস্থ হয়ে ওঠেন দ্রুত: গবেষণায় তথ্য
  • বাসা থেকে ডেকে নিয়ে রাতভর গবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ
  • দায়িত্বে ফেরার দেড় ঘণ্টা পরই ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে তালা, বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ
  • আকাশের অনেক তারার মতো সাংবাদিক নিবর্তনেরও অনেক ধারা: অ্যাটর্নি জেনারেল
  • বিবলিওথেরাপি: বইয়ের মাধ্যমে মনের আরোগ্য
  • রূপগঞ্জে গার্মেন্টসে ‘ভূমিকম্পের  ফাটল’ আতঙ্ক, ছুটি ঘোষণা
  • ভূমিকম্প–পরবর্তী পরিস্থিতি নিরীক্ষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল পরিদর্শন শুরু
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: অনেকে হল ছাড়ছেন, দ্বিধাদ্বন্দ্বে
  • টিকটকে এআই কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণে নতুন সুবিধা