ময়মনসিংহে ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ২
Published: 6th, October 2025 GMT
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় এক ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার (৫ অক্টোবর) রাতে উপজেলার নলচাপড়া গ্রামে তার ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।
মারা যাওয়া জামাল উদ্দিন (৬০) বানিহালা ইউনিয়নের ৮ নম্বর নলচাপড়া গ্রামের ইউপি সদস্য ছিলেন।
আরো পড়ুন:
বৃদ্ধা মাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে ছেলে আটক
শিশু তায়েবা হত্যার বিচার দাবিতে আদালত চত্বরে মানববন্ধন
আটককৃতরা হলেন- উপজেলার বানিহাল ইউনিয়নের নলচাপড়া গ্রামের ইছমাহিলের ছেলে কছিম উদ্দিন (৫৫) ও একই গ্রামের মিরাশ উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪৫)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, বানিহালা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিনের মেয়ে স্থানীয় নলচাপড়া মাদরাসায় পড়ালেখা করে। প্রতিদিন ইউপি সদস্য রাতের খাবার মাদরাসায় গিয়ে দিয়ে আসতেন মেয়েকে। রবিবার রাতে মেয়েকে খাবার দিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে একদল সন্ত্রাসী তাকে পিটিয়ে আহত করে। ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে মাদরাসার জমি নিয়ে জামাল উদ্দিনের সঙ্গে বিরোধ ছিল প্রতিবেশীদের। তাদের ধারণা, এ বিরোধের জেরেই খুন হতে পারেন তিনি।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মো.
তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) টিপু সুলতান বলেন, “জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরেই খুন হতে পারেন ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে।”
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য আটক অভ য গ জ ম ল উদ দ ন সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
ম্যানহোল থেকে ভেসে আসছিল চিৎকার, ঢাকনা খুলে ‘নিখোঁজ’ নারীকে উদ্ধার
হাঁটতে যাচ্ছেন বলে গত বুধবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর জেল রোড এলাকার বাড়ি থেকে বের হন নিলুফার ইয়াসমিন (৩৮)। এরপর তিন দিন ধরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ওই নারীকে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ঘটনায় তাঁর বাবা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এর মধ্যে ম্যানহোলের ভেতর থেকে তাঁকে জীবিত উদ্ধার করে শনিবার মধ্যরাতে বাড়িতে দিয়ে যান কয়েক ব্যক্তি। এ ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও নারীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিলুফার ইয়াসমিন নগরের জেল রোড এলাকায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করেন। তিনি নগরের আনন্দ মোহন কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর শেষে ২০১৩ সালের দিকে জেলার ঈশ্বরগঞ্জ আইডিয়াল কলেজে প্রভাষক হিসেবে চাকরিও নেন। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ও নবজাতক সন্তানের মৃত্যুর পর মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন তিনি। এর পর থেকে মা–বাবার সঙ্গে বসবাস করছিলেন। তাঁর বাবা লিয়াকত আলী বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে হিসাবরক্ষক পদে চাকরি শেষে অবসর জীবন যাপন করছেন।
আজ সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় নীরবতা। এ সময় নিলুফার ইয়াসমিনকে ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়। তাঁর বাবা লিয়াকত আলী বলেন, বুধবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে তাঁর মেয়ে হাঁটতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হন। এরপর আর তাঁর খোঁজ না মেলায় বৃহস্পতিবার থানায় একটি জিডি করেন। আশপাশ ও সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও মেয়েকে পাওয়া যাচ্ছিল না। ওই অবস্থায় শনিবার রাত একটার দিকে কয়েকজন লোক তাঁর মেয়েকে বাসায় দিয়ে যান।
লিয়াকত আলী আরও বলেন, ‘লোকজন জানিয়েছেন, আমার মেয়ে ম্যানহোলের ভেতরে আটকা ছিল। কীভাবে আমার মেয়ে সেখানে পড়েছে তা বলতে পারছি না। আমার মেয়ের মানসিক সমস্যা থাকায় প্রায়ই এভাবে বাসা থেকে বের হয়ে যেত। কিন্তু তিন-চার মাস ধরে ওষুধে কিছুটা সুস্থ থাকায় বাসা থেকে বের হতো না। ওই দিনই বের হয়ে যায়। আমার মেয়ে ম্যানহোলে তিন দিন ধরে না তিন ঘণ্টা ধরে পড়ে ছিল, তা বলতে পারছি না।’
ময়মনসিংহ নগরের জেল রোড এলাকায় ম্যানহোলের ঢাকনাটি খোলে উদ্ধার করা হয় নিলুফার ইয়াসমিনকে