উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ (জিসিসি) চলতি বছরের শেষ প্রান্তিকে, অর্থাৎ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর—একক পর্যটন ভিসা চালু করতে যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলকভাবে এই ভিসা চালু করা হবে। এর নাম জিসিসি গ্র্যান্ড ট্যুরিস্ট ভিসা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) অর্থ ও পর্যটনমন্ত্রী এবং আমিরাত পর্যটন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ বিন তৌক আল মারি সম্প্রতি এ খবর জানিয়েছেন।

তৌক আল মারি বলেন, জিসিসির একক পর্যটন ভিসাটি ইউরোপের শেনজেন ভিসার আদলে করা হচ্ছে। এ ভিসা নিয়ে পর্যটকেরা জিসিসির ছয়টি দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন। আঞ্চলিক সমন্বয় আরও গভীর করার কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে এই ভিসা চালু করা হচ্ছে। এতে একক পর্যটন গন্তব্য হিসেবে উপসাগরীয় অঞ্চলের আকর্ষণ বৃদ্ধি করবে।’

আমিরাতের সংবাদ সংস্থা ওয়ামকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তৌক আল মারি বলেন, পরীক্ষামূলক পর্ব শেষে দ্বিতীয় ধাপে জিসিসি গ্র্যান্ড ট্যুরিস্ট ভিসা পর্যায়ক্রমে পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। তবে ঠিক কবে থেকে জিসিসি গ্র্যান্ড ট্যুরিস্ট ভিসা চালু হবে, তা তিনি স্পষ্ট করেননি।

গত ১৬ জুন তৌক আল মারি খালিজ টাইমসকে জানিয়েছিলেন, জিসিসি গ্র্যান্ড ট্যুরিস্ট ভিসার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিগগির তা চালু হতে যাচ্ছে।

জিসিসি গ্র্যান্ড ট্যুরিস্ট ভিসা চালু হলে বিদেশি পর্যটকেরা একক ভিসায় সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, বাহরাইন, কাতার, ওমান ও কুয়েতে ভ্রমণ করতে পারবেন। কত দিনের জন্য এই ভিসা দেওয়া হবে বা খরচ কত পড়বে, তা-ও এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

পর্যটন ও ভ্রমণশিল্পের নেতারা মনে করছেন, এই ভিসা আঞ্চলিক পর্যটনশিল্প ও অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আনবে। হাজার হাজার নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বৃদ্ধিতেও সহায়তা করবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ত ক আল ম র আম র ত এই ভ স

এছাড়াও পড়ুন:

মাউশির ডিজিকে সরানো হতে পারে, এ পদে আবেদন আহ্বান

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। এই পদে নিয়োগ দিতে আবেদন আহ্বান করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মাউশির মহাপরিচালকের পদটি বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের শীর্ষ পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এভাবে আবেদন আহ্বান করে এই পদে নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগকে নজিরবিহীন বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

আজ সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাউশির মহাপরিচালক পদে কাজ করতে আগ্রহী বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের ১৬তম এবং তদূর্ধ্ব ব্যাচের কর্মকর্তারা আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্তসহ অফলাইনে (সশরীর) আবেদন করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। আগ্রহী প্রার্থীকে সৎ, দায়িত্বপরায়ণ এবং প্রশাসনিক কাজে দক্ষ হতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বাক্ষর থাকা আবশ্যক।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একটি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান মহাপরিচালক অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারকেরা সন্তুষ্ট নন। এ জন্য তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। এ অবস্থায় এই পদে তদবির করে যেনতেন ও অভিযুক্ত কেউ যাতে নিয়োগ পেতে না পারেন, সে জন্য সাক্ষাৎকার এবং যাচাই–বাছাই করে নিয়োগ দিতেই এই আবেদন আহ্বান করা হয়েছে।

আগ্রহী প্রার্থীকে সৎ, দায়িত্বপরায়ণ এবং প্রশাসনিক কাজে দক্ষ হতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বাক্ষর থাকা আবশ্যক।

গত বছরের ডিসেম্বরে মাউশি মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন অধ্যাপক এ বি এম রেজাউল করীম। তিনি অবসরে যাওয়ার পর গত ৩০ জানুয়ারি এই পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন রসায়নের অধ্যাপক এহতেসাম উল হক। তার আগে তিনি পটুয়াখালী সরকারি কলেজে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু নিয়োগের পর তাঁকে প্রত্যাহার করার দাবিতে শিক্ষা ভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট নামের একটি সংগঠন। পরে দাবির মুখে নিয়োগ দেওয়ার মাত্র ২০ দিনের মাথায় সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। তখন তাঁকে ওএসডি করা হয়। তখন জামালপুরের সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানকে মাউশির নতুন মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) করা হয়। এখন তাঁকেও সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ