গণভোটের সাংবিধানিক ও আইনি চ্যালেঞ্জ কী
Published: 6th, October 2025 GMT
৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট অনুষ্ঠানের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একধরনের ঐকমত্য হয়ছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বিএনপি ও এনসিপি গণভোট চায় জাতীয় নির্বাচনের দিন এবং জামায়াত ইসলামী চায় নির্বাচনের আগে। দলগুলোর মতে, গণভোট নিয়ে এই ঐকমত্যের ফলে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের একটি আইনি ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু বর্তমান সাংবিধানিক ও আইনি কাঠামোর মধ্যে গণভোট অনুষ্ঠান কি আদৌ সম্ভব?
২.গণভোট (রেফারেন্ডাম) একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে কোনো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনগণ সরাসরি মতামত দেয়। সংসদ বা সরকারের পরিবর্তে জনগণ নিজেরাই সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ পায়। বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর এখন পর্যন্ত তিনবার গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল। অভ্যুত্থান–পাল্টা অভ্যুত্থানের পর ১৯৭৭ সালে জেনারেল জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। রাজনৈতিক বৈধতা অর্জন এবং তাঁর প্রতি জনগণের আস্থা প্রদর্শনের জন্য তিনি একটি গণভোটের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
১৯৭৭ সালের ৩০ মে অনুষ্ঠিত ওই গণভোটের প্রশ্ন ছিল, ‘আপনি কি রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ঘোষিত নীতি ও কর্মসূচিতে আস্থা রাখেন?’ ভোটারদের জন্য দুটি বিকল্প ছিল—‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী ভোটার উপস্থিতি ছিল প্রায় ৮৮ শতাংশ। ‘হ্যাঁ’ ভোট পড়ে ৯৮.৮৭ শতাংশ; ‘না’ ভোট পড়ে প্রায় ১.১৩ শতাংশ।
দ্বিতীয় গণভোট অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৫ সালের ২১ মার্চ। সেই সময় ক্ষমতায় ছিলেন সামরিক শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এ গণভোটের উদ্দেশ্য ছিল এরশাদের সামরিক শাসনের প্রতি জনগণের আস্থা প্রদর্শন। নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, ভোটার উপস্থিতি ছিল প্রায় ৭২ শতাংশ এবং ৯৪.৫ শতাংশ ভোটার এরশাদের পক্ষে ভোট দেন।
১৯৯১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে একটি ‘সাংবিধানিক’ গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। সেই গণভোটে ভোটারদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান (দ্বাদশ সংশোধনী) বিল, ১৯৯১-এ রাষ্ট্রপতির সম্মতি দেওয়া উচিত কি না?’
এই গণভোটের উদ্দেশ্য ছিল, সংসদীয় সরকারব্যবস্থার পুনঃ প্রবর্তন। এই ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের প্রধান হলেও, প্রধানমন্ত্রী হন নির্বাহী প্রধান। এ ছাড়া দ্বাদশ সংশোধনীতে উপরাষ্ট্রপতির পদটি বিলুপ্ত করা এবং সংসদ কর্তৃক রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়টিও ছিল। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এই গণভোটে প্রায় ৮৪ শতাংশ ভোটার অংশগ্রহণ করেন। তাঁদের মধ্যে ৮৮ দশমিক ৫ শতাংশ সংসদীয় ব্যবস্থার পক্ষে ভোট দেন। এই গণভোটের মাধ্যমেই বাংলাদেশে সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা ফিরে আসে।
তিনটি গণভোট পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রতিটি গণভোটই এমন কোনো ইস্যুতে অনুষ্ঠিত হয়েছে, যে প্রক্রিয়াটি আগেই শুরু হয়েছে। ১৯৭৭ সালের রাষ্ট্রপতির প্রতি জনগণের আস্থা নিয়ে যখন গণভোট অনুষ্ঠিত হয়, তখন জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হিসেবে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ১৯৮৫ সালের গণভোটের সময় জেনারেল এরশাদও রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ১৯৯১ সালে ‘সাংবিধানিক’ গণভোট অনুষ্ঠিত হয় সংসদ কর্তৃক সংবিধান সংশোধন বিল (দ্বাদশ সংশোধনী) পাস হওয়ার পর এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের আগে।
৩.শেখ হাসিনার শাসনামলে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে ব্যাপক পরিবর্তন করা হয়। সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদ সংশোধনের মাধ্যমে গণভোটের বিধান বাতিল করা হয়। পঞ্চদশ সংশোধনীর আগে সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদে সংবিধানের প্রস্তাবনা, অনুচ্ছেদ ৮, ৪৮, ৫৬ এবং স্বয়ং ১৪২ অনুচ্ছেদ সংশোধন করতে গণভোটের বিধান ছিল।
তাহলে প্রশ্ন দাঁড়ায়, বিদ্যমান সংবিধানে যেহেতু গণভোটের বিধান নেই, তাহলে কোন আইনি কর্তৃত্ব বলে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে? আর ভবিষ্যতে কার্যকর করা হবে, এমন একটি রাজনৈতিক ঐকমত্যকে আইনি বা সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে গণভোটের মাধ্যমে কি আইনি বাধ্যবাধকতা তৈরি করা যাবে? তাহলে প্রস্তাবিত গণভোট কি শুধুই রাজনৈতিক ঐকমত্যের বহিঃপ্রকাশ হবে?
এ ক্ষেত্রে দুটি বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে। পঞ্চদশ সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ করে গত বছর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেছিলেন সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। বিএনপি, জামায়াতসহ আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দল ‘ইন্টারভেনর’ হিসেবে সেই রিট পিটিশনের শুনানিতে অংশ নেয় এবং পুরো পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের আবেদন জানায়।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে সংবিধান ও আইনি কাঠামোর মধ্য দিয়েই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে। কিন্তু ঐকমত্য কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলো কর্তৃক সম্মত হওয়া গণভোটের কোনো আইনি বিধান আসলে এখন নেই। ‘গণভোট আইন, ১৯৯১’–এর মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত গণভোট আয়োজন করলে তা আইনসিদ্ধ হবে না। কারণ, এ আইনে শুধু সংসদে পাস হওয়া কোনো বিল নিয়ে গণভোট করার কথা বলা হয়েছে।২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে দ্বাদশ সংশোধনীতে বাদ দেওয়া ১৪২ অনুচ্ছেদ পুনরায় বহাল করার কথা বলা হয়। হাইকোর্টের এই রায় তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে মর্মে ধরে নেওয়া হলে ১৪২ অনুচ্ছেদে বর্ণিত গণভোট অনুষ্ঠান আইনসিদ্ধ হতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রশ্ন হলো, হাইকোর্টের রায়ের পর ১৪২ অনুচ্ছেদ কি সরাসরি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হবে নাকি আদালতের রায়ের আলোকে সংসদ কর্তৃক সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন পড়বে?
বাংলাদেশের সাংবিধানিক ইতিহাসে আদালতের রায়ের পর সেই রায়ের আলোকে সংসদ কর্তৃক প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার নজির রয়েছে। বর্তমানে যেহেতু সংসদ বহাল নেই, কাজেই সংবিধান সংশোধন করা সম্ভব নয়। সংবিধান সংশোধন করতে হলে পরবর্তী সংসদকেই সেটা করতে হবে।
এ ছাড়া আরেকটি বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে। পঞ্চদশ সংশোধনীর বিষয়ে হাইকোর্ট অল্প কিছুদিন আগে রায় দিয়েছেন। এ রায়কে এখনই চূড়ান্ত বলে ধরে নেওয়ার সুযোগ নেই। কারণ, এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল এবং পরবর্তী সময়ে রিভিউ পিটিশনের আইনসিদ্ধ সুযোগ রয়েছে।
৪.বর্তমান প্রেক্ষাপটে সংবিধান ও আইনি কাঠামোর মধ্য দিয়েই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে। কিন্তু ঐকমত্য কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলো কর্তৃক সম্মত হওয়া গণভোটের কোনো আইনি বিধান আসলে এখন নেই। ‘গণভোট আইন, ১৯৯১’–এর মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত গণভোট আয়োজন করলে তা আইনসিদ্ধ হবে না। কারণ, এ আইনে শুধু সংসদে পাস হওয়া কোনো বিল নিয়ে গণভোট করার কথা বলা হয়েছে।
এ রকম অবস্থায় অধ্যাদেশের মাধ্যমে ১৯৯১ সালের এই আইনটিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন এনে গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে গত ডিসেম্বরে দেওয়া হাইকোর্ট বিভাগের রায়ের আলোকে সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীকে সাংবিধানিক ভিত্তি ধরতে হবে। গণভোটের সিদ্ধান্ত হলে সেটি বাস্তবায়নের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২–এর সংশোধনও প্রয়োজন পড়বে। বিদ্যমান আইনের এসব সংশোধন ছাড়া গণভোট অনুষ্ঠান আইনসংগত হবে না।
মো. রুহুল কুদ্দুস সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক সম্পাদক, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি; সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, বিএনপি
মতামত লেখকের নিজস্ব
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ষ ট রপত র র রহম ন র আইনস দ ধ কর ত ক স র জন ত ক গণভ ট র ত গণভ ট ই গণভ ট যবস থ ন আইন সরক র এরশ দ দলগ ল ও আইন
এছাড়াও পড়ুন:
শঙ্কা ও ভীতি দূর না হলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারে সরকার, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে আরো বলিষ্ঠ ও স্বচ্ছ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেছেন, “নাগরিকদের মনে এখনো যে শঙ্কা ও ভীতি রয়েছে, তা দূর করা না গেলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়।”
আরো পড়ুন:
সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা না গেলে দক্ষ জনশক্তি তৈরি বাধাগ্রস্ত হবে: বিআরটিএ চেয়ারম্যান
অপশক্তি নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না: আইজিপি
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) খুলনায় এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ আয়োজিত আঞ্চলিক পরামর্শ সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। সকালে নগরীর হোটেল সিটি ইন-এ এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, “জনগণ আস্থা না পেলে নির্বাচন গণতান্ত্রিক রূপ পায় না। মুক্ত আলোচনা, স্বচ্ছতা ও সততার ভিত্তিতে জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার আজ সময়ের দাবি। দেশ নির্বাচনমুখী হয়ে উঠছে, নির্বাচন অবশ্যম্ভাবী। আমরা কেমন নির্বাচন পাব- সেই প্রশ্ন জনগণের মনে রয়ে গেছে।”
খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়ন সম্ভাবনা বহুদিন ধরে আলোচিত হলেও বাস্তবায়ন এখনো দৃশ্যমান নয়। পদ্মা সেতু চালুর পরে প্রত্যাশিত অর্থনৈতিক অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। জমির মূল্য বৃদ্ধি পেলেও কর্মসংস্থান বা শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি বাড়েনি; সভায় এ বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেন নাগরিকরা বলে জানান তিনি।
সিপিডির আহ্বায়ক বলেন, “নতুন প্রজন্মের শ্রমিককে আকৃষ্ট করতে অঞ্চলভিত্তিক শিল্পায়ন জরুরি। খুলনা অঞ্চলে কৃষিভিত্তিক শিল্প, চিংড়ি ও মাছ উৎপাদন এবং পর্যটন খাতে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। সুন্দরবন ও সাংস্কৃতিক সম্পদকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের পর্যটন শিল্প গড়ে ওঠা সম্ভব।” এ বিষয়গুলো সভায় আলোচিত হয়েছে বলেও তিনি জানান।
খুলনা অঞ্চলের পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তা নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “এলাকা থেকে যারা নির্বাচন করবেন, তাদের অবশ্যই আঞ্চলিক উন্নয়ন পরিকল্পনার প্রতিশ্রুতি ইশতেহারে দিতে হবে। নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যম পরবর্তীতে এর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে জবাবদিহিতা তৈরি করবে।”
“রপ্তানিমুখী অর্থনীতির জন্য দক্ষ বন্দর ব্যবস্থা অপরিহার্য। প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য বৈদেশিক বিনিয়োগ জরুরি হলেও তা অবশ্যই স্বচ্ছ পদ্ধতিতে হতে হবে”, যোগ করেন তিনি।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, “সঠিক সংস্কার যদি বেঠিক পদ্ধতিতে করা হয়, তাহলে তার সুফল পাওয়া যায় না। বন্দর সংস্কারে যে দ্রুততা ও অস্বচ্ছতা দেখা গেছে, তাতে ভালো উদ্যোগও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা থাকে।”
ড. দেবপ্রিয় জোর দিয়ে বলেন, “সংস্কার প্রয়োজন, বিনিয়োগও প্রয়োজন; কিন্তু তা হতে হবে যোগ্যতার ভিত্তিতে, উন্মুক্ত আলোচনা ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। তাহলেই সংস্কার টেকসই হবে।”
সভায় আগামী নির্বাচনের প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলের কাছে নাগরিক নেতৃবৃন্দ স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- নিরাপদ সড়ক, শিল্পের উন্নয়ন, পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জনসহ সুন্দরবনের পর্যটন শিল্পের বিকাশ, সুশাসন প্রতিষ্ঠা প্রভৃতি। সভায় সমাপনী বক্তৃতা করেন সিপিডির ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান।
রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর খুলনা মহানগর আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলাল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর খুলনা মহানগর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ মো. নাসির উদ্দিন, এনসিপির ডা. আব্দুল্লাহ চৌধুরী।
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ