‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে অধিদপ্তরের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে’
Published: 6th, October 2025 GMT
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফারুক আহম্মেদ বলেছেন, “ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সচেতনতা, প্রতিরোধ এবং প্রতিকার এ তিনটি বিষয় নিয়ে কাজ করে। অনেক জায়গায় অনিয়ম রয়েছে। অনলাইনে প্রতারণা চলছে।”
তিনি বলেন, “এসব ব্যাপারে ভোক্তাকে সচেতন হতে হবে। ভোক্তার অধিকার রক্ষায় অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এজন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।”
আরো পড়ুন:
পবিত্র কুরআন অবমাননাকারীর শাস্তির দাবিতে কুয়েটে বিক্ষোভ
খুবিতে পূজার ছুটি বাড়ানোর দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন
সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অবহিতকরণ ও বাস্তবায়ন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় অফিস এ সেমিনারের আয়োজন করে।
খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (শিক্ষা ও আইসিটি) দেব প্রসাদ পালের সভাপতিত্বে এতে আলোচক ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো.
খুলনা জেলা ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক মো. ওয়ালিদ বিন হাবিবের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন, খুলনা জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম।
অন্যদের মাঝে আরো বক্তব্য দেন, খুলনা জেলা ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আজম ডেভিড, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম, জিন্নাত আরা আহমেদ, সাংবাদিক তরিকুল ইসলাম, মুহাম্মদ নূরুজ্জামান, নুর ইসলাম রকি, ডা. এস কে সাহা, ড. মোহাম্মদ হানিফ মল্লিক, মেহেদী হাসান, সাংবাদিক মো. আশিকুর রহমান, কামাল মোস্তফা প্রমুখ।
সেমিনারে জানানো হয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে এ পর্যন্ত মোট ২ লাখ ৩৮ হাজার ৩৬২টি অভিযোগ জমা হয়েছে। এর মধ্যে ই-কমার্স সংক্রান্ত অভিযোগ ৬২ হাজার। অভিযোগগুলোর মধ্যে অন্তত ৯৬ শতাংশ নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হ ম মদ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ পর্বে বিজয়ী হলো যারা
নাসা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ হ্যাকাথন প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ পর্বে বিজয়ী হয়েছে ২৭টি দল। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আয়োজিত অনলাইন এ হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা গত শুক্রবার শুরু হয়। টানা ৩৬ ঘণ্টার এ প্রতিযোগিতায় ঢাকার পাশাপাশি বরিশাল, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, খুলনা, ময়মনসিংহ, রংপুর, রাজশাহী ও সিলেটের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। গতকাল সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজয়ী দলগুলোর নাম জানিয়েছে প্রতিযোগিতার আয়োজক বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)।
প্রতিযোগিতায় ঢাকা অঞ্চলে চ্যাম্পিয়ন, প্রথম ও দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়েছে যথাক্রমে ক্রোনজ, অ্যাস্ট্রো-৪ ও স্পেস কিটি দল। ঢাকার বাইরে বরিশাল অঞ্চলে চ্যাম্পিয়ন, প্রথম ও দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়েছে যথাক্রমে পোলারিস, সিরিয়াস ও টিম লেনিয়াকি দল। চট্টগ্রাম অঞ্চলে এক্সোভিশনারিস, কুয়েট মঙ্গলচারী ও মেটিওর গার্ডিয়েন্স, কুমিল্লা অঞ্চলে নো ম্যাডস, কুয়েন্টিসেন্স মাইনাস ইনফিনিটি ও ইকিলিপজড, খুলনা অঞ্চলে ওয়াসিস, অ্যাটলাস ও অব্লিভাইট, ময়মনসিংহ অঞ্চলে নিউ বাইস, সফট স্যাসি ও অ্যাস্ট্রা ফাইন্ড, রংপুর অঞ্চলে ফাঁকিবাজ, স্পেস স্কোয়াড ও এস্পেক্ট্রা, রাজশাহী অঞ্চলে মাইনাস ওয়ান, অরা ও টেরা ফার্ম এবং সিলেট অঞ্চলে কোড ক্রাকার্স, এআইবিএ স্পেস ওয়েভ ও টিম উল্কা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, টানা ১২ বারের মতো নাসা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ হ্যাকাথন প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ পর্ব আয়োজন করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশের (এআইইউবি) পৃষ্ঠপোষকতায় এবং বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের সহযোগিতায় আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় এ বছর প্রায় ৫০০ প্রকল্প জমা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে নাসা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতার বৈশ্বিক পর্বে ‘বেস্ট ইউজ অব ডেটা’ বিভাগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দল ‘অলীক’। ২০২১ সালে ‘বেস্ট মিশন কনসেপ্ট’ বিভাগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গড়া দল ‘মহাকাশ’। ২০২২ সালে ‘মোস্ট ইন্সপিরেশনাল’ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ‘ডায়মন্ডস’ দল। ২০২৩ সালে ‘বেস্ট স্টোরিটেলিং’ বিভাগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দল ‘ভয়েজার্স’।