জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফারুক আহম্মেদ বলেছেন, “ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সচেতনতা, প্রতিরোধ এবং প্রতিকার এ তিনটি বিষয় নিয়ে কাজ করে। অনেক জায়গায় অনিয়ম রয়েছে। অনলাইনে প্রতারণা চলছে।”

তিনি বলেন, “এসব ব্যাপারে ভোক্তাকে সচেতন হতে হবে। ভোক্তার অধিকার রক্ষায় অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এজন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।”

আরো পড়ুন:

পবিত্র কুরআন অবমাননাকারীর শাস্তির দাবিতে কুয়েটে বিক্ষোভ

খুবিতে পূজার ছুটি বাড়ানোর দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন

সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অবহিতকরণ ও বাস্তবায়ন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় অফিস এ সেমিনারের আয়োজন করে।

খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (শিক্ষা ও আইসিটি) দেব প্রসাদ পালের সভাপতিত্বে এতে আলোচক ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো.

হুসাইন শওকত, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (উপ-সচিব) মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ ওয়ারেস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিতান কুমার মন্ডল।

খুলনা জেলা ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক মো. ওয়ালিদ বিন হাবিবের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন, খুলনা জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক  মোহাম্মদ সেলিম।

অন্যদের মাঝে আরো বক্তব্য দেন, খুলনা জেলা ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আজম ডেভিড, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম, জিন্নাত আরা আহমেদ, সাংবাদিক তরিকুল ইসলাম, মুহাম্মদ নূরুজ্জামান, নুর ইসলাম রকি, ডা. এস কে সাহা, ড. মোহাম্মদ হানিফ মল্লিক, মেহেদী হাসান, সাংবাদিক মো. আশিকুর রহমান, কামাল মোস্তফা প্রমুখ।

সেমিনারে জানানো হয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে এ পর্যন্ত মোট ২ লাখ ৩৮ হাজার ৩৬২টি অভিযোগ জমা হয়েছে। এর মধ্যে ই-কমার্স সংক্রান্ত অভিযোগ ৬২ হাজার। অভিযোগগুলোর মধ্যে অন্তত ৯৬ শতাংশ নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

ঢাকা/নুরুজ্জামান/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হ ম মদ ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

দেশি বস্ত্র, অলংকার আর বাংলা গানে মনোরম পরিবেশনা

হেমন্তের হিমেল রাতে আলোঝলমলে মঞ্চে জনপ্রিয় বাংলা গানের সঙ্গে দেশি বস্ত্র, অলংকার, কারুপণ্যে দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরলেন তারকা মডেলরা। শুক্রবার ছুটির দিনের রাতে রাজধানীর গুলশান ক্লাবের ল্যামডা মিলনায়তনে এই মনকাড়া ফ্যাশন শোর আয়োজন করে ‘হেরিটেজ পল্লি’।

মঞ্চে মডেলদের পদচারণের আগে ছিল সংক্ষিপ্ত সূচনা পর্ব। বিশাল ডিজিটাল পর্দায় দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ইতিহাস–ঐতিহ্যের পরিচিতির সঙ্গে ৩০ বছর ধরে হেরিটেজ পল্লির কার্যক্রমের পরিচিতি তুলে ধরা হয়। হেরিটেজ পল্লির প্রতিষ্ঠাতা ফ্যাশন ডিজাইনার ও কোরিওগ্রাফার টুটলি রহমান বলেন, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বয়নশিল্প, হস্ত ও কারুশিল্পের পুনরুজ্জীবনে সহায়তা দিতে হেরিটেজ পল্লি কাজ করছে। দেশে–বিদেশে নিয়মিত ফ্যাশন শো, তাঁতি ও কারুশিল্পীদের পণ্য বিপণনসহ তাঁদের বিভিন্নভাবে সহায়তা দিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এই ফ্যাশন শো। এতে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বয়নশিল্পের বর্ণাঢ্য বৈচিত্র্য তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে লোকশিল্প থেকে অনুপ্রাণিত নকশার গয়না, বিভিন্ন রকম উদ্ভিদ ও স্থানীয় উপকরণে তৈরি সাজসজ্জার সামগ্রী। এই ফ্যাশন শোতে উপস্থাপিত পোশাকসহ সবকিছুই তৈরি করা হয়েছে সম্পূর্ণ দেশি উপকরণ ব্যবহার করে।

‘হেরিটেজ পল্লি’ আয়োজিত ফ্যাশন শোতে ঐতিহ্যবাহী দেশীয় পোশাকে মডেলরা। শুক্রবার রাতে রাজধানীর গুলশান ক্লাবের ল্যামডা মিলনায়তনে

সম্পর্কিত নিবন্ধ