রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির ছয়টি ইউনিয়ন কমিটি জেলা বিএনপির সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকারের তত্ত্বাবধানে সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল। আজ সোমবার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ ওই কমিটিগুলো স্থগিত ঘোষণা করেছেন। তাঁর দাবি, বিভাগীয় সমন্বয়কারীর নির্দেশেই তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিশ্বনাথ সরকার বলছেন, বিষয়টি তিনি কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানাবেন।

এ ঘটনায় আজ বিকেলে রাজশাহী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন দুর্গাপুর উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপির কয়েকজন নেতা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার, তবে তিনি বক্তব্য দেননি। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব জোবায়েদ হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুর্গাপুরের ইউনিয়ন কমিটিগুলো করার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম ছয় সদস্যের একটি কমিটি করে দেন। সেই কমিটির প্রধান ছিলেন বিশ্বনাথ সরকার। এই কমিটির তত্ত্বাবধানে গত ২০ থেকে ২৯ মে পর্যন্ত নওপাড়া, কিসমত গণকৈড়, পানানগর, দেলুয়াবাড়ি ও জয়নগর ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সভাপতি, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রতিটি ইউনিয়নে পাঁচজন নির্বাচিত হন।

পরে কয়েকজন নেতা কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ তোলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ আহ্বায়ক আবু সাঈদ একক স্বাক্ষরে ছয়টি ইউনিয়ন কমিটি স্থগিত করে ফেসবুকে প্রকাশ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই ইউনিয়ন কমিটির নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাদের নেতৃত্বে নির্বাচিত কমিটিগুলো আবু সাঈদ নিজ স্বার্থে স্থগিত ঘোষণা করেছেন। কেন্দ্রের নির্দেশনায় সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত এসব ইউনিয়ন কমিটি তিনি স্থগিত ঘোষণা করতে পারেন না বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।

বিশ্বনাথ সরকার বলেন, ‘কেন্দ্রের নির্দেশনায় সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটিগুলো করেছি। কোনো ধরনের অনিয়ম হয়নি। আহ্বায়ক কেন কমিটি স্থগিত করেছেন, সেটা বলতে পারব না। তাঁর সঙ্গে আমার কথা হয়নি। তিনি একক স্বাক্ষরে এটা করতে পারেন না। বিষয়টি আমি দ্রুতই কেন্দ্রীয় কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের জানাব।’

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ বলেন, স্থানীয় বিএনপির যাঁরা আন্দোলন–সংগ্রামে ভূমিকা রেখেছেন, তাঁদের সঙ্গে সমন্বয় না করে কমিটিগুলো অনুমোদন করা হয়েছে। এতে দলের ভেতরে ও বাইরে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বিএনপির বিভাগীয় সমন্বয়কারী আবদুস সালামের নির্দেশে কমিটিগুলো স্থগিত করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুজ্জামান আয়নাল, পৌর কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান লাল্টু, জেলা কমিটির সদস্য সাইদুর রহমান মন্টুসহ ছয় ইউনিয়নের সদ্য স্থগিত করা কমিটির সভাপতি, সম্পাদকসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র সদস যসচ ব দ র গ প র উপজ ল ব শ বন থ সরক র কম ট গ ল কম ট র ন কম ট

এছাড়াও পড়ুন:

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ পর্বে বিজয়ী হলো যারা

নাসা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ হ্যাকাথন প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ পর্বে বিজয়ী হয়েছে ২৭টি দল। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আয়োজিত অনলাইন এ হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা গত শুক্রবার শুরু হয়। টানা ৩৬ ঘণ্টার এ প্রতিযোগিতায় ঢাকার পাশাপাশি বরিশাল, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, খুলনা, ময়মনসিংহ, রংপুর, রাজশাহী ও সিলেটের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। গতকাল সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজয়ী দলগুলোর নাম জানিয়েছে প্রতিযোগিতার আয়োজক বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)।

প্রতিযোগিতায় ঢাকা অঞ্চলে চ্যাম্পিয়ন, প্রথম ও দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়েছে যথাক্রমে ক্রোনজ, অ্যাস্ট্রো-৪ ও স্পেস কিটি দল। ঢাকার বাইরে বরিশাল অঞ্চলে চ্যাম্পিয়ন, প্রথম ও দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়েছে যথাক্রমে পোলারিস, সিরিয়াস ও টিম লেনিয়াকি দল। চট্টগ্রাম অঞ্চলে এক্সোভিশনারিস, কুয়েট মঙ্গলচারী ও মেটিওর গার্ডিয়েন্স, কুমিল্লা অঞ্চলে নো ম্যাডস, কুয়েন্টিসেন্স মাইনাস ইনফিনিটি ও ইকিলিপজড, খুলনা অঞ্চলে ওয়াসিস, অ্যাটলাস ও অব্লিভাইট, ময়মনসিংহ অঞ্চলে নিউ বাইস, সফট স্যাসি ও অ্যাস্ট্রা ফাইন্ড, রংপুর অঞ্চলে ফাঁকিবাজ, স্পেস স্কোয়াড ও এস্পেক্ট্রা, রাজশাহী অঞ্চলে মাইনাস ওয়ান, অরা ও টেরা ফার্ম এবং সিলেট অঞ্চলে কোড ক্রাকার্স, এআইবিএ স্পেস ওয়েভ ও টিম উল্কা।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, টানা ১২ বারের মতো নাসা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ হ্যাকাথন প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ পর্ব আয়োজন করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশের (এআইইউবি) পৃষ্ঠপোষকতায় এবং বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের সহযোগিতায় আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় এ বছর প্রায় ৫০০ প্রকল্প জমা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে নাসা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতার বৈশ্বিক পর্বে ‘বেস্ট ইউজ অব ডেটা’ বিভাগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দল ‘অলীক’। ২০২১ সালে ‘বেস্ট মিশন কনসেপ্ট’ বিভাগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গড়া দল ‘মহাকাশ’। ২০২২ সালে ‘মোস্ট ইন্সপিরেশনাল’ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ‘ডায়মন্ডস’ দল। ২০২৩ সালে ‘বেস্ট স্টোরিটেলিং’ বিভাগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দল ‘ভয়েজার্স’।

সম্পর্কিত নিবন্ধ