বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড থেকে ফারুক আহমেদকে সরিয়ে আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে সভাপতি করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। সবকিছুই এতো চটজলদি হয়েছিল আমিনুলের ঘোর কাটতে সময় লেগেছিল বেশ। তাকে বলা হয়েছিল, নির্বাচন পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব চালাতে হবে৷ 

চার মাস পর নির্বাচন হলো ঠিকই, নতুন এই বোর্ডের সভাপতি পুরনো মুখ আমিনুল। এবার নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তিনি। পাশে পেয়েছেন ফারুক আহমেদকে। তাকে সহ-সভাপতি বানিয়ে আমিনুল ২৫ পরিচালক নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনা পরিষদ সাজিয়েছেন চার বছরের জন্য।  

আরো পড়ুন:

ব্রিটসের রেকর্ডভাঙা সেঞ্চুরিতে দ.

আফ্রিকার জয়

লো স্কোরিং ম্যাচে রংপুরের জয়, বরিশাল-রাজশাহীর পয়েন্ট ভাগাভাগি

ফারুকের জায়গায় হুট করে আসা, এখন আবার ফারুককে নিয়েই বোর্ড গঠন...পুরো বিষয়টি মিশ্র পরিস্থিতি তৈরি করছে নিশ্চিত ভাবেই৷ কিন্তু ২২ গজের পুরনো দুই সতীর্থ দায়িত্ব গ্রহণ করেই জানিয়ে গেলেন, ক্রিকেট প্রশাসনিক কাজে দুজনই পুরনো ও পেছনের কথা ভুলে মিলেমিশে থাকবেন। এগিয়ে নেবেন ক্রিকেটকে। সেই প্রতিশ্রুতির একটা চিত্র পাওয়া গেল নির্বাচনের ময়দানেই,

‘’আমরা অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে যাত্রা শুরু করেছি। তার প্রমাণ হলো সভাপতি হিসেবে আমার নাম প্রস্তাব করেন ফারুক ভাই। আর আমি ফারুক ভাইয়ের নাম প্রস্তাব করি সহ-সভাপতি হিসেবে। আমার বিশ্বাস আমরা একসঙ্গে চলতে ফিরতে কোনই সমস্যা হবে না। আমরা সবাই মিলে একসাথে ক্রিকেটকে একটা লক্ষ্যে পৌঁছাতে আপ্রাণ চেষ্টা করবো।’

‘’ফারুক ভাই ছিলেন রূপালী ব্যাংকের ক্যাপ্টেন, আমি তখন প্লেয়ার। ফারুক ভাই ছিলেন বিমানের ক্যাপ্টেন, আমি তখন তার অধীনে খেলেছি। আবার বিশ্বকাপে ফারুক ভাই আমার আন্ডারে খেলেছেন। বোঝাপড়া ব্যাপারটা আমাদের বহু বছর ধরে হয়ে আছে। আমরা জানি কিভাবে মানিয়ে নিতে হয়।’’ - বলেছেন আমিনুল। 

মাত্র চার মাসের জন্য এসে চার বছরের লম্বা ইনিংস খেলতে হবে আমিনুলকে। আইসিসির চাকরি ছেড়ে আমিনুলের ঠিকানা এখন বিসিবি। কেন এত বড় পরিকল্পনা নিলেন তিনি? উত্তরে বলেছেন, ‘’এটা একটা জার্নির অংশ ধরে নিয়েছি। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ডেভেলপমেন্টের প্রেমেও পড়ে গিয়েছি। স্বল্প মেয়াদের জন্য এসেছিলাম। সেটাই সবসময়ের পরিকল্পনা ছিল।”

“কিন্তু যখন ট্রিপল সেঞ্চুরি প্রোগ্রামের মাধ্যমে ছোট ছোট কাজ শুরু করলাম এবং সাফল্যগুলো দেখতে পেলাম, সেই লোভটা আমি ছাড়তে পারিনি এবং সেই লক্ষ্যে আমার দেশকে আরও সার্ভ করার জন্য আমি রয়ে গেছি।”

আর ফারুক আহমেদের ভাবনা বেশ পরিস্কার, ‘’এখন আমরা সামনে এগিয়ে যাব, আমি পিছনে যেতে চাই না। মানুষের জীবনে অনেক ধরনের দুর্ঘটনা হয়, কঠিন সময় যায়। কিন্তু আমার কথা হলো এখন আমাদের একটাই লক্ষ্য সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। নতুন সভাপতি তিন-চার মাস ছিলেন। আবার তার নেতৃত্বে এখন আমরা একটা পূর্ণাঙ্গ বোর্ড পেয়েছি। আশা করি বোর্ডটা লম্বা সময়ের জন্য থাকবে এবং সেই পরিকল্পনায় আমরা এগিয়ে যেতে পারব।’'

‘’সভাপতি বলেছেন, আমাদের সবার লক্ষ্য...আপনারা এখানে যারা বসে আছেন আপনারা চান বাংলাদেশ ক্রিকেট এগিয়ে যাক। আমরা এখানে যারা বসে আছি, আমরাও চাই বাংলাদেশের ক্রিকেট এগিয়ে যাক। লক্ষ্য কিন্তু একটাই। এই লক্ষ্যের মাঝে কিছু জিনিস আসে...ওই জিনিসগুলো আমাদের ট্যাকেল দিতে হবে। বাংলাদেশের ক্রিকেট এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত।’’
 

ঢাকা/ ইয়াসিন

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র আম ন ল লক ষ য র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

হামলায় ব্যবহৃত রুশ ক্ষেপণাস্ত্র–ড্রোনে পশ্চিমা কোম্পানির যন্ত্রাংশ, অভিযোগ জেলেনস্কির

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে হামলায় ব্যবহার হওয়া রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনে বিভিন্ন পশ্চিমা কোম্পানির যন্ত্রাংশ থাকার অভিযোগ তুলেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সোমবার দেওয়া এক পোস্টে জেলেনস্কি লেখেন, গত দুই রাতে ইউক্রেনের ওপর চালানো রাশিয়ার হামলাগুলোয় ব্যবহার হওয়া শত শত অস্ত্রের মধ্যে পশ্চিমা কোম্পানিগুলোয় উত্পাদিত কয়েক হাজার উপাদান রয়েছে।

এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, নেদারল্যান্ডস, তাইওয়ান ও চীনের কোম্পানি রয়েছে বলেও পোস্টে লেখেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।

জেলেনস্কি আরও লেখেন, রাশিয়ার নিক্ষেপ করা ড্রোনগুলোয় বিদেশি কোম্পানির উৎপাদিত প্রায় ১ লাখ ৬৮৮টি যন্ত্রাংশ পাওয়া গেছে। একইভাবে ইসকান্দার ক্ষেপণাস্ত্রে প্রায় ১ হাজার ৫০০টি, কিনঞ্জাল ক্ষেপণাস্ত্রে ১৯২টি এবং কালিব্রাস ক্ষেপণাস্ত্রে ৪০৫টি বিদেশি কোম্পানির যন্ত্রাংশ ছিল।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সর্বাত্মক হামলা শুরু করে রাশিয়া। এর পর থেকে দুই দেশের প্রাণঘাতী যুদ্ধ চলছে। চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনের পক্ষে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা সংগ্রহে অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এমন পরিস্থিতিতে রুশ যুদ্ধাস্ত্রে দেশ দুটির কোম্পানিতে উৎপাদিত যন্ত্রাংশ থাকার বিষয়ে জেলেনস্কির অভিযোগ বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে।

জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া এবং চলমান যুদ্ধে দেশটিকে সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউক্রেন।

আরও পড়ুনযুদ্ধের অবসান অবশ্যই ন্যায্য হতে হবে: জেলেনস্কি১১ আগস্ট ২০২৫

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানান, ইউক্রেনে হামলায় ব্যবহৃত রুশ যুদ্ধাস্ত্রের বিদেশি যন্ত্রাংশের বিষয়ে প্রতিটি কোম্পানি এবং পণ্যের খুঁটিনাটি তথ্য ইউক্রেনের অংশীদারদের জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুনজেলেনস্কির মসনদ নাড়িয়ে দিয়েছে যে আন্দোলন২৮ জুলাই ২০২৫আরও পড়ুনক্রিমিয়ার দাবি কি ছেড়ে দিচ্ছেন জেলেনস্কি, কী বলেছেন ট্রাম্প২৮ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ