‘ভাইস প্রিন্সিপাল’খ্যাত মার্কিন অভিনেত্রী কিম্বারলি হেবার্ট গ্রেগরি মারা গেছেন। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই অভিনেত্রী। তার বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম নিউ ইর্য়ক টাইমস এ খবর প্রকাশ করেছে।  

কিম্বারলি হেবার্ট গ্রেগরি ব্যক্তিগত জীবনে ঘর বেঁধেছিলেন অভিনেতা-গায়ক চেস্টার গ্রেগরির সঙ্গে। এ সংসারে তাদের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। যদিও এ সংসার ভেঙে গেছে।  

আরো পড়ুন:

থুনবার্গকে ‘ঝামেলাবাজ’ আখ্যা দিয়ে মানসিক ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন অবসানে অনিশ্চয়তা

কিম্বারলি হেবার্ট গ্রেগরির মৃত্যুর খবর জানিয়ে ইনস্টাগ্রামে কাব্যিক রীতিতে দীর্ঘ একটি পোস্ট দিয়েছেন চেস্টার গ্রেগরি। তাতে তিনি লেখেন, “কিম্বারলি হেবার্ট গ্রেগরি তুমি ছিলে আলোর প্রতিমূর্তি। একজন কৃষ্ণাঙ্গ নারী, যার বুদ্ধিমত্তা প্রতিটি ঘরে আলো জ্বেলেছে। যার উপস্থিতি একসঙ্গে বহন করেছে আগুন আর মমতা। তুমি আমাদের শিখিয়েছিলে সাহস, শিল্প, সহনশীলতা, আর কীভাবে জীবন যতই কঠিন হোক, তবু প্রতিদিন নিজেকে নতুন করে হাজির করতে হয়।” 

স্মৃতিচারণ করে চেস্টার গ্রেগরি লেখেন, “আমাদের সেরা সময়ে, আর সবচেয়ে কঠিন সময়েও, যা ছিল অবিচল তা হলো—ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, আর এমন এক বন্ধন, যা কোনো ঝড়ও ভাঙতে পারেনি। তুমি শুধু প্রাক্তন স্ত্রী নও, তুমি ছিলে আমার বন্ধু। আমাদের পুত্র-আমরা একসঙ্গে লেখা একটি গান। সে (পুত্র) তোমার আলোর জীবন্ত প্রতিধ্বনি। তার মধ্য দিয়েই তোমার উজ্জ্বলতা কখনো নিভে যাবে না। তার হাসিতে তোমার হাসিও অনুরণিত হবে চিরকাল।” 

লেখাটির শেষাংশে চেস্টার গ্রেগরি লেখেন—“সূর্যোদয়: ১২-০৭-১৯৯৭। সূর্যাস্ত: ১০-০৩-২০২৫।” তবে কোথায় কীভাবে কিম্বারলির মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানাননি চেস্টার গ্রেগরি। 

১৯৯৭ সালের ৭ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের হিউস্টনে জন্মগ্রহণ করেন কিম্বারলি হেবার্ট গ্রেগরি। মঞ্চনাটক ছিল এ অভিনেত্রীর প্রথম প্রেম। ২০০৭ সালে টিভি সিরিজে প্রথম অভিনয় করেন। একই বছর ‘আই থিঙ্ক আই লাভ মাই লাইফ’ সিনেমা দিয়ে রুপালি পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। এরপর বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী। 

দুই দশকের অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য টিভি সিরিজে অভিনয় করেন কিম্বারলি। তবে অধিক খ্যাতি লাভ করেন ‘ভাইস প্রিন্সিপাল’ সিরিজে কাজ করে। এ সিরিজে ড্যানি আর.

ম্যাকব্রাইড ও ওয়ালটনের সঙ্গে অভিনয় করেন। যেখানে তারা দুই সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বী, তারা নতুন প্রিন্সিপালকে (কিম্বারলি গ্রেগরি) অপসারণের ষড়যন্ত্র করে।

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র ট ভ ন টক

এছাড়াও পড়ুন:

রেখাকে বিয়ে! আরও যেসব তারকার সঙ্গে ইমরান খানের প্রেমের গুঞ্জন

বলিউড তারকা রেখাকে ঘিরে আজও অনেক গল্প চর্চিত। বলিউডে তাঁর অভিনয় ও সিনেমা যেমন ছিল আলোচনায়, তেমনি তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও ছিল বৈচিত্র্যে ভরা। বিশেষ করে রেখার প্রেম নিয়ে বলিউডে এখনো আলোচনা চলে। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক যেমন একসময় সংবাদপত্রের পাতায় শিরোনাম হয়েছে, তেমনি আশির দশকে পাকিস্তানের এক তারকা ক্রিকেটারের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা নিয়েও গুঞ্জন ছিল বলিউড পাড়ায়। তিনি আর কেউ নন, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শোনা যায়, মুম্বাইয়ে কয়েক সপ্তাহ একসঙ্গে কাটিয়েছিলেন তাঁরা, সমুদ্রসৈকতে ঘন ঘন একসঙ্গে দেখা যেত দুজনকে। এমনকি বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলেও দাবি উঠেছিল সে সময়।

আজ ইমরান খানের জন্মদিন। ৭২ বছরে পা রাখলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, সাবেক ক্রিকেট কিংবদন্তি। ক্রিকেট, রাজনীতি আর ব্যক্তিজীবনের অজস্র ওঠানামার ভিড়ে রেখার সঙ্গে সেই রহস্যময় সম্পর্ক এখনো আলোচনার অংশ হয়ে আছে। এই তো কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে ১৯৮৫ সালের একটি পুরোনো প্রতিবেদন।

সেখানেই দাবি করা হয়, ইমরান খান–রেখার প্রেম ছিল। বিয়ের দিকেও নাকি যাচ্ছিল সে সম্পর্ক। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি সে খবর নতুন করে প্রচার করে। শুধু কি রেখা? বলিউডের বেশ কজন অভিনেত্রীর সঙ্গে তাঁর প্রেমের কাহিনি বিভিন্ন সময় সামনে এসেছে। কারা তাঁরা? ইমরান খানের জন্মদিনে আজ সেইসব দিনের কিছু গল্প জানব।

অনেকে বলেছিলেন, মা-ও চাইতেন ইমরান তাঁদের পরিবারের অংশ হয়ে উঠুক। তবে শেষ পর্যন্ত বিয়ে হয়নি। রেখা কখনো প্রকাশ্যে এই সম্পর্ক নিয়ে কিছু বলেননি। অন্যদিকে ইমরান খান সংবাদমাধ্যমে নাকি ঠিক এভাবে মন্তব্য করেছিলেন, ‘আমি তাঁর (রেখা) সঙ্গে কিছু সময় কাটিয়েছি, তবে সামনেই এগোতে চাই। কোনো সিনেমার নায়িকাকে বিয়ে করার কথা আমি ভাবতেই পারি না।’

রহস্যময় সম্পর্ক
আশির দশকে ইমরান খানের জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। পাকিস্তান ছাড়িয়ে ভারতে তাঁর অগণিত ভক্ত। মুম্বাইয়ের পার্টি থেকে সমুদ্রসৈকত—যেখানেই গেছেন, প্রায়ই সঙ্গী হয়েছেন বলিউডের চিরসবুজ নায়িকা রেখা। স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয় কানাঘুষা—তাঁরা কি কেবল বন্ধু, নাকি আরও কিছু? সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৮৫ সালে মুম্বাইয়ে কয়েক সপ্তাহ অবস্থান করেছিলেন ইমরান। তখন প্রায়ই দেখা যেত তাঁকে রেখার সঙ্গী হয়ে। যাঁরা তাঁদের কাছ থেকে দেখেছিলেন, তাঁদের ধারণা হয়েছিল—বন্ধুত্বের বাইরে গিয়ে সত্যিই প্রেম ফুটে উঠছে।

মায়ের ইচ্ছা, জ্যোতিষীর পরামর্শ
এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, রেখার মা পুষ্পাবল্লী নাকি ইমরান খানের বড় ভক্ত ছিলেন। এমনকি মেয়ের ভাগ্য যাচাই করতে দিল্লির এক জ্যোতিষীর কাছেও গিয়েছিলেন তিনি।

অনেকে বলেছিলেন, মা-ও চাইতেন ইমরান তাঁদের পরিবারের অংশ হয়ে উঠুক। তবে শেষ পর্যন্ত বিয়ে হয়নি। রেখা কখনো প্রকাশ্যে এই সম্পর্ক নিয়ে কিছু বলেননি। অন্যদিকে ইমরান খান সংবাদমাধ্যমে নাকি ঠিক এভাবে মন্তব্য করেছিলেন, ‘আমি তাঁর (রেখা) সঙ্গে কিছু সময় কাটিয়েছি, তবে সামনেই এগোতে চাই। কোনো সিনেমার নায়িকাকে বিয়ে করার কথা আমি ভাবতেই পারি না।’

‘সিলসিলা’ সিনেমায় রেখা। আইএমডিবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গুইমারায় নিহতদের স্মরণে প্রদীপ প্রজ্বালন: পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে এ সরকারের সময়েও মিথ্যা প্রচার হচ্ছে
  • একসঙ্গে ৫ সন্তানের জন্ম দিলেন লামিয়া
  • রেখাকে বিয়ে! আরও যেসব তারকার সঙ্গে ইমরান খানের প্রেমের গুঞ্জন