ভ্রমণে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে গেলে কী করবেন
Published: 7th, October 2025 GMT
ভ্রমণ মানেই আনন্দ, মুক্ত বাতাস আর নতুন অভিজ্ঞতা। তাই কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে সবার মধ্যেই কাজ করে অন্য রকম এক উদ্দীপনা। আর নতুন কোনো জায়গায় ঘুরতে গেলে তো পরিকল্পনারও কোনো শেষ থাকে না। তবে বিপত্তি ঘটে তখনই, যখন কোথাও ভ্রমণকালীন হঠাৎ শরীর খারাপ হয়ে পড়ে। তখন সব পরিকল্পনাই যেন ভেস্তে যায়। তাই ঘুরতে যাওয়ার আগে সতর্ক থাকা জরুরি। কারণ, হুট করেই অজানা-অচেনা জায়গায় অসুস্থ হয়ে পড়লে অনেকেই হিমশিম খেয়ে যান। ভ্রমণের আগে এবং ভ্রমণের সময় কিছু সচেতনতা ও প্রস্তুতি থাকলে আপনি থাকতে পারবেন নির্ভার ও নিশ্চিন্ত।
ভ্রমণের আগেভ্রমণে বের হওয়ার সময় একটি ছোট ফার্স্ট এইড ব্যাগ সঙ্গে রাখা অত্যন্ত জরুরি। এতে প্যারাসিটামল, গ্যাসের ওষুধ, ব্যথানাশক, ব্যান্ডএইড, অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম, অ্যালার্জির ওষুধ, স্যালাইন ইত্যাদি অতিপ্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ রাখা ভালো। সঠিক প্রস্তুতির মাধ্যমে অনেক সমস্যা আগেভাগেই প্রতিরোধ করা যায়। যাঁদের নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়, যেমন ডায়াবেটিস, অ্যাজমা বা রক্তচাপের রোগী, তাঁদের অবশ্যই প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে রাখতে হবে। সেই সঙ্গে বিদেশে বা দুর্গম এলাকায় ভ্রমণে গেলে আগে থেকে নিকটস্থ হাসপাতাল বা ক্লিনিকের ঠিকানা জেনে রাখতে হবে।
ভ্রমণের আগে প্রস্তুতি প্রসঙ্গে পর্বতারোহী বাবর আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোথাও ভ্রমণে যাচ্ছেন, সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে। পাহাড়ে গেলে প্রস্তুতি হবে একরকম, আবার সমুদ্রে গেলে আরেক রকম। জুতা ও জামাকাপড়ও সেই অনুযায়ী নির্ধারণ করতে হবে। এ ছাড়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, কোথাও যাওয়ার আগে অবশ্যই আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে নিতে হবে। সেই সময় এবং আগামী কয়েক দিন সেখানকার আবহাওয়া কেমন থাকবে, তা আগে থেকেই জানা থাকলে অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক বিপদ থেকেই সতর্ক থাকা যায়।’
ভ্রমণের সময়ভ্রমণকালীন অনেকের নানা ধরনের সমস্যা দেখা যায়। এ প্রসঙ্গে বাবর আলী বলেন, ‘কোথাও যাওয়ার আগে কোন বাহনে সেখানে যাচ্ছেন, তা জেনে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। অনেকেরই বাসে দীর্ঘ পথ ভ্রমণে সমস্যা হয়, অনেকের জাহাজে, আবার অনেকের উড়োজাহাজেও সমস্যা হয়। সে অনুযায়ী পূর্বপ্রস্তুতি নিন। পাশাপাশি যেকোনো ধরনের জরুরি পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।’
বাবর আলী স্মৃতিচারণা করে বলেন, ‘আমি নিজেই একবার জাহাজে মহেশখালী থেকে সেন্ট মার্টিন যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে যাই। সেদিন সমুদ্র অনেক উত্তাল ছিল, মহেশখালী থেকে সেন্ট মার্টিন যাওয়ার পথটিও বেশ দীর্ঘ। কিন্তু যেহেতু আমি আগে থেকেই জানতাম জাহাজে আমার মোশন সিকনেস কাজ করে, তাই আমি আমার মাইন্ডসেট ঠিক করে রেখেছিলাম এবং পূর্বপ্রস্তুতিও ছিল। তাই আমি অসুস্থ হয়ে গেলেও যাত্রাটি ঠিকমতো শেষ করতে পেরেছিলাম।’
হঠাৎ অসুস্থ হয়ে গেলেযথাযথ প্রস্তুতি থাকার পরও ভ্রমণের সময় নানা ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যায়। তবে এমন পরিস্থিতি দেখা দিলে বিচলিত হওয়া যাবে না। এ প্রসঙ্গে বাবর আলী বলেন, ‘হঠাৎ অসুস্থ হয়ে গেলে প্রথমেই দেখুন যাঁদের সঙ্গে ভ্রমণ করছেন, তাঁদের মধ্যে কেউ প্রাথমিকভাবে আপনাকে সহায়তা করতে পারেন কি না। এমন নয় যে তাঁর কাছেই আপনাকে সম্পূর্ণ চিকিৎসা নিতে হবে। প্রথমে পরিস্থিতি অনুকূলে নিয়ে আসার চেষ্টা করুন। এরপর আশপাশের চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে চিকিৎসা নিন।’
সবশেষে বাবর আলী বলেন, শিশু আর বৃদ্ধদের সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে গেলে অবশ্যই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তাঁদের প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে নিতে ভোলা যাবে না। কারণ, কিছু ওষুধ সব জায়গায় পাওয়া যায় না।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রস ত ত ভ রমণ র অন য য় অন ক র সমস য র সময়
এছাড়াও পড়ুন:
কাবাডি বিশ্বকাপে ব্রোঞ্জ নিশ্চিত করল বাংলাদেশের মেয়েরা
রেফারির শেষ বাঁশি বাজতেই রুপালি-বৃষ্টিদের উৎসব শুরু। লাল-সবুজ পতাকা হাতে কোর্টের চারপাশ ঘুরে গ্যালারির দর্শকদের অভিবাদনের জবাবও দিলেন তাঁরা। প্রথমবার নারী কাবাডি বিশ্বকাপে অন্তত ব্রোঞ্জ পদক নিশ্চিত হওয়ার আনন্দে মেয়েদের এই উদ্যাপন।
মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে আজ থাইল্যান্ডকে ৪০-৩১ পয়েন্টে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট পেয়েছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে নিশ্চিত হলো অন্তত ব্রোঞ্জ পদক জয়ও। আন্তর্জাতিক কাবাডির নিয়ম অনুযায়ী, সেমিফাইনালে হারলেও ব্রোঞ্জ পদক পাবে অংশগ্রহণকারী দল।
থাইল্যান্ডের বিপক্ষে এদিন প্রথমার্ধে দারুণ লড়াই করে বাংলাদেশ। তবে রেইডার শ্রাবণী মল্লিক চোট নিয়ে মাঠ ছাড়ায় স্বাগতিক সমর্থকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে। কয়েক মিনিট পর অবশ্য সুস্থ হয়ে মাঠে ফেরেন তিনি। বিরতির আগে এক রেইড থেকে দুই পয়েন্ট পাওয়ায় বাংলাদেশের ব্যবধান বেড়ে হয় ১৪-১২।
সেমিফাইনালে ওঠার আনন্দে মাতােয়ারা বাংলাদেশ দল