Risingbd:
2025-10-07@16:54:19 GMT

বদলে গেল সূচি

Published: 7th, October 2025 GMT

বদলে গেল সূচি

বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে আগামী ১৫ অক্টোবর আসছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিসিবি সিরিজের সূচিও ঘোষণা করেছিল। কিন্তু সেই সূচিতে পরিবর্তন এসেছে।

এক বিবৃতিতে মঙ্গলবার (০৭ অক্টোবর) বিসিবি জানিয়েছে, ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের (সিডব্লিউআই) সঙ্গে আলোচনার পর এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

বিপিএলসহ তিন বিভাগের দায়িত্বে আমিনুল, ক্রিকেট পরিচালনায় ফাহিম

বিসিবির পরিচালক নির্বাচনে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ হবে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। চট্টগ্রামে হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

মিরপুরে তিন ওয়ানডে হওয়ার কথা ১৮, ২০ ও ২৩ অক্টোবর। দ্বিতীয় ওয়ানডে একদিন পিছিয়ে সেটি হবে ২১ অক্টোবর।  ম্যাচগুলো শুরু হবে দুপুর দেড়টায়। ২৪ অক্টোবর দুই দল চট্টগ্রাম সফর করবে। 

২৬, ২৮ ও ৩১ অক্টোবর হওয়ার কথা টি-টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচ। একদিন করে পিছিয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টি হবে ২৭ অক্টোবর ও দ্বিতীয়টি ২৯ অক্টোবর। শেষ টি-টোয়েন্টি হবে যথারীতি ৩১ অক্টোবর। তিন ম্যাচেই খেলা শুরু হবে সন্ধ্যা ছয়টায়।

এবারের সফরে শুধু সাদা বলেই খেলবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটাররা। সবশেষ ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ ওয়ানডে খেলেছিলেন তারা। টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন তারও তিন বছর আগে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

লিও তলস্তয়ের গ্রামে

আমি এখন যে গ্রামে এসেছি, সেই গ্রামে ১৮২৮ সালে লেখক লিও তলস্তয় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। রাশিয়ার ইয়াস্নায়া পলিয়ানা নাম গ্রামটির। এটি আসলে তাঁদের পারিবারিক জমিদারির একটি অংশ। এখানে তিনি জীবনের অনেকখানি সময় কাটিয়েছেন। এখানেই লিখেছেন অমর উপন্যাস ‘ওয়ার অ্যান্ড পিস’, ‘আনা কারেনিনা’ এবং অসংখ্য গল্প।

তলস্তয়কে আইন পড়তে কাজান শহরে পাঠানো হয়েছিল কিন্তু পড়তে তাঁর ভালো লাগেনি। জমিদারি ছিল, তাই রোজগারের চিন্তাও করতে হয়নি। মাঝখানে সন্তানদের পড়ালেখার জন্য আট বছর মস্কোতে একটি বাড়ি কিনে বসবাস করেছিলেন।

লিও তলস্তয় শেষ জীবনে আধ্যাত্মিকতার দিকে ঝুঁকেছিলেন এবং খুব সাধারণ জীবনযাপন করতেন। একসময় গৃহত্যাগ করেছিলেন। ১৯১০ সালে ৮২ বছর বয়সে আস্তাপোভো রেলস্টেশনে প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে একাকী, আত্মীয়, বন্ধু থেকে দূরে, নীরবে তিনি দেহত্যাগ করেন। এরপর তাঁকে ইয়াস্নায়া পলিয়ানায় এনে সমাহিত করা হয়।

ইয়াস্নায়া পলিয়ানা গ্রামে আমি যখন পৌঁছালাম, তখন রোদ ঝলমল করছে। গত কয়েক দিন খুব বৃষ্টি পড়েছে মস্কো শহরে। মস্কো থেকে আমাকে পাড়ি দিতে হয়েছে ২২০ কিলোমিটার। সরাসরি মস্কো থেকে তলস্তয়ের গ্রামে আসার কোনো ট্রেন বা বাস নেই। আমাকে ট্রেনে করে আসতে হয়েছে প্রথমে তুলা শহরে৷

ট্রেনে করে আসার পথে রাশিয়ার সবুজ গ্রামের যে রূপ আমি দেখেছি, তার তুলনা হয় না। পথের পাশে ফুটে আছে হলুদ বুনো ফুল আর হঠাৎ হঠাৎ করে একটা বা দুটো দোচালা বাড়ি। মাঝে পড়ে গেল একটা নদী, আবার এসে গেল ঘন সবুজ জঙ্গল। এমন অসামান্য প্রকৃতি যে দেশের আছে, সে দেশের প্রতি এমনিতেই মায়া জন্মে যায়।

রাশিয়ার ইয়াস্নায়া পলিয়ানা গ্রামে ১৮২৮ সালে লেখক লিও তলস্তয় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এটি তাঁদের পারিবারিক জমিদারির একটি অংশ। এখানে তলস্তয় জীবনের অনেকখানি সময় কাটিয়েছেন। এখানেই লিখেছেন অমর উপন্যাস ‘ওয়ার অ্যান্ড পিস’, ‘আনা কারেনিনা’।মাঝখানে ধূসর লম্বা পথ আর দুপাশে ঘন বনানী

সম্পর্কিত নিবন্ধ