অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশন বুধবার তাদের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছে। সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশন এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিশন বলেছে, তথ্যচিত্রটিতে কমিশন কীভাবে গুমের শিকার ব্যক্তিদের সন্ধানে চেষ্টা চালিয়ে গেছে এবং সত্য উদ্ঘাটনের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে, তা তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষ করে গোপন বন্দিশালা আবিষ্কার, নষ্টপ্রায় প্রমাণ সংগ্রহ এবং আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিচারপ্রাপ্তির সুযোগ সৃষ্টির বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।

কমিশন পুলিশ, র‍্যাব, গোয়েন্দা সংস্থা ও অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিণতি নির্ণয়ে নিরবচ্ছিন্ন অনুসন্ধান চালিয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

একই সঙ্গে গুমের শিকার ব্যক্তিদের জন্য ‘ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স সার্টিফিকেট’ ইস্যুর সুপারিশ এবং সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ আইনের সংশোধনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর বিষয়ে নীতিগত পরামর্শ দিয়েছে কমিশন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এ তথ্যচিত্র কেবল অনুসন্ধানের বিবরণ নয়; এটি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং রাষ্ট্রের প্রতি জন–আস্থা পুনর্গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য দলিল। তথ্যচিত্রটি কমিশনের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে https://youtube.

com/@gumcommission?si=rUwmY6bMm4qKYmdBনিম্নোক্ত লিংকে দেখা যাবে।

এ ছাড়া কমিশন দুটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছে। প্রতিবেদন দুটির প্রকাশযোগ্য অংশগুলো কমিশনের ওয়েবসাইটে (https://coied.portal.gov.bd) উন্মুক্ত রয়েছে। প্রতিবেদন দুটি নিচের লিংকে পাওয়া যাবে—

প্রথম অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন:

https://coied.portal.gov.bd/site/publications/9c2b8e6b-7244-4469-a646-e01ae204b0ee/First-Interim-report-14-Dec-2024-Sec-5-redacted

দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন:

https://coied.portal.gov.bd/site/publications/5ec56d5c-25c9-4298-a9e7-efd3ff4be287/Second-interim-report-3-June-2025-case-studies-redacted

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ভুয়া ওয়েবসাইট ও অ্যাপসে ঋণের প্রলোভন, সতর্ক করল বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নাম বা লোগো ব্যবহার করে বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা অ্যাপস তৈরি করে ঋণ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এসব ফাঁদে না পড়ার জন্য সতর্ক করেছে।

আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক সতর্কবার্তা দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, এর সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক বা আইএমএফের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। জনসাধারণকে সতর্ক করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, এর মাধ্যমে জনসাধারণ আর্থিক প্রতারণার শিকার হতে পারেন বা বিভিন্ন আইনগত ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। এ জন্য এসব ওয়েবসাইট বা অ্যাপসে নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বরসহ কোনো তথ্য না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের নাম কিংবা লোগো ব্যবহার করে https://dbbloan.com, https://bblloan.com ও https://www.bdloan71.com নামে ঋণ দেওয়া–সংক্রান্ত ভুয়া অ্যাপ ও ওয়েবসাইট চালানো হচ্ছে। যার সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক বা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই। এসব অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে নাম, ঠিকানা, জন্মতারিখ, মোবাইল নম্বর, ই-মেইল ঠিকানা ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এতে জনসাধারণ আর্থিক প্রতারণার শিকার হতে পারে বা বিভিন্ন আইনগত ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। আর্থিক ক্ষতি ও আইনি ঝুঁকি এড়ানোর লক্ষ্যে সবাইকে এ–জাতীয় ভুয়া অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে যেকোনো ধরনের সংবেদনশীল তথ্য দেওয়া ও আর্থিক লেনদেন না করার জন্য পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও জানিয়েছে, পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আইন, ২০২৪–এর ১৫ (২) ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া জনসাধারণ থেকে বিনিয়োগ নেওয়া বা ঋণ দেওয়ার উদেশ্যে যেকোনো ধরনের অনলাইন বা অফলাইন প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করা একটি অপরাধ। এ জন্য কোনো ব্যক্তি ৫ বছর কারাদণ্ড বা ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এ ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিহারের জন্য সবাইকে নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভুয়া ওয়েবসাইট ও অ্যাপসে ঋণের প্রলোভন, সতর্ক করল বাংলাদেশ ব্যাংক