ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার একটি খালে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে মাছ শিকারের দায়ে যুবদলের এক কর্মীকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার বানা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয়–সংলগ্ন বানা-পাঁচুড়িয়া খালে এ অভিযান চালানো হয়।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম মাফুজার শেখ (৩৬)। তিনি আলফাডাঙ্গা উপজেলার দিঘলবানা গ্রামের মকছেদ শেখের ছেলে ও বানা ইউনিয়ন যুবদলের কর্মী।

মাফুজারের দলীয় পরিচয়ের বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খোশবুর রহমান বলেন, মাফুজার উপজেলা যুবদলের একজন সক্রিয় কর্মী।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বানা-পাঁচুড়িয়া খালে স্থানীয় একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি অবৈধভাবে আড়াআড়ি বাঁশের বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করে আসছিলেন। পরে খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে খালের বাঁশের বাঁধ অপসারণ করা হয়। এরপর অবৈধ বাঁধ নির্মাণের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মাফুজার শেখকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আলফাডাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ কে এম রায়হানুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, প্রবহমান খালটিতে অবৈধভাবে বাঁশের বাঁধ দিয়ে পানি ও মাছের স্বাভাবিক গতি নষ্ট করে এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি মাছ শিকার করে আসছিলেন। পরে ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বাঁধটি অপসারণ করা হয়। সেই সঙ্গে বাঁধ নির্মাণের সঙ্গে জড়িত থাকায় একজনকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল য বদল

এছাড়াও পড়ুন:

শেরপুরে পাখি শিকারিকে কারাদণ্ড

শেরপুরে বক ও পাখি শিকারের অপরাধে এক ব্যক্তিকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার ধলাকান্দা এলাকায় ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়। ওই শিকারির নাম মো. উকিল মিয়া (১৯)। তিনি সদর উপজেলার চান্দের নগর মৃত সামিদুল মিয়া ছেলে। 

ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভূঁইয়া।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধলাকান্দা গ্রামের নিচু এলাকার ধানক্ষেত ও বিলের ধারে হালা (দেশীয় পাখি ধরার ফাঁদ) দিয়ে দেশীয় বক শিকার চলে আসছিল এবং প্রকাশ্যে বক বিক্রিও হচ্ছিল। 

পরে স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনাস্থল থেকে হালা ও ছয়টি বকসহ এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা ঘোষণা করা হয়।

এসময় শেরপুরের বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্যপ্রাণি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার, ওয়াইল্ডলাইফ রেঞ্জার মো. আব্দুল্লাহ আল আমিনসহ বন বিভাগের বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে জনগণকে পাখি শিকার বন্ধে সচেতন করার জন্য লিফলেট বিতরণ করা হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভূঁইয়া বলেন, “বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ এর ৬ ধারা লঙ্ঘন করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণ পাওয়ায় সাতদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান নিয়মিত চলবে।”

ঢাকা/তারিকুল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ