চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকতে ভেসে আসা বিপন্ন প্রজাতির ইরাবতী ডলফিনটির মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে বন বিভাগ। জোয়ারের পানিতে ভেসে আসার ৩৬ ঘণ্টা পর গতকাল বুধবার রাতে ঘটনাস্থলেই সেটিকে মাটি চাপা দেওয়া হয়। এর আগে এটির নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বিপন্ন এই প্রাণী কোনো আঘাতে অথবা বয়সের কারণে মারা যেতে পারে বলে ধারণা করছে বন বিভাগ।

বন বিভাগের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, ভেসে আসা ডলফিনটি বিপন্ন প্রজাতির ইরাবতী ডলফিন। এটির মাথা গোল। ঠোঁট নেই। লম্বায় প্রায় ছয় ফুটের মতো। পাখনা ছোট ও বৃত্তাকার আকৃতির। এ প্রজাতির ডলফিন দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উপকূলীয় ও মোহনা অঞ্চল এবং অল্প গভীর সমুদ্রে বসবাস করে।

উপকূলীয় বন বিভাগের সীতাকুণ্ড রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা রনি আলী প্রথম আলোকে বলেন, ইরাবতী ডলফিনটি গুলিয়াখালী সৈকতে ভেসে আসার খবরে তাঁরা গতকাল বিকেলে ঘটনাস্থলে যান। এরপর বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে সন্ধ্যায় সেটিকে সৈকতে মাটি চাপা দেন। এ সময় ডলফিনটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য নমুনা (হাড় ও মাংস) সংগ্রহ করা হয়। মূলত ডলফিনটির মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানান তিনি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কল্লোল বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, ডলফিনটি দুটি কারণে মারা যেতে পারে। একটি বয়সের কারণে, অন্যটি আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে। ময়নাতদন্তের পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, ডলফিনটি বয়স্ক কিন্তু আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ময়ন তদন ত বন ব ভ গ ন তদন ত ডলফ ন

এছাড়াও পড়ুন:

শেরপুরে পাখি শিকারিকে কারাদণ্ড

শেরপুরে বক ও পাখি শিকারের অপরাধে এক ব্যক্তিকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার ধলাকান্দা এলাকায় ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়। ওই শিকারির নাম মো. উকিল মিয়া (১৯)। তিনি সদর উপজেলার চান্দের নগর মৃত সামিদুল মিয়া ছেলে। 

ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভূঁইয়া।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধলাকান্দা গ্রামের নিচু এলাকার ধানক্ষেত ও বিলের ধারে হালা (দেশীয় পাখি ধরার ফাঁদ) দিয়ে দেশীয় বক শিকার চলে আসছিল এবং প্রকাশ্যে বক বিক্রিও হচ্ছিল। 

পরে স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনাস্থল থেকে হালা ও ছয়টি বকসহ এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা ঘোষণা করা হয়।

এসময় শেরপুরের বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্যপ্রাণি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার, ওয়াইল্ডলাইফ রেঞ্জার মো. আব্দুল্লাহ আল আমিনসহ বন বিভাগের বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে জনগণকে পাখি শিকার বন্ধে সচেতন করার জন্য লিফলেট বিতরণ করা হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভূঁইয়া বলেন, “বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ এর ৬ ধারা লঙ্ঘন করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণ পাওয়ায় সাতদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান নিয়মিত চলবে।”

ঢাকা/তারিকুল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ