ধর্ষণ মামলার আলামত নষ্টের অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
Published: 9th, October 2025 GMT
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার আলামত নষ্টের অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তা কৃপাসিন্ধু বালার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। তিনি ওই মামলার সাবেক তদন্ত কর্মকর্তা ও ধুনট থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।
পুলিশ কর্মকর্তা কৃপাসিন্ধু বালা ও মামলার প্রধান আসামি মুরাদুজ্জামান ওরফে মুকুলের (৫৪) বিরুদ্ধে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
আসামি মুরাদুজ্জামান ধুনট উপজেলার একটি কলেজের শিক্ষক। অন্যদিকে সাবেক ওসি কৃপাসিন্ধু বর্তমানে গাজীপুর শিল্প পুলিশে কর্মরত।
বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মোজাম্মেল হক প্রথম আলোকে বলেন, মামলার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা কৃপাসিন্ধুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের আলামত গায়েব করার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। আদালত সেটি আমলে নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। মামলার প্রধান আসামি মুরাদুজ্জামান বর্তমানে উচ্চ আদালতের আদেশে জামিনে আছেন।
মামলার বাদী ও ভুক্তভোগীর মা গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, মূল আসামিকে ধর্ষণের শাস্তি থেকে বাঁচাতে কৃপাসিন্ধু বালা আসামির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের উৎকোচ নিয়ে আলামত নষ্ট করেন। থানা ও ডিবি পুলিশ হয়ে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তখন কৃপাসিন্ধু বালার নাম বাদ দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের ২৪ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সবুজ আলী।
ওই অভিযোগপত্র প্রত্যাখ্যান করে এক মাসের মধ্যে আদালতে পুনঃতদন্ত চেয়ে আবেদন করেন ভুক্তভোগীর মা। আদালত গত বছরের ১৫ আগস্ট মামলাটি পুনঃতদন্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিলের জন্য পিবিআইকে আদেশ দেন। পিবিআইয়ের তিন তদন্তকারী কর্মকর্তা বদলের পর গত মঙ্গলবার পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, শিক্ষক মুরাদুজ্জামান ২০২১ সালের অক্টোবরে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে স্ত্রী-সন্তানসহ থাকতেন। দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরীকে একা পেয়ে তিনি জড়িয়ে ধরে ছবি তোলেন এবং তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। ২০২২ সালের ১২ এপ্রিল আবার ধর্ষণের চেষ্টা করলে মেয়েটির চিৎকার করলে পালিয়ে যান মুরাদুজ্জামান। পরে অশালীন ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিলে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ওই বছরের ১২ মে মামলা করেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত কর মকর ত তদন ত কর ন তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
বার্জারের রং ব্যবহার করবে বিটিআই
দেশের শীর্ষস্থানীয় রং উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ এবং রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার বিল্ডিং টেকনোলজি অ্যান্ড আইডিয়াসের (বিটিআই) মধ্যে একটি অংশীদারত্ব চুক্তি সই হয়েছে। গত মঙ্গলবার ঢাকার গুলশানে বিটিআইয়ের করপোরেট কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চুক্তিটি সই হয়। এ চুক্তির লক্ষ্য হচ্ছে, বিটিআইয়ের ভবিষ্যৎ প্রকল্পগুলোতে বার্জারের তৈরি উচ্চমানের রং ও কোটিং সমাধান দেওয়া, যাতে স্থাপত্যের সৌন্দর্য ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পায়। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তি’র।
বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) ও পরিচালক মো. মহসিন হাবিব চৌধুরী এবং বিটিআইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এফ আর খান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বার্জারের চিফ বিজনেস অফিসার এ কে এম সাদেক নেওয়াজ, বিক্রয় মহাব্যবস্থাপক শাব্বীর আহমদ, করপোরেট সেলসের প্রধান আসাদুর রহমান ও এরিয়া ম্যানেজার মো. হুমায়ুন কবীর এবং বিটিআইয়ের চিফ বিজনেস অফিসার এম. বদরুল ইসলাম, পরিচালক আবু কামাল মোহাম্মদ পাশা, ডিজিএম মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, এ এম সনেট হোসেনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সহযোগিতার মাধ্যমে বিটিআই তাদের আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্রকল্পে বার্জারের বিশ্বমানের পরিবেশবান্ধব
পণ্য ব্যবহার করবে, যা ভবনের মান, স্থায়িত্ব ও আকর্ষণ বাড়াবে।
অনুষ্ঠানে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের সিওও ও পরিচালক মো. মহসিন হাবিব চৌধুরী বলেন, ‘বার্জার সব সময় গুণমান ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের পণ্য উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর এবং পরিবেশবান্ধব, যা আধুনিক স্থাপত্যের সৌন্দর্য ও স্থায়িত্ব বাড়ায়।’
বিটিআইয়ের এমডি এফ আর খান বলেন, ‘বিটিআই সব সময় এমন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে, যা সৌন্দর্য ও মানের সমন্বয়ে অনন্য। বার্জার পেইন্টসের সঙ্গে এই অংশীদারত্ব আমাদের প্রকল্পগুলোকে আরও আকর্ষণীয় ও টেকসই করে তুলবে এবং গ্রাহকদের উন্নত অভিজ্ঞতা দেবে।’