প্রতিবছর অক্টোবর মাস এলেই সারা বিশ্বে নোবেল পুরস্কার নিয়ে উন্মাদনা শুরু হয়। বিজ্ঞান-দুনিয়ার নানা বিষয়ে নোবেল পুরস্কারজয়ী বিজ্ঞানীদের নাম জানতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন বিশ্বের নানা দেশের মানুষ। তবে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, চিকিৎসাশাস্ত্র, সাহিত্য শান্তি ও অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তিদের নোবেল পুরস্কার দেওয়া হলেও গণিতের ক্ষেত্রে এ পুরস্কার দেওয়া হয় না। সুইডেনের বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামে ও তাঁর রেখে যাওয়া অর্থে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। তিনিই নোবেল পুরস্কারের তালিকা থেকে গণিতকে বাদ দিয়েছিলেন। সম্ভবত তিনি মানবজাতির জন্য ধরা যায় বা দেখা যায় এমন আবিষ্কার বা উদ্ভাবনের বিষয়কে জোর দিতে চেয়েছিলেন বলে গণিতকে নোবেল পুরস্কারের তালিকায় রাখেননি।

আলফ্রেড নোবেল কেন গণিতে নোবেল পুরস্কার দেননি তা নিয়ে অনেক তত্ত্ব রয়েছে। একটি তত্ত্ব নোবেলের ব্যবহারিক দর্শনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। আলফ্রেড নোবেলের উইলে সুনির্দিষ্টভাবে এমন আবিষ্কারকে পুরস্কৃত করার কথা বলা হয়, যা বাস্তব উপায়ে মানবজাতির জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ সুবিধা প্রদান করে। তিনি সম্ভবত গণিতকে ভিত্তিগত বা তাত্ত্বিক বলে মনে করতেন। অন্যদিকে চিকিৎসা, রসায়ন বা পদার্থবিদ্যার মতো ক্ষেত্রকে বেশি গুরুত্ব দিতেন তিনি। আরেকটি তত্ত্বে দাবি করা হয়েছে, নোবেল সুইডিশ গণিতবিদ গোস্তা মিটাগ-লেফলারের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করতেন। সেই বিদ্বেষের পেছনে সম্ভবত কোনো রোমান্টিক আগ্রহ বা পেশাগত মতানৈক্য ছিল। যদিও এই তত্ত্বকে ইতিহাসবিদেরা গুরুত্ব দেন না।

আলফ্রেড নোবেল সম্ভবত এমন ক্ষেত্রকে উৎসাহিত করতে চেয়েছিলেন যা প্রণোদনা ও জনসাধারণের মনোযোগ থেকে উপকৃত হতে পারে। গণিতে নোবেল না থাকলেও অনেক গণিতবিদ নোবেল জিতেছেন। যেমন গণিতবিদ জন ন্যাশের ১৯৯৪ সালের অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পান। জন ন্যাশ গেম থিওরিতে তার মৌলিক অবদানের জন্য এই পুরস্কার পান। ন্যাশ ইকুলিব্রিয়াম ধারণাটির আবিষ্কার ও প্রমাণের জন্য তিনি বিখ্যাত। এই তত্ত্ব অর্থনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিপ্লব এনেছে।

আরেক গণিতবিদ লিওনিড হুরউইজ ২০০৭ সালে মেকানিজম ডিজাইন থিওরির জন্য অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পান। এই থিওরি অনুসারে অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে সামাজিক বা অর্থনৈতিক ফলাফল অর্জনের জন্য কার্যকর প্রক্রিয়া তৈরি করতে গাণিতিক মডেল ব্যবহার করে। এ ছাড়া গণিতবিদ রবার্ট আউম্যান ও লয়েড শ্যাপলি অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন ব ল প রস ক র আলফ র ড ন ব ল প রস ক র প প রস ক র দ র জন য তত ত ব

এছাড়াও পড়ুন:

থমকে গেল গায়ক পলাশ ও ক্রিকেটার স্মৃতির বিয়ের সানাই

ভারতের নারী ক্রিকেটার স্মৃতি মান্ধানা। কয়েক দিন আগে তার দল বিশ্বকাপ জিতেছে। এ আনন্দের রেশ না কাটতেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। তার বর অন্য কেউ নন, বলিউডের বিখ্যাত প্লেব্যাক গায়ক, সংগীত পরিচালক পলাশ মুচ্ছাল। রবিবার (২৩ নভেম্বর) এ জুটির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। ফলে বিয়ের আনন্দে মেতেছিলেন এই প্রেমিক যুগল। 

সাংলির সামডোলের মান্ধানার ফার্ম হাউজে বিয়ের উৎসব চলছিল। স্মৃতি-পলাশের বিয়ের আনন্দে বিষাদের ছায়া নেমেছে; থমকে গিয়েছে বিয়ের সানাইয়ের সুর। কারণ স্মৃতির বাবা শ্রীনীবাসা মান্ধানার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। খবর ইন্ডিয়া ডটকমের।  

আরো পড়ুন:

দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়ে শাহরুখ খানের বক্তব্য

সাঁইত্রিশে গায়কের মৃত্যু, মেয়েকে নিয়ে শেষ পোস্ট ভাইরাল

পরিবারের বরাত দিয়ে এ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শ্রীনিবাস মান্ধানাকে দ্রুত সাংলির একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে তাকে জরুরি চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। স্মৃতি ও তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা হাসপাতালে রয়েছেন। 

স্মৃতির ম্যানেজার তুহিন মিশ্রা বলেন, “আজ সকালে নাশতা করার সময় স্মৃতি মান্ধানার বাবা শ্রীনিবাস মান্ধানা অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমরা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেছিলাম, ভাবছিলাম হয়তো ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু তার অবস্থা খারাপ হচ্ছিল। তাই ঝুঁকি না নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। এখন তিনি পর্যবেক্ষণে আছেন।” 

আজ বিয়ের অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। এ তথ্য জানিয়ে তুহিন মিশ্রা বলেন, “আপনারা জানেন, স্মৃতি তার বাবার খুব কাছের মানুষ। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তার বাবা সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত আজকের নির্ধারিত বিয়েটি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত থাকবে। এখন তিনি হাসপাতালে আছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাকে আরো কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হবে। আমরাও খুব মর্মাহত। আমাদের একটাই চাওয়া তিনি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন।” 

রবিবার (২৩ নভেম্বর) সাংলিতে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজন ও ভক্তদের উপস্থিতিতে স্মৃতি-পলাশের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। ভারতীয় নারী দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ও স্মৃতির সঙ্গে ছিলেন। গত কয়েক দিনে দম্পতির জমকালো, চলচ্চিত্রের মতো সাজানো প্রি-ওয়েডিং অনুষ্ঠানের বহু ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে বিয়ের সেই সাজসজ্জা এখন খুলে ফেলা হচ্ছে। বিয়ের জন্য আরো কিছুটা সময় তাদের অপেক্ষা করতে হবে বলে জানা গেছে। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ